শিল্প-সাহিত্য

সাধের আনন্দ মঞ্জিল

সাধের আনন্দ মঞ্জিল

লেখিকা : সৈয়দাসিদরাতুল মুনতাহা সেদিন ভোর বেলা যখন অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছিলো তখন নিজের অনিচ্ছা সত্বেও স্কুলকে উদ্দেশ্য করে ভিজে ভিজে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার কারণটা উল্লেখ করার আগে বলতে হয় যে আসলে আমরা আমাদের কোনো কিছুর শেষ মুহুর্তকে অধিক গুরুত্ব দেই। সেদিন এস এস সি পরীক্ষার আগে স্কুলের শেষ ক্লাস ছিলো। তাই এই বৃষ্টিতেই আমাকে যেতে হচ্ছিলো । কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত স্কুলে আর পৌছানো আমার সম্ভব হয় নি। পথে যে আকস্মিক এক ঘটনার সম্মুখিন হবো তা একবারটিও চিন্তা করতে পারি নি।   সেই আনন্দমঞ্জিল নামের বাড়িটার সামনে এই ঘন বৃষ্টি তেই হাজারো মানুষের সমাবেশ দেখতে পেলাম।সবাই ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সন্দেহ লাগলো…
Read More
মাত্র ১ টাকা: সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি-একটি ছোট গল্প

মাত্র ১ টাকা: সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি-একটি ছোট গল্প

মাত্র ১ টাকা: সবে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি....বলছিলাম ১৯৯৮ সালের কথা... তৎকালীন সময়ে বলতে গেলে বেতারই ছিল গ্রামের একমাত্র সংবাদ মাধ্যম। আমিসহ গ্রামের অনেকেই নিয়মিত বেতারের সংবাদ শুনতাম... পাশ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ছিল বেতার কেন্দ্র। সেখানকার অনুরোধের গানের আসরে নিয়মিত চিঠি লিখতাম আমি..... সম্ভবত বুধবার বিকেল ৫.০০ টায় অনুষ্ঠানটি হতো। গান প্রচারের আগে যারা শুনতে চেয়েছে তাদের নাম ঠিকানা প্রচার করা হতো। আরও পড়ুন : সাধের আনন্দ মঞ্জিল প্রায় দিনই আমার নাম ঠিকানা প্রচার করতো....শুনতে খুবই ভালো লাগতো!! দলবল নিয়ে অনুষ্ঠানটি নিয়মিত শুনতাম। পরবর্তীতে আমার সব ভাই বোনের নাম দিয়ে চিঠি পাঠাতাম.... সবার নামগুলো বেতারে শুনতে কি যে ভালো লাগতো!!! এদিকে…
Read More
মোরশেদুল ইসলাম এর একগুচ্ছ কবিতা

মোরশেদুল ইসলাম এর একগুচ্ছ কবিতা

মৃত্যুর আলেয়া পথের শেষ কোথায়? জীবনের আছে, জীবনের জন্য। যতটুকু দেখা যায় খালি চোখে তারও বেশি ভালোবাসা, মায়া লেগে আছে পথে সব থেমে যাবে, থামবে না হৃদয় ঈছালে সওয়াব... স্মৃতি যদি মুখ দেখায় কখনও স্বপ্নে থুবড়ে পড়া আশার কলিরা যদি আসে, স্বপ্নে ভুলে যেয়ো আমরাও একদিন মানুষ ছিলাম আমরাও একদিন দুনিয়ায় চষে বেড়াতাম কত-শত ধ্বংস সভ্যতা দেখেছি কত-শত শহর দেখেছি লাইলি-মজনুকে দেখেছি দেখেছি দোর্দণ্ড ফারাওদের মমি পুতুলের মতো পড়ে আছে সব, নিঃসঙ্গ-নিষ্প্রাণ ইতিহাসের মরুভূমিতে অমাবস্যা রাত তবু পথ থেমে নেই; হাঁটছে সে অসংখ্য বাঁক নিয়ে জীবনের বাঁকে বাঁকে-  সামনে মৃত্যুর আলেয়া তার। ঘোর তার পুরানো ঘ্রাণের গল্প নিয়ে শীত ফিরে…
Read More
এক গুচ্ছ কবিতা

এক গুচ্ছ কবিতা

এক গুচ্ছ কবিতা আফরোজা শারমীন অমরাবতী আমার একটা নদী চাই যার কূলে বসে ঢেউয়ের সাথে গল্প করব! আমার একটা দ্বীপ দরকার যেথায় আকাশ আর জলধারা নীলে একাকার! আমার একটা টিনের বাড়ি লাগবে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে রাত পাড়ি দেব! আমায় একটা বড় উঠান দেবে? যেখানে গন্ধরাজ, শিউলি, বকুল, বেলীরা মুক্ত বাতাসে দুলবে! আচ্ছা অমরাবতী, তুমি নিশ্চুপ কেন? এই কৃত্রিমতার শহরে তুমি ও কি ডুবে গেছ? তাহলে আমায় রূপোর কাঠি বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও! আমার কল্পনার পৃথিবী তোমাদের কৃত্রিম পৃথিবীর চেয়ে অনেক সুন্দর!!! ফিলিস্তিনের কান্না ক্লান্ত প্রাণ, শ্রান্ত মন পথহারা এই জীবন কতটা কন্টক দিয়েছি পাড়ি কত ঝড়ের ঝাপটায় হারি। তবুও ছুটছে…
Read More
এক গুচ্ছ কবিতা

এক গুচ্ছ কবিতা

এক গুচ্ছ কবিতা মারিয়া আক্তার মাতিন ভাঙা মন নি:শ্বাসে বিশ্বাসে আছে যারা মন নিয়ে করে খেলা, জাগতিক সুখ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় দুঃখটুকু কেবল স্মৃতি হয়ে রয়। আড়ালে অন্তরালে ক্ষুদ্র আশা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা, মনেতে আঁকি রঙিন স্বপ্ন সবকিছু হয় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। কথার আঘাতের তীব্র যাতনা তিল তিল করে সাজানো কল্পনা, চূর্ণ করে ক্ষণে ক্ষণে ঝড় বয় ভাঙা মনে। সফলতার স্বপ্ন বুনে মনের গহীনে বহু আশা থাকে মনে, ব্যর্থতা এসে ধরা দেয় যখন মন ভাঙার সূর্য উঠে তখন। পৃথিবীর সুখ বিষণ্ণ অসুখ মন ভাঙার শোক, ব্যথিত নয়নে অশ্রু ঝরে দূরের পথ চেয়ে। আপন লোকেরা যায় বহুদূরে বিপদের সাক্ষী হয়ে, বিদীর্ণ হয় সকল…
Read More
রাজনৈতিক উপন্যাসের লিখে পল লিঞ্চের বুকার জয়

রাজনৈতিক উপন্যাসের লিখে পল লিঞ্চের বুকার জয়

• মোরশেদুল ইসলাম আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে ছুরিকাঘাতের হামলায় তিন শিশু আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই শহরজুড়ে শুরু হয় প্রচণ্ড বিক্ষোভ। পুলিশের তরফে বলা হয়, 'কট্টর ডানপন্থী মতাদর্শ দ্বারা চালিত পুরো এক পাগলের দল' এই হাঙ্গামার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার কয়েকদিন পরেই ওই শহরের একজন ঔপন্যাসিক এমন একটি উপন্যাসের জন্য একটি সাহিত্য পুরস্কার জয় করেন যে বইয়ের উপজীব্য ঐ শহরেরই কাহিনি ঘিরে। বলছি বুকার পুরস্কারের কথা। ইংরেজিভাষী দুনিয়ার অন্যতম প্রধান সাহিত্য পুরস্কার এটি। মর্যাদায় নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের পরপরই এর স্থান। আইরিশ লেখক পল লিঞ্চ (৪৬) তাঁর [প্রফেট সং] উপন্যাসের জন্য এ বছর (২০২৩) বুকার পুরস্কার জিতেছেন।…
Read More
তোমায় মনে পরে

