মিসরের জ্যোতির্বিদ্যা ইনস্টিটিউট পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি হিজরি সন ১৪৪৫ এর জিলহজ মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৭ জুন। সেই হিসেবে আগামী ১৬ জুন (রোববার) ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।
মিসরের জ্যোতির্বিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ডক্টর তাহা রাবেহ জানিয়েছেন, তাদের সৌর গবেষণা ল্যাবরেটরি গণনা করে দেখেছে ৭ জুন জিলহজ মাসের প্রথম দিন হতে পারে। কায়রোর সময় অনুযায়ী আগামী ৬ জুন দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে জিলহজ মাসের অর্ধচন্দ্রের জন্ম হবে। ওইদিন জিলকদ মাসের ২৯তম দিন থাকবে। মক্কায় জিলহজের অর্ধচন্দ্রটি সূর্যাস্তের ১১ মিনিট এবং কায়রোতে ১৮ মিনিট পর পর্যন্ত দেখা যাবে। এছাড়া মিসরের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে নতুন এ চাঁদটি সূর্যাস্তের ১২ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে।
আরও পড়ুন : এবার ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি কতদিন?
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেদিন চাঁদ দেখা যায়, তার পরের দিন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে চাঁদ দেখা যায়। যদি মিসরের জ্যোতির্বিদ্যা ইনস্টিটিউটের তথ্য সঠিক হয় তাহলে বাংলাদেশে আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সৌদি আরবের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিও কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে আগামী ১৬ জুন। বাংলাদেশ সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন পর ঈদ উদযাপন করে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হতে পারে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটি ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা এই দিনে পশু কুরবানি করে থাকেন এবং সেই কুরবানির মাংস আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এবং দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করেন। ঈদুল আজহার দিন শুরু হয় ঈদের নামাজের জন্য গোসল করে এবং নতুন কাপড় পরিধান করে। সকল মুসলিম ছেলেদের জন্য এই ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব এবং মহিলাদের জন্য এই নামাজ সুন্নৎ।
এবারের ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের কুরবানির পশু কেনার জন্য বাজারে যাচ্ছেন এবং ঈদের দিনটি উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন |
1 thought on “ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা”