যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রন্টডেস্ক মাত্র ২ মিনিটের অনলাইন মিটিংয়ে তাদের প্রায় ২০০ কর্মীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে এই বছরের শুরুতে, ১ জানুয়ারি মঙ্গলবার। ফ্রন্টডেস্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেসি ডিপিন্টো এ মিটিংয়ে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অসচ্ছতার অজুহাতে এ পদক্ষেপের কথা জানান।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম: ১০টি সহজ উপায়
সিইও জেসি ডিপিন্টো জানান, ব্যাংকের লোন, দেউলিয়াত্বের সম্ভাবনা সহ বিভিন্ন অসচ্ছলতার কারণে তারা এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি এপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে তা নতুন করে সাজিয়ে আবার ভাড়া দিত। বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের থেকে ২৬০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ নেওয়ার পরেও এ সংকটে পড়তে হয় তাদের। মূলত বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে নানান সমস্যার কারণে এ পরিস্থিতিতে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফ্রন্টডেস্ক এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ হাজারের অধিক বাড়ি ভাড়া দিয়েছে। তবে, এই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ পর্যন্ত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান একই রকম সমস্যার কারণে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্থিরতা ছড়িয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের হার মহামারির আগের সময়ের তুলনায় এখনো ৮ শতাংশ বেশি। এর অর্থ হলো, ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন চাহিদা কমে যাওয়ায় কর্মীদের বিদায় করা হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের চেনা পৃথিবী বদলে দিচ্ছে। চ্যাটজিপিটির কারণে কপি রাইটিং ও বিজ্ঞাপনের জগতে কাজ করা অনেক মানুষের কাজ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রাফিকসসহ নানা ধরনের কাজ করছেন, তাঁরাও চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন।
এই যুগের নীতি হলো, কমসংখ্যক মানুষ দিয়ে বেশি কাজ করানো। ফলে দক্ষ প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও প্রোগ্রামারদের সুসময় কেবল শুরু হচ্ছে বলেই মনে করে দ্য ইকোনমিস্ট। এই পরিস্থিতিতে ফ্রন্টডেস্কের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
2 thoughts on “২ মিনিটের মিটিংয়ে চাকরি হারালেন ২০০ কর্মী”