তোমায় মনে পরে

তোমায় মনে পরে রাজেন দাসতোমায় মনে পরে প্রিয়তমা আমার হৃদ কম্পনে তোমার স্পর্শে অবয়বে কথার গাঁথুনিতে আমাকে ভালোবেসে চলে গেলে? তোমার সাক্ষাতের অপেক্ষায় কত ঘন্টা কত দিন প্রণয়ের কথা বলতে চেয়েও মুখ ফুটে বলতে পারনি আমায়? তোমার ছোঁয়ায় আমার অন্তরে অনন্তকাল রবে যতদিন আমি বেঁচে থাকবো তোমার স্মৃতি কত ভোরে পাখির কলতানে তোমার অবয়বে আমার দু'চোখে দেখার অভিলাষ আজো আছে। নীড় হারা পাখির অশ্রু মুছতে তোমার স্মৃতি রোমন্থন আমাকে আলোড়িত করেছে। সৃষ্টি সুখের সন্ধানে কত রজনী আমাকে তোমার সংগোপনে চেয়েছিলে প্রিয়া! বিকেলে ঘুরতে গিয়ে কত খুনসুটি করছ আমায় তা শুধু আজও মনে পরে? বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে আমার কানেকানে…
Read More
পথের দিশা

পথের দিশা

পথের দিশা …………অরণ্য আকাশ কিযে করি পাইনা ভেবে স্বপ্ন আঁধার ঘেরা, বেলা শেষে কাব্য কথায় হয়না বুঝি ফেরা। জীবন বুঝি ফুরিয়ে এলো ধরনী ফেরায় মুখ, দীপ্ত প্রদীপ নিভলো ধরায় বিদায় নিলো সুখ। অনন্ত হিমে ডাক পড়েছে জগৎ যাবে মুছে, ছাড়বে জগৎ হারবে তারে ভুলের মাসুল ঘুচে। অল্প আয়ু পেয়ে কেনো জীবন করি দূষণ, পথ হারালে পথের দিশা পতিত হবে ভূষণ। অরণ্য আকাশ আমলাপাড়া,জামালপুর
Read More
কাঁটাতার

কাঁটাতার

--মোরশেদুল ইসলাম সেপ্টেম্বরের রাত। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের চাপে চ্যাপটা হয়ে যায় কালো কালো রাত। ফজরের আজানেরও আগে কয়েকটা ফিঙের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে আবদুল হকের। পাশের ঘরে শুয়ে আছে বিরু খ্যান ও তার নাতি। দরজার কাছে গিয়ে ‘দাদা, দাদা, ওঠো গো’ বলতেই বিরু খ্যান কাশতে কাশতে আবদুল হককে জবাব দেয়, ‘মোর তো নিন্দে ধরে নাই রে সারা রাইত, উঠিম্ আর কী!’ নাতি সৌম্য খ্যান ঘুমাচ্ছে দেদার। কিন্তু বাড়িতে ফিরে যেতে হবে, ভারতে ফিরে যেতে হবে, সকালে ট্রেন ধরতে হবে, অসুস্থ শরীর নিয়ে যাত্রা করতে হবে... ইত্যাদি চিন্তায় রাতভর তেমন ঘুমাতে পারেনি বিরু খ্যান। এসব তো স্বাভাবিক নিয়মের ব্যাপার। কেবল এসব চিন্তাই…
Read More
সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা

২০০১ সালের কথা..... অনার্সে কেবল মাত্র ভর্তি হয়েছি। কলেজ পাড়ার তুর্য ছাত্রাবাসে উঠেছিলাম। তো একদিন বিআরটিসি বাসে রংপুরে যাচ্ছিলাম,সাথে ছিল চালের বস্তা। সেদিন বাসে খুবই ভিড় ছিল। আমার সীটে এক আংকেলকে বসতে দিয়ে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম পাশে....বাস যখন দেবীগঞ্জ ও ডোমারের মাঝামাঝি ছোট রাউতা নামক স্থানে ঠিক তখনই ঘটলো দুর্ঘটনাটা। একটা মাইক্রো বাসকে সাইড দিতে গিয়ে আমাদের বাসটা উল্টে একেবারে পুকুরে.... প্রায় ৬০/৭০ জন যাত্রী ছিলাম গাড়িতে। মূহুর্তে মনে হলো কিয়ামত শুরু.... মানুষের আহাজারিতে। কয়েক সেকেন্ট সেন্স ছিলনা আমার। কোনরকমে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়লাম পানিতে। সে কি কান্নার রোল। আরও পড়ুন: সাধের আনন্দ মঞ্জিল অনেকের হাত পা ভেঙে গেল ,…
Read More