সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে খালেদ মুহিউদ্দীন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের একটি টকশো। এই টকশোতে খালেদ মুহিউদ্দীন প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে কি সেই স্বাধীনতা এখনও বজায় আছে? তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট আমলে যেভাবে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করা হত, বর্তমানে কি তেমনটাই হচ্ছে না?
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
**** খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্ন
খালেদ মুহিউদ্দীন তার প্রশ্নে বলেন, “আমরা তো ছোট কলমে ধরেছি। কিন্তু এখন কি পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন দেখেন?” তিনি আরও বলেন, “যারা ১৫ বছর সুবিধা নিয়েছে তাদের জায়গায় কি আপনি একটা নতুন গোষ্ঠী দেখেন না?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি কঠোর সমালোচনা করেন।
**** ড. আলী রীয়াজের জবাব
ড. আলী রীয়াজ তার জবাবে বলেন, “এই ধরনের প্রশ্ন আমার খুব পছন্দের। প্রশ্ন কোথায় ছিলেন? এটা কে কোথায় ছিল সেটা তার ভূমিকা দিয়ে বোঝা যাবে।” তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন রকম অপ্রতিকার ঘটনাগুলো ঘটছে যেগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, দুই বছর আগে এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা সম্ভব ছিল না, কিন্তু এখন মানুষ বলতে পারছে যে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
**** সাংবাদিকতার স্বাধীনতা
ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আপনি যে পরিস্থিতির কথা বলছেন সেই পরিস্থিতিটা হচ্ছে, বিভিন্ন রকম অপ্রতিকার ঘটনাগুলো ঘটছে যেগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।” তিনি বলেন যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করার সময় অতীতের অভিজ্ঞতাগুলোও মনে রাখতে হবে।
**** বিতর্কিত মন্তব্য
টকশোর এক পর্যায়ে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, “আমরা তো বলছি স্যার। এই দুই বছর আগে বলা যাচ্ছে এই কথা তো ঠিক না।” তার এই মন্তব্যের পর ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আপনার যুক্তিটা খুব খুব ভয়াবহ যুক্তি। আপনি ডিফাইন করতে গিয়ে যা করছেন সেটা খুব খারাপ হচ্ছে।”
**** গণমাধ্যমের ভূমিকা
ড. আলী রীয়াজ আরও বলেন যে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সংবাদপত্রগুলো কীভাবে কাজ করেছে তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তিনি প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশে যখন নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সাল, ১৮ সাল ও ২৪ সাল। বলুন তো, কয়টা সংবাদপত্র বলতে পেরেছে যে, এইটা কমপ্লিটলি একটা ইলেজিটিমেট গভমেন্ট?”
**** সমালোচনা ও প্রশংসা
এই টকশোটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই ড. আলী রীয়াজের যুক্তি ও বক্তব্যকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে খালেদ মুহিউদ্দীনকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তার মন্তব্যের জন্য।
2 thoughts on “খালেদ মুহিউদ্দীন ও ড. আলী রীয়াজের বিতর্কিত টকশো- সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়”