পথের শেষ কোথায়? জীবনের আছে,
জীবনের জন্য। যতটুকু দেখা যায় খালি চোখে
তারও বেশি ভালোবাসা, মায়া লেগে আছে পথে
সব থেমে যাবে, থামবে না হৃদয়
ঈছালে সওয়াব…
স্মৃতি যদি মুখ দেখায় কখনও স্বপ্নে
থুবড়ে পড়া আশার কলিরা যদি আসে, স্বপ্নে
ভুলে যেয়ো আমরাও একদিন মানুষ ছিলাম
আমরাও একদিন দুনিয়ায় চষে বেড়াতাম
কত-শত ধ্বংস সভ্যতা দেখেছি
কত-শত শহর দেখেছি
লাইলি-মজনুকে দেখেছি
দেখেছি দোর্দণ্ড ফারাওদের মমি
পুতুলের মতো পড়ে আছে সব, নিঃসঙ্গ-নিষ্প্রাণ
ইতিহাসের মরুভূমিতে অমাবস্যা রাত
তবু পথ থেমে নেই; হাঁটছে সে অসংখ্য বাঁক নিয়ে
জীবনের বাঁকে বাঁকে- সামনে মৃত্যুর আলেয়া তার।
ঘোর
তার পুরানো ঘ্রাণের গল্প নিয়ে শীত ফিরে আসে
আমাদের মাঝে দূরত্ব এখন দু’টি শহরের
এবং শীতকালে স্নিগ্ধ রোদের মায়ায়
যখন শিশির জমে ঘাসে ঘাসে
যতদূর বুঝি সে স্বপনেও ফিরবে না আর
এমনকি তার গল্পে এমন কিছু আছে
আমার পক্ষে বোঝা সত্যি দুরূহ!
বিভাজনের দেয়াল ভেদ করে
দুই প্রতিবেশীর উত্থিত কণ্ঠস্বর শোনা যায়
ভাবছি উত্তম প্রতিবেশী হওয়ার জন্য
আমি আর কী কী করতে পারি?
হৃদয়-নৌকাকে ঢেউয়ের সম্মুখে
ধাক্কা দিতে ইচ্ছে হয় মাঝেমধ্যে
তবুও অন্যের মধ্যে বন্দি থাকা অর্থহীন
জীবনের বাকি অর্ধেক পথ যখন অনিশ্চিত
আমি আগামীকাল নাকি গতকালের দিকে যাচ্ছি?
গাজা মেট্রো
আকাশে কপ্টার ভাসে
মরুভূমির বালুর মতো
ছ্যাঁৎ করে জান ওড়ে বহু দূর
জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে
মানুষের মৃত ছায়া উবে যায়
মুক্ত কারাগারে রাত্রির আঁধার
পাগলা কুকুরদের ঘেউঘেউ
আর ডাকাতের প্যাট্রোলিং
উদ্বাস্তু মালিক হলো, মালিক উদ্বাস্তু-
হ্যান কারেঙ্গা, ত্যান কারেঙ্গা
দর্শকের হম্বিতম্বি স্রেফ
মঞ্চের সীমানা নেই
ট্যাঙ্কগুলো ঢুকে যায়
ধ্বংস শহরের নিচে আরেক শহর
‘গাজা মেট্রো’ চালু থাকে সারা খন
বোমা-বৃষ্টি চেয়ে চেয়ে দেখে
দুনিয়াওয়ালারা
ভূমধ্যসাগরে রক্ত নামে
ধোঁয়াচ্ছন্ন উপত্যকা বেয়ে
উত্তাল ঢেউগুলো লালে লাল!