ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা আয় হয় এবং এর উপর প্রভাবিত কারণসমূহ

প্রিয় ইউটিউবার বন্ধুরা, আপনার নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন যে, ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা আয় হয়। তাহলে আপনিক সঠিক জায়গায় এসেছেন। আসলে প্রত্যেকটা ইউটিবার বিশেষ করে যারা নতুন ইউটিউবার তাদের একটা কমন প্রশ্ন যে ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা আয় হয় এবং এর উপর প্রভাবিত কারণসমূহ কি কি?

ইউটিউবার বন্ধুরা, ইউটিউব বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওর ভিউ এবং বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন। একজন ইউটিউবার ঠিক কত টাকা আয় করবেন, তা নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। এর মধ্যে রয়েছে ভিডিওর বিষয়বস্তু, দর্শকদের অবস্থান, বিজ্ঞাপনের ধরন এবং ইউটিউবের বিজ্ঞাপন রেট।

১ মিলিয়ন ভিউকে সাধারণত একটি বড় মাইলফলক হিসেবে ধরা হয় কারণ এটি একটি ভিডিওর জনপ্রিয়তা এবং আয়ের সম্ভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। তবে আয়ের পরিমাণ নির্ধারণে শুধুমাত্র ভিউ সংখ্যা নয়, বরং অন্যান্য বিষয়গুলোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি যদি ইউটিউব এর সঠিক আয় জানতে চান, তাহলে ইউটিউব আয়ের মুলনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। চলুন বিস্তারিত জানি…

আরও পড়ুন: ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সেরা ৭ উপায়

Table of Contents

ইউটিউব আয়ের মূলনীতি

ইউটিউবে আয়ের প্রধান উৎস হলো বিজ্ঞাপন। ইউটিউবের Partner Program-এ যোগ দিয়ে চ্যানেল মালিকরা বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের অংশ পেয়ে থাকেন। তবে, এই আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে নিচের বিষয়গুলোর উপর:

  • CPM (Cost Per Mille): প্রতি ১,০০০ বিজ্ঞাপন ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা কত টাকা প্রদান করেন।
  • RPM (Revenue Per Mille): প্রতি ১,০০০ ভিউতে চ্যানেল মালিকদের হাতে কত টাকা আসে (YouTube তার ৪৫% রেখে দেয়)।

১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা আয় হয়?

১ মিলিয়ন ভিউতে আয় সাধারণত $১২০০ থেকে $৬০০০ (প্রায় ১,৩২,০০০ থেকে ৬,৬০,০০০ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই পরিমাণটি অনেক ফ্যাক্টরের উপর নির্ভরশীল:

  • নিচ (Niche): ফাইন্যান্স বা টেকনোলজি সম্পর্কিত ভিডিও বেশি আয় করে ($১৫-$৩০ CPM), যেখানে বিনোদনমূলক ভিডিও কম ($৩-$৭ CPM) আয় করে।
  • ভিউয়ার লোকেশন: উন্নত দেশের দর্শকদের থেকে বেশি CPM পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার দর্শকদের থেকে বাংলাদেশ বা ভারতের দর্শকদের তুলনায় কম আয় হয়।
  • ভিডিওর দৈর্ঘ্য: দীর্ঘ ভিডিওতে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ থাকে, যা আয় বাড়ায়।
RPM১ মিলিয়ন ভিউতে আয় (প্রায়)
$3$3,000
$10$10,000
$30$30,000

উদাহরণ:

  1. একটি সাধারণ বিনোদনমূলক চ্যানেল $$ $3-$5 $$ RPM পেতে পারে, ফলে ১ মিলিয়ন ভিউতে আয় হবে $$ $3,000-$5,000 $$।
  2. একটি ফিনান্স চ্যানেল $$ $20-$30 $$ RPM পেতে পারে, ফলে আয় হবে $$ $20,000-$30,000 $$।

তবে ইউটিউবে ভিডিও’র ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত উপার্জন করা যাবে, তা প্রভাবিত করে এমন কিছু মূল কারণ

ইউটিউবে আয় নির্ভর করে অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ হয় বিজ্ঞাপনের ধরন, দর্শকদের অবস্থান, ভিডিওর বিষয়বস্তু এবং ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের ওয়াচ টাইমের উপর। এখানে আমরা এই বিষয়গুলো বিশদভাবে ব্যাখ্যা করব।

১. অ্যাডভার্টাইজিং রেট (CPM)

CPM (Cost Per Mille) হলো প্রতি ১,০০০ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে বিজ্ঞাপনদাতারা যে অর্থ প্রদান করেন। এটি প্রধানত নির্ভর করে:

  • দর্শকদের অবস্থান: উন্নত দেশগুলোতে CPM বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে CPM $10-$30 পর্যন্ত হতে পারে, যেখানে ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এটি $1-$5 এর মধ্যে থাকে।
  • ভিডিওর বিষয়বস্তু: ফিনান্স, টেকনোলজি বা হেলথ সম্পর্কিত ভিডিওতে CPM তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
  • বিজ্ঞাপনের ধরন: স্কিপেবল অ্যাডের তুলনায় নন-স্কিপেবল অ্যাড বা স্পন্সরড কন্টেন্টে CPM বেশি হয়।

গড়ে, ইউটিউবে CPM $2-$12 এর মধ্যে থাকে। ফলে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে আয় হতে পারে $2,000-$12,000 পর্যন্ত।

২. ক্লিক-থ্রু রেট (CTR)

CTR (Click-Through Rate) হলো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ। CTR বেশি হলে আয়ও বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ:

  • যদি CTR ১০% হয়, তাহলে প্রতি ১০০ ভিউতে ১০টি ক্লিক হবে।
  • বিজ্ঞাপনের মান ও দর্শকদের আগ্রহ CTR বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. ভিউয়ারদের লোকেশন

দর্শকদের অবস্থান আয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উন্নত দেশগুলোর দর্শকরা সাধারণত বেশি মূল্যবান কারণ তাদের জন্য বিজ্ঞাপনদাতারা বেশি অর্থ প্রদান করেন। উদাহরণ:

  • যুক্তরাষ্ট্র: CPM $10-$30
  • ইউরোপ: CPM $8-$15
  • ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া: CPM $1-$5 [3]।

৪. ভিডিওর বিষয়বস্তু

ভিডিওর বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে CPM এবং CTR পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ:

  • ফিনান্স ও টেকনোলজি: উচ্চ CPM ($20-$30)
  • লাইফস্টাইল বা বিনোদনমূলক ভিডিও: গড় CPM ($3-$7)
  • গেমিং ও ট্রাভেল: মাঝারি CPM ($5-$15) [2][4]।

৫. ভিডিওর দৈর্ঘ্য

লম্বা ভিডিওতে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ:

  • একটি ১০ মিনিটের ভিডিওতে অন্তত দুইটি অ্যাড ব্রেক যোগ করা যায়।
  • বেশি বিজ্ঞাপন মানে বেশি আয়।

৬. ইউটিউব প্রিমিয়াম

যেসব দর্শক ইউটিউব প্রিমিয়ামের সাবস্ক্রাইবার, তারা বিজ্ঞাপন ছাড়াই ভিডিও দেখেন। তবে এই দর্শকদের দেখা ভিডিওগুলোর জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা আলাদা রাজস্ব পান। এটি নির্ভর করে প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের মোট ওয়াচ টাইমের উপর।

৭. ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ

স্পন্সরড কন্টেন্ট বা ব্র্যান্ড ডিল থেকে উপার্জনের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। উদাহরণ:

  • ছোট চ্যানেলগুলো প্রতি স্পন্সরড ভিডিও থেকে $২০০-$৫,০০০ পর্যন্ত আয় করতে পারে।
  • বড় চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রে এই আয় লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে [4]।

৮. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান

ইউটিউব থেকে আয় শুরু করতে হলে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে (YPP) যোগ দিতে হবে। শর্তসমূহ:

  1. কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  2. গত ১২ মাসে কমপক্ষে ৪,০০০ ঘণ্টা পাবলিক ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
  3. YouTube Shorts-এর ক্ষেত্রে গত ৯০ দিনে ১০ মিলিয়ন ভিউ থাকতে হবে [5]।

৯. উপার্জন ট্র্যাক করার উপায়

আপনার চ্যানেলের আয়ের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে YouTube Analytics ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে দেখাবে:

  • প্রতিটি ভিডিও কত আয় করছে।
  • কোন ধরনের কন্টেন্ট সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করছে।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা: জেনে নিন আয় বৃদ্ধির নিঞ্জা টেকনিক

১০০K ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়?

১০০K ভিউ থেকে আয় নির্ভর করে একই ফ্যাক্টরগুলোর উপর। গড়ে $$ $500-$700 $$ আয় হতে পারে যদি RPM $$ $5-$7 $$ হয়।

ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইমের ভূমিকা

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইমের ভূমিকা

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়:

  1. কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  2. গত ১২ মাসে কমপক্ষে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এবং আয়ের সম্পর্ক

সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা সরাসরি আয়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে বেশি সাবস্ক্রাইবার মানে বেশি দর্শক এবং বেশি বিজ্ঞাপনদাতার আগ্রহ।

ইউটিউবে প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে আয় কত?

ইউটিউবে ১০ লাখ ভিউয়ের জন্য আয়ের পরিমাণ বিষয়বস্তু, দর্শকগোষ্ঠী, এবং বিজ্ঞাপনের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ২০২০ সালে বিজনেস ইনসাইডার তিনজন ইউটিউবারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে, যা থেকে বিভিন্ন চ্যানেলের আয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়:

সেমিডকোকো (SemideCoco)

  • আয়: ১১ লাখ ভিউ থেকে $৩,৪৭০ (প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা)।
  • বিস্তারিত: সেমিডকোকো একটি ASMR চ্যানেল পরিচালনা করেন। তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছিল দেড় লাখ। ASMR ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সাধারণত শুরুতেই থাকে, মাঝখানে বা শেষে থাকে না, যা আয়ের সম্ভাবনা কিছুটা কমিয়ে দেয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে দর্শক ভিডিও দেখেন এবং বারবার ফিরে আসেন, যা আয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক।

জেড ডার্মাওয়াংসা (Jade Darmawangsa)

  • আয়: ১২ লাখ ভিউ থেকে $৩,৬০০ (প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা)।
  • বিস্তারিত: জেড ডার্মাওয়াংসা ‘হাউ টু গ্রো অন ইনস্টাগ্রাম’ শিরোনামের ভিডিও থেকে এই আয় করেছেন। তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৮ লাখ। তার ভিডিওর CPM (Cost Per Mille) ছিল $৮ থেকে $১৫ এর মধ্যে।

শেলবি চার্চ (Shelby Church)

  • আয়: ১০ লাখ ভিউ থেকে $২,০০০ থেকে $৩০,০০০ (প্রায় ২ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা)।
  • বিস্তারিত: শেলবি চার্চের আয় ভিডিওর বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন ফালফিলমেন্ট সার্ভিস নিয়ে একটি ভিডিওর ১৮ লাখ ভিউ থেকে তিনি $৩০,০০০ আয় করেছেন। সাধারণত তার প্রযুক্তি সম্পর্কিত ভিডিওগুলো বেশি আয় করে।
ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা
ইউটিউবে শর্টস থেকে আয়

ইউটিউব শর্টস থেকে আয়

ইউটিউব শর্টসের জন্য আলাদা রাজস্ব মডেল রয়েছে। শর্টস ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য YouTube মোট রাজস্বের একটি অংশ “Creator Pool”-এ রাখে। শর্টস থেকে প্রতি ১,০০০ ভিউতে আয় তুলনামূলকভাবে কম (\$0.01-\$0.05)।

আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম: বিকাশ, নগদ বা রকেটে পেমেন্ট

SEO টিপস: ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্ক বাড়ানোর উপায়

আপনার ভিডিওকে সহজেই খুঁজে পেতে এবং বেশি ভিউ পেতে নিচের টিপস অনুসরণ করুন:

  1. ভিডিও টাইটেলে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  2. প্রথম ২৫ শব্দে কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।
  3. ভিডিওর বিবরণে বিস্তারিত তথ্য দিন (কমপক্ষে ২৫০ শব্দ)[8][9]।
  4. জনপ্রিয় ট্যাগ ব্যবহার করুন।
  5. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করুন।

উপসংহার

ইউটিউবে এক মিলিয়ন ভিউ থেকে আয়ের পরিমাণ $$ $1,000-$30,000 $$ পর্যন্ত হতে পারে। এটি নির্ভর করে আপনার চ্যানেলের বিষয়বস্তু, দর্শকদের অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনের ধরনের উপর। সঠিক কৌশল ও SEO অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেলের আয় বাড়াতে পারেন।

আপনার চ্যানেলের বিষয়বস্তু এবং দর্শকদের সাথে সঠিকভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারলে ইউটিউবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উপার্জন সম্ভব।

ইউটিউবে আয়ের বিষয়ে সাধারণ প্রশ্নোত্তর (F&Q)

১. ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা আয় হয়?

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে আয় সাধারণত $১,২০০ থেকে $৩০,০০০ এর মধ্যে হতে পারে। এটি নির্ভর করে ভিডিওর বিষয়বস্তু, দর্শকদের অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনের ধরন ও মানের উপর।

২. ইউটিউবে ১ ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়?

প্রতি ভিউতে আয় $0.002 থেকে $0.012 এর মধ্যে হতে পারে। এটি নির্ভর করে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সংখ্যা এবং দর্শকদের এনগেজমেন্টের উপর।

৩. ইউটিউবে ১০০K ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়?

১০০K ভিউ থেকে গড়ে $৫০০ থেকে $৩,০০০ পর্যন্ত আয় হতে পারে। বিষয়বস্তু এবং দর্শকদের অবস্থান অনুযায়ী এই পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে।

৪. ইউটিউব ১ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কত টাকা দেয়?

ইউটিউব সরাসরি ওয়াচ টাইমের জন্য অর্থ প্রদান করে না। তবে বেশি ওয়াচ টাইম মানে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ, যা আয় বাড়ায়।

৫. ইউটিউবে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হলে কত টাকা পাওয়া যায়?

১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকা চ্যানেল সাধারণত মাসে $৩০ থেকে $৩০০ পর্যন্ত আয় করতে পারে যদি তারা YouTube Partner Program (YPP)-এ যোগ দেয় এবং পর্যাপ্ত ভিউ পায়।

৬. ইউটিউবে প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে আয় কত?

প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে গড়ে $১,২০০ থেকে $১৫,০০০ পর্যন্ত আয় হতে পারে। তবে উচ্চ-মূল্যের বিষয়বস্তু (যেমন ফিনান্স বা টেকনোলজি) থাকলে এটি $৩০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

৭. ইউটিউব শর্টসের জন্য প্রতি ১০০০ ভিউয়ে কত টাকা দেয়?

ইউটিউব শর্টসের জন্য প্রতি ১০০০ ভিউয়ে গড়ে $0.01-$0.05 পাওয়া যায়। শর্টসের RPM (Revenue Per Mille) তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

৮. কত সাবস্ক্রাইবার হলে ইউটিউব থেকে টাকা পাওয়া যায়?

ইউটিউব থেকে আয় শুরু করার জন্য চ্যানেলে কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘণ্টা পাবলিক ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

৯. ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়?

ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশনেও CPM নির্ভর করে। গড়ে প্রতি ১ মিলিয়ন ভিউয়ে ফেসবুক $৫০০ থেকে $১৫,০০০ পর্যন্ত দিতে পারে, তবে এটি ইউটিউবের তুলনায় কম।

Juger Alo Google Newsযুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

Leave a Comment