মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন অধ্যায়ের শুরু কি হতে যাচ্ছে?
বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন একটি প্রশ্ন—যুক্তরাষ্ট্র কি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে?
শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি ঘোষণা দিতে পারেন যা শুধু ফিলিস্তিন নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্য পাল্টে দিতে পারে। তবে এই ঘোষণার বড় শর্ত হলো—এই স্বীকৃত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে ‘হামাস’ এর কোনো স্থান থাকবে না।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
✅ কি বলছে কূটনৈতিক সূত্র?
মিডল ইস্ট মনিটরের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় অঞ্চলের এক প্রভাবশালী কূটনীতিক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন, ট্রাম্প একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ঘোষণা দিতে চলেছেন—তবে সেখানে হামাস থাকবে না।
এই ঘোষণার উদ্দেশ্য হলো, শান্তিপূর্ণ ও নিয়ন্ত্রিত একটি রাষ্ট্র গঠন, যেটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। এই ঘোষণা আগামী মে মাসের মাঝামাঝি, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে আসতে পারে।
আরো পড়ুন: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025– ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে আয় করার সহজ উপায়!
❓ সম্মেলনের গুরুত্ব কী?
এই সম্মেলনে উপসাগরীয় নেতাদের সঙ্গে বসবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এটিই হতে পারে তার দ্বিতীয় মেয়াদে সৌদি আরব সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ।
সম্মেলনে আলোচনায় থাকবে—
- নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা
- প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চুক্তি
- বড় বড় অর্থনৈতিক উদ্যোগ
➡️ বাদশাহ সালমান ছাড়া উপসাগরীয় সব নেতাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
❓ স্বীকৃতি মানেই কী সমাধান?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ফিলিস্তিনকে যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি হবে একটি যুগান্তকারী ঘোষণা। এতে করে আব্রাহাম চুক্তিতে আরও দেশ যুক্ত হতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন
এছাড়া এই সম্মেলনে অর্থনৈতিক চুক্তিগুলোর পাশাপাশি শুল্ক ছাড় নিয়েও আলোচনা হতে পারে, যা উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করবে।
❓ আপনি কী ভাবছেন?
ফিলিস্তিনের জন্য এটা কি নতুন শুরু হতে পারে? হামাসকে বাদ দিয়ে কি একটি স্থায়ী শান্তি সম্ভব?
আপনার মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন।
এই খবরটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন—বিশ্ব বদলানোর পথে একটা বড় পদক্ষেপ এটা হতে পারে!