রংপুর টু ঢাকা সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা

রংপুর টু ঢাকা

রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে প্যাকেজ-৮ এর আওতায় ২৩.৮ কিলোমিটার অংশের ৮৫% নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই মহাসড়কে থাকছে ১৭টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু। প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। বিশেষ করে রংপুর টু ঢাকা যাত্রার সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা।

আরও পড়ুন: রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকিটের মূল্য ও ভাড়ার তালিকা

এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মর্ডান মোড় পর্যন্ত ১৯০.৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। করোনা, বন্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাজে ধীরগতি সৃষ্টি হলেও এখন দিন-রাত কাজ চলছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৮০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ মহাসড়ক খুলে দেওয়া হলে রংপুর থেকে মাত্র ৫ ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া যাবে।

এই মহাসড়ক প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি এবং সাসেক করিডর, এশিয়ান করিডর, বিমসটেক করিডরে যুক্ত হওয়া। এতে যানজট ও দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় পৌঁছানো যাবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকবে উড়ালসড়ক, আন্ডারপাস, সেতু ও কালভার্ট।

প্রকল্পের আওতায় ২৬টি সেতু, ৩৯টি আন্ডারপাস, ৬টি ফ্লাইওভার, ১৮০টি কালভার্ট এবং ১১টি পথচারী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি আন্তর্জাতিক মানের সড়ক গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং ৩টি রোড অপারেশন ইউনিট নির্মাণ করা হবে।

নির্মাণাধীন এই মহাসড়ক প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের একটি শক্তিশালী সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এতে শুধু যাতায়াতের সুবিধাই নয়, ব্যবসা ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন ঘটবে। খুব অল্প সময়ে রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে এবং ক্লান্তি থেকেও অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে।

তবে জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি এলাকার ১.৫ কিলোমিটার অংশের কাজ এখনো বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শীঘ্রই এ জটিলতা কাটিয়ে ওই এলাকায় মহাসড়কের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, রংপুর টু ঢাকা পর্যন্ত মহাসড়কের নির্মাণ কাজের প্রত্যাশা ছিল যে এটি ২০১৯ সালের জুন মাসে শুরু হবে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এই প্রকল্পে শুরুতেই বিলম্ব হয়। সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও, নির্মাণ কাজ ছয় মাস দেরিতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়। প্রকল্পের শুরুতেই করোনা মহামারি, বন্যা, অতিবৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। পরবর্তীতে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব এবং অন্যান্য কারণে প্রকল্পের কাজ ধীরগতি প্রাপ্ত হয়। তবে, এখন আর নির্মাণ কাজ থেমে নেই এবং দিন দিন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Juger Alo Google News   যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন