গল্প

কাঁটাতার

কাঁটাতার

--মোরশেদুল ইসলাম সেপ্টেম্বরের রাত। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের চাপে চ্যাপটা হয়ে যায় কালো কালো রাত। ফজরের আজানেরও আগে কয়েকটা ফিঙের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে আবদুল হকের। পাশের ঘরে শুয়ে আছে বিরু খ্যান ও তার নাতি। দরজার কাছে গিয়ে ‘দাদা, দাদা, ওঠো গো’ বলতেই বিরু খ্যান কাশতে কাশতে আবদুল হককে জবাব দেয়, ‘মোর তো নিন্দে ধরে নাই রে সারা রাইত, উঠিম্ আর কী!’ নাতি সৌম্য খ্যান ঘুমাচ্ছে দেদার। কিন্তু বাড়িতে ফিরে যেতে হবে, ভারতে ফিরে যেতে হবে, সকালে ট্রেন ধরতে হবে, অসুস্থ শরীর নিয়ে যাত্রা করতে হবে... ইত্যাদি চিন্তায় রাতভর তেমন ঘুমাতে পারেনি বিরু খ্যান। এসব তো স্বাভাবিক নিয়মের ব্যাপার। কেবল এসব চিন্তাই…
Read More
সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা

২০০১ সালের কথা..... অনার্সে কেবল মাত্র ভর্তি হয়েছি। কলেজ পাড়ার তুর্য ছাত্রাবাসে উঠেছিলাম। তো একদিন বিআরটিসি বাসে রংপুরে যাচ্ছিলাম,সাথে ছিল চালের বস্তা। সেদিন বাসে খুবই ভিড় ছিল। আমার সীটে এক আংকেলকে বসতে দিয়ে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম পাশে....বাস যখন দেবীগঞ্জ ও ডোমারের মাঝামাঝি ছোট রাউতা নামক স্থানে ঠিক তখনই ঘটলো দুর্ঘটনাটা। একটা মাইক্রো বাসকে সাইড দিতে গিয়ে আমাদের বাসটা উল্টে একেবারে পুকুরে.... প্রায় ৬০/৭০ জন যাত্রী ছিলাম গাড়িতে। মূহুর্তে মনে হলো কিয়ামত শুরু.... মানুষের আহাজারিতে। কয়েক সেকেন্ট সেন্স ছিলনা আমার। কোনরকমে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়লাম পানিতে। সে কি কান্নার রোল। আরও পড়ুন: সাধের আনন্দ মঞ্জিল অনেকের হাত পা ভেঙে গেল ,…
Read More
মাত্র ১ টাকা

মাত্র ১ টাকা

সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি....বলছিলাম ১৯৯৮ সালের কথা... তৎকালীন সময়ে বলতে গেলে বেতারই ছিল গ্রামের একমাত্র সংবাদ মাধ্যম। আমিসহ গ্রামের অনেকেই নিয়মিত বেতারের সংবাদ শুনতাম... পাশ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ছিল বেতার কেন্দ্র। সেখানকার অনুরোধের গানের আসরে নিয়মিত চিঠি লিখতাম আমি..... সম্ভবত বুধবার বিকেল ৫.০০ টায় অনুষ্ঠানটি হতো। গান প্রচারের আগে যারা শুনতে চেয়েছে তাদের নাম ঠিকানা প্রচার করা হতো। প্রায় দিনই আমার নাম ঠিকানা প্রচার করতো....শুনতে খুবই ভালো লাগতো!! দলবল নিয়ে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত শুনতাম। পরবর্তীতে আমার সব ভাই বোনের নাম দিয়ে চিঠি পাঠাতাম.... সবার নামগুলো বেতারে শুনতে কি যে ভালো লাগতো!!! এদিকে বেতারে নাম ঠিকানা শুনে অনেকে আমাকে খুজে বের করতো....জিজ্ঞেস…
Read More
সাধের আনন্দ মঞ্জিল

সাধের আনন্দ মঞ্জিল

লেখিকা : সৈয়দাসিদরাতুল মুনতাহা সেদিন ভোর বেলা যখন অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছিলো তখন নিজের অনিচ্ছা সত্বেও স্কুলকে উদ্দেশ্য করে ভিজে ভিজে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার কারণটা উল্লেখ করার আগে বলতে হয় যে আসলে আমরা আমাদের কোনো কিছুর শেষ মুহুর্তকে অধিক গুরুত্ব দেই। সেদিন এস এস সি পরীক্ষার আগে স্কুলের শেষ ক্লাস ছিলো। তাই এই বৃষ্টিতেই আমাকে যেতে হচ্ছিলো । কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত স্কুলে আর পৌছানো আমার সম্ভব হয় নি। পথে যে আকস্মিক এক ঘটনার সম্মুখিন হবো তা একবারটিও চিন্তা করতে পারি নি। সেই আনন্দমঞ্জিল নামের বাড়িটার সামনে এই ঘন বৃষ্টি তেই হাজারো মানুষের সমাবেশ দেখতে পেলাম।সবাই ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সন্দেহ লাগলো তবে…
Read More