নোয়াখালীর শিশু হাবিবুর রহমানের জীবনের এক অসাধারণ কীর্তি! মাত্র ৪৯ দিনে পবিত্র কোরআন হিফজ করে এই শিশু হয়ে উঠেছে দেশের আলোচিত হাফেজদের একজন। হাবিবের এই অবিশ্বাস্য কৃতিত্ব শুরু হয়েছিল ১৯ জুলাই, ২০২৪ সালে, যখন সে বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসায় হিফজ শুরু করে। পরিশেষে, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আল্লাহর রহমতে সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে। হাবিবের বয়সে এমন অল্প সময়ে কোরআন হিফজ করা সত্যিই অনন্য ও বিস্ময়কর।
আরও পড়ুন: জান্নাতে যেতে চান? পালন করুন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ আমল
হাবিবের কেবল কোরআন হিফজ করাই নয়, তার মনের আরও একটি বিশাল স্বপ্ন আছে। সে চায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে এবং তার কাছ থেকে দোয়া নিতে। শায়খ আহমাদুল্লাহর প্রতি তার গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা এমনই যে, প্রতিদিনই সে কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছে যাতে তার সাথে দেখা করা সম্ভব হয়। এ কাজে সে ব্যবহার করছে একটি প্লাস্টিকের ব্যাংক, যেখানে সে সব প্রাপ্ত উপহার এবং সঞ্চিত অর্থ জমাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১২ বছর বয়সে ৬ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন মুনতাছির
হাবিবের মা, সাজেদা আক্তার জানান, ছেলের এই ইচ্ছার জন্য সে প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলে, “আমি হুজুরের সাথে দেখা করতে চাই।” এই শৈশবের আবেগ এবং স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় সংকল্প তাকে প্রতিদিন আরও অনুপ্রাণিত করে। মা হিসেবে সাজেদা আক্তারের জন্য এটা এক গর্বের মুহূর্ত। হাবিব যখন তার পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী হাফেজ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করে, তখন সে নিজেই তার জীবনের আরও বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আমির হামজার কুরআন মাহফিলে ১০ সনাতনী হিন্দুর ইসলাম গ্রহণ!
বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ কারি শাহাদাত হোসাইন বলেন, “হাবিব একটি বিস্ময়কর শিশু। তার মেধা এবং নিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাকে কবুল করেছেন। মাত্র ৪৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করার সামর্থ্য আল্লাহ তাকে দিয়েছেন, যা তার জীবনের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।” ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাবিব এই মাদরাসায় ভর্তি হয় এবং নাজেরা পড়াশোনা শুরু করে। এর পর হিফজ শুরু করেই সে দেখিয়ে দিয়েছে অসাধারণ মেধা।
হাবিবুর রহমানের ইচ্ছা শুধুমাত্র একটি আলেম হওয়া নয়; তার লক্ষ্য শায়খ আহমাদুল্লাহর মতো একজন বড় আলেম হয়ে দেশের জন্য অবদান রাখা। হুজুরের দোয়া এবং প্রেরণা পেলে হয়তো এই ছোট্ট হাফেজ একদিন দেশের এক নামী ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবে।
2 thoughts on “৪৯ দিনেই কোরআন হিফজ করলো শিশু হাবিব, দোয়া নিতে চায় শায়খ আহমাদুল্লাহ”