রমজান মাসের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা দপ্তরের আলাদা আলাদা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, যা অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে প্রণীত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, সাধারণত বছরজুড়ে ক্লাস, পরীক্ষা এবং ছুটির দিনগুলি নির্ধারিত থাকে। তবে এ বছর রমজান শুরুর প্রায় এক মাস আগে শিক্ষাপঞ্জি সংশোধন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি রমজানের প্রথম ১০ দিন এবং ১৫ দিন পর্যন্ত যথাক্রমে খোলা থাকবে, অপরদিকে মাদ্রাসাগুলি পুরো রমজান মাস জুড়ে বন্ধ থাকবে।
৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ পৃথক অফিস আদেশ জারি করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য রমজানের প্রথম ১০ দিন নিয়মিত ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক নজরে রমজানের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তিন ধরনের আদেশ:
১. **প্রাথমিক স্কুলের ছুটি:** প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রমজানের প্রথম দশ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২. **মাদ্রাসার ছুটি:** সরকারি ও বেসরকারি মাদ্রাসাগুলি রমজান মাস জুড়ে বন্ধ থাকবে। ছুটির তালিকায় পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ইস্টার সানডে সহ বেশ কয়েকটি উপলক্ষ অন্তর্ভুক্ত আছে।
৩. **মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি:** শিক্ষা দফতর ঘোষণা করেছে যে, রমজান মাস জুড়ে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলি বন্ধ থাকবে। এই ছুটি মার্চ 22 তারিখ থেকে এপ্রিল 27 পর্যন্ত চলবে।
এই ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তের ফলে যেসব অভিভাবকের সন্তানরা ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে পড়ে, তারা বিপাকে পড়েছেন। একদিকে যেখানে প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকছে, অন্যদিকে মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলমান থাকছে।
শিক্ষা প্রশাসনের এই অসমন্বয়ের জন্য অভিভাবকরা এবং শিক্ষার্থীরা দুই দোটানায় পড়েছেন। একদিকে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য ছুটি কমানো হয়েছে, অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তের ফলে অভিভাবকরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।
মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের অফিস আদেশ অনুযায়ী, মাদ্রাসাগুলি পুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে এবং তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা এবং বেসরকারি সব মাদ্রাসায় ৭১ দিন ছুটি থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণির ছুটি এবং ক্লাসের সমন্বয় না থাকায় অভিভাবকরা এবং শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন, এবং শিক্ষা প্রশাসনের এই অসমন্বয়ের জন্য তারা সমালোচনা করছেন।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন |