মোঃ নাঈম হোসেন পলোয়ান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ: আজকাল সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই নানা বয়স ও পেশার মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। স্বাত্মীয়স্বজন, মেধাবী ছাত্র, বুদ্ধিজীবীসহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের খুব কাছের প্রিয় মানুষটিও। তাই এখনই সময়, এই সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে এর প্রতিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার।
সড়ক দুর্ঘটনা একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা যা প্রতিদিন হাজারো মানুষের জীবন নিচ্ছে। তবে, এই দুর্ঘটনাগুলো এড়ানো সম্ভব যদি আমরা কিছু সচেতনতা অবলম্বন করি। এখানে আমরা যে ৯ উপায়ে সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন : ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
১. **সিট বেল্ট বাঁধা:** সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালানো নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি আপনার জীবন বাঁচাতে পারে যদি দুর্ঘটনা ঘটে।
২. **মনোযোগ:** গাড়ি চালানোর সময় আপনার মনোযোগ সবসময় রাস্তা এবং গাড়ির দিকে থাকা উচিত। একটু অমনোযোগী ড্রাইভিংয়ের কারণে ঘটতে পারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
৩. **অল্প দক্ষ বা অদক্ষ চালক:** অল্প দক্ষ বা অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই এক্ষেত্রে গাড়ির মালিদের সচেতন হতে হবে।
৪. **রোড স্ক্যানিং বা রাস্তা বিশ্লেষণ:** গাড়ি চালানোর সময় রাস্তা বিশ্লেষণ বা রোড স্ক্যানিং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. **গাড়ির গতিসীমা:** গাড়ি চালানোর সময় কখনই হুটহাট করে গাড়ির গতিসীমা বাড়াবেন বা কমাবেন না।
৬. **কথা বলা থেকে বিরত থাকুন:** গাড়ি চালানোর সময় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ায়।
৭. **প্রতিযোগিতা:** গাড়ি চালানোর সময় প্রতিযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন। এটি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
৮. **লুকিং গ্লাস:** গাড়ি চালানোর সময় লুকিং গ্লাস দেখা জরুরি। এটি আপনাকে সব দিক থেকে সচেতন রাখে এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৯. **নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না:** নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন : বাজেটের ৪০ শতাংশ যাবে ঋণের সুদ, ভর্তুকি, ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়
সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ
- সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব;
- অসতর্কতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো;
- যান্ত্রিক -ত্রুটিসম্পন্ন গাড়ি রাস্তায় নামানো;
- গাড়ির ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করা; ঙ. ভাঙা ও অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট;
- লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক;
- ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো;
- ট্রাফিক আইন মেনে না চলা।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়
- সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিরাপদ সড়ক।
- দুর্ঘটনা এড়াতে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করা।
- সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানো।
- যান্ত্রিক ত্রুটি আছে এমন গাড়ি রাস্তায় নামানো বন্ধ করা।
- চালকদের দক্ষতা যাচাই করা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
- লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা।
- যানবাহন চলাচলের সরু রাস্তা প্রশস্ত করা। ট্রাফিক আইন মেনে চলা।
- অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল তোলা বন্ধ করা।
- নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি না চালানো।
- হাঁটার জন্য পথচারীদের ফুটপাত ব্যবহার করা।
এই উপায়গুলো মেনে চললে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সম্ভবত সফল হতে পারি। সবাইকে নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য আহ্বান জানাই।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন |