ডিজিটাল প্রতারণা: আতঙ্কে ৫৯ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ ব্লক করল ভারত

ভারতে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, আর এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার। বিশেষ করে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ বা অনলাইন প্রতারণা র বিরুদ্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, ভারত সরকার সন্দেহজনক ১,৭০০ স্কাইপে আইডি এবং ৫৯ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে। ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (ICCC) এই পদক্ষেপটি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

Juger Alo Google News   যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ৩ ডিসেম্বর এই বিষয়টি জানানো হয়। সাইবার অপরাধীরা মূলত বিদেশী আক্রমণকারীদের সহযোগিতায় ডিজিটাল প্রতারণা করে আসছিল। থাইল্যান্ড, হংকং, লাওসসহ একাধিক দেশ থেকে ভারতে এই ডিজিটাল প্রতারণা সংঘটিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বড় অঙ্কের টাকা খোয়াতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) জানায়, গত ১০ মাসে ভারতের সাধারণ মানুষ ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হয়ে ২,১৪০ কোটি টাকার মতো ক্ষতির মুখে পড়েছে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুর কয়দিন পর বিয়ে করা যায় গুগল সার্চ দিয়েই স্ত্রীকে খুন

এছাড়া, তদন্তে ১৫৯ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গেছে, যা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল প্রতারণা ও ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ পদ্ধতির মাধ্যমে হাতানো হয়েছে। প্রতারণা চক্রের বেশ কিছু সদস্যকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদিকে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি একটি রেডিও অনুষ্ঠানে এই ডিজিটাল প্রতারণার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের অপরাধ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থকে হাতিয়ে নেওয়ার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।”

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে ভারতে বাড়াবাড়ি হচ্ছে, বললেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী

এমনকি মোদি আরও পরামর্শ দেন যে, এই ধরনের প্রতারণার শিকার হলে অযথা ভয় না পেয়ে, মাথা ঠান্ডা রেখে ফোনকলের রেকর্ড করা উচিত এবং দ্রুত পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। ভারতীয় সরকারও এই সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে জনগণকে সুরক্ষিত রাখা যায় এবং সাইবার অপরাধের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের স্কুলে ধর্মীয় বৈষম্য বন্ধে উদ্যোগ, নামাজ আদায়-এ বাধা নেই

ভারতে সাইবার অপরাধের বিস্তার এতটাই বাড়ছে যে, এখন প্রতিটি ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রতি আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠেছে। সরকারের এই পদক্ষেপগুলো সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে একই সঙ্গে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি।

Leave a Comment