পোশাকশিল্প শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি: বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য একটি সুখবর এসেছে। মালিক ও শ্রমিকপক্ষের দীর্ঘ দর-কষাকষির পর তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির পরিমাণ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই ইনক্রিমেন্ট ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে এবং জানুয়ারির মজুরির সঙ্গে যুক্ত হবে।
এই সিদ্ধান্তটি শ্রম মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির পঞ্চম বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালিক, শ্রমিক এবং সরকারপক্ষের প্রতিনিধিরা সম্মত হন যে, শ্রমিকরা তাদের নিয়মিত ৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাবেন, যার ফলে মোট বৃদ্ধি হবে ৯ শতাংশ।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সাক্ষাৎকারে জানা গেছে, শ্রমিকপক্ষ প্রথমে ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দাবি করেছিলেন, তবে মালিকপক্ষ ৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ৯ শতাংশ ইনক্রিমেন্টে সমঝোতা হয়। এর ফলে, আগামী জানুয়ারি থেকে শ্রমিকরা তাদের মজুরি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকরা সবার সম্মতিতে এক যৌথ ঘোষণায় সই করেছেন, যা এই মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে কার্যকর করবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজিএমইএর সহকারী কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহম্মাদ, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা, এবং সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ভারত কি বিনা পয়সায় পণ্য দেয়— প্রশ্ন উপদেষ্টা সাখাওয়াতের
এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তবে, শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ এবং বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আরও আলোচনা চলবে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করে নতুন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কাজও শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পোশাকশ্রমিকরা গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়ায় একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন, যার ফলে এই বিষয়টি আরও তীব্রভাবে সামনে আসে। এরপর, সরকার ও মালিকপক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয় এবং ন্যূনতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন ও বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন সরকারি কর্মকর্তা
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, এই ৯ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিকদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি আনবে, তবে ন্যূনতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন আগামীতে আরো বড় প্রভাব ফেলবে।