বিশ্বের জনসংখ্যা গত এক শতাব্দীতে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা দেখাচ্ছে যে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু , বিলুপ্ত হতে পারে মানবজাতি এবং এটি মানব জাতির ভবিষ্যতের জন্য বিপদসংকেত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট গড়ে ১.২% কমে গিয়ে মিলিলিটারপ্রতি ১০৪ থেকে ৪৯-এ নেমে এসেছে। এর মধ্যে ২০০০ সাল থেকে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার হার বেড়ে বছর প্রতি ২.৬%এ উঠেছে।
এই অধোগতির পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। দূষণ এবং জীবনযাপনের ধরন পুরুষের উর্বরতার ওপর প্রভাব ফেলে এবং এটি বীর্যে শুক্রাণুর মানের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। এছাড়াও, এপিজেনেটিক্স বা মানব জিন যেভাবে কাজ করে তার সম্পর্ক থাকতে পারে।
এই সমস্যাটি মানব জাতির জন্য একটি গভীর সংকট হতে পারে। পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়া পুরুষদের নিম্নগামী স্বাস্থ্যের একটি চিহ্ন হতে পারে এবং এটি হয়তো গোটা মানবজাতির ক্ষেত্রেই ঘটছে। এই সংকট ঠেকানো সম্ভব কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কীটনাশকের কারণে পুরুষের শুক্রাণু কমছে: বলছে গবেষণা