নোয়াখালী — নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আয়োজিত দারসুল কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে এক যৌথ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল-সহ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ছাত্রশিবির কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জরুরি বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দাবি করেছে, “মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে এমন হামলা ন্যক্কারজনক এবং সাময়িক নয় — এটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত একটি রাজনৈতিক সহিংসতা।”
হামলায় নাম উঠে এসেছে যুবদল নেতা ফারুক ও নয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুলসহ অন্যদের। ছাত্রশিবির নেতারা পুলিশের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, প্রোগ্রামের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে স্কুল-মসজিদ-সমাজ সভাস্থলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। নেতৃবৃন্দ বলছেন, “শিক্ষার্থীবান্ধব ও গঠনমূলক কাজে ভীত হয়ে ভয়ভীতি চালানো হচ্ছে”। তারা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সরাসরি অভিযোগ এনেছেন যে, তারা আজ নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নিউজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এমন ঘটনা শিক্ষা-নির্ভর ও ধর্মীয়-প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ওপর একটি গভীর প্রশ্ন তোলে — দেশে কি কোন সংগঠন উপর্যুপরি নিরীহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না? কি করে রাজনৈতিক আদর্শ ও শিক্ষামূলক উদ্যোগকে বাধা দেওয়া হচ্ছে?
আঞ্চলিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও অবাধ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলছেন বিবেচকরা।