শিগগিরই বন্ধ হচ্ছে অনিবন্ধিত মোবাইল সেট, নিবন্ধন করবেন যেভাবে

অনিবন্ধিত মোবাইল সেট

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অনিবন্ধিত মোবাইল সেট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধে।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধন প্রদান নিশ্চিত করা হবে। এতে করে অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা হবে।

আরও পড়ুন: আর শেষ হবে না ইন্টারনেট ডেটা- জেনে নিন ৪ গোপন কৌশল

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অতি শিগগিরই অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। সে জন্য, সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে কেনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে[1]। মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD<space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ- KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে।

এ প্রসঙ্গে, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ১৬ জানুয়ারি দেশে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মোবাইল ফোন নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে অনিবন্ধিত মোবাইল সেট নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই প্রক্রিয়া মাধ্যমে সরকার রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করতে পারে এবং মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করতে পারে।

প্রথমে, গ্রাহকদের তাদের মোবাইল সেটের IMEI নম্বর জানা দরকার। এটি জানার জন্য, গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোনে *#06# ডায়াল করতে পারেন। এরপর, গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোনে যেকোনো সিম চালু করে মেসেজ অপশনে গিয়ে “KYD<স্পেস>মোবাইল ফোন সেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর” লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানানো হবে।

যদি মোবাইল সেটটি অবৈধ হয়, তবে গ্রাহকরা তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে পারেন neir.btrc.gov.bd লিংকে। এরপর, গ্রাহকরা পোর্টালে তাদের ক্রয় রশিদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করতে পারেন। এরপর, গ্রাহকরা “Submit” বাটনটি প্রেস করতে পারেন। যদি হ্যান্ডসেটটি বৈধ হয়, তবে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে।

এছাড়াও, বর্তমানের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে শুল্কবিহীন সর্বোচ্চ দুইটি এবং শুল্কপ্রদান করে আরও মোবাইল সেট আনতে পারেন।

সরকারের এই পদক্ষেপ স্বাগত জানানো হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। তবে, এই পদক্ষেপের ফলে মোবাইল ফোনের বাজারে কিছু কঠিনাই সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, সরকার এবং বিটিআরসি নিশ্চিত করেছে যে, এই পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অবৈধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমানো যাবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ানো যাবে।