সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতুর একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে গুরতর অভিযোগ এনেছেন। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে রাজনৈতিক নেতাদের অশ্রদ্ধা এবং নারীদের প্রতি অসন্মানজনক আচরণের চিত্র। সেতু দাবী করেছেন, তিনি নিজেও এই ধরনের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন এবং নেতাদের আচরণে তার প্রতি ভোগ্য পণ্য হিসেবে মনোভাব ছিল।
আরও পড়ুন: ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত : আজকের পেঁয়াজের বাজার দর
মূল প্রতিবেদন:
উম্মে হানি সেতু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি, একটি ভয়েস রেকর্ডে দাবি করেন যে, তিনি রাজনৈতিক জীবনে নেতাদের কাছ থেকে সম্মান পাননি। তিনি বলেন, “আমি যথেষ্ট সুন্দরী ছিলাম, নেতারা আমাকে এবং আমার মতো অন্যদের ভোগ্য পণ্য মনে করতেন।” সেতুর এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: 2024 সালে ফ্রি টাকা ইনকাম করার সেরা Apps এবং সাইট
সেতু আরও অভিযোগ করেন যে, তার নামে ৩টি মামলা হয়েছে, কিন্তু দল তার পাশে দাঁড়ায়নি। তার কথায় উঠে আসে, “আমার ছোট শিশুকে ফেলে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে দলের নেতারা তাদের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত, কেউ আমার পরিবারের খোঁজ নেয় না।” তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে দলের ভেতরে নারীদের প্রতি অসন্মান ও নেতাদের চরিত্র সম্পর্কে গভীর প্রশ্ন উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়?
ভয়েস রেকর্ডটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সেতু দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তার ক্ষোভ প্রকাশ করে রেকর্ডটি শেয়ার করেছিলেন, যা পরে ভাইরাল হয়। সেতু অভিযোগ করেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নারীদের নিয়ে অসাধু কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন, যার কারণে দলের ক্ষতি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ নৈতিক পতনের সম্মুখীন হয়েছে।
উপসংহার:
উম্মে হানি সেতুর ভয়েস রেকর্ড একটি জ্বলন্ত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে নারীদের প্রতি অসন্মানজনক আচরণের অভিযোগ সামনে এসেছে। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে নানান আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় দলীয় নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা দেখার বিষয়।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন