নিজের পিতার, দাদার বা পারিবারিক জমির দলিল খুঁজে পাচ্ছেন না?
কাগজপত্র হারিয়ে গেছে, কবে রেজিস্ট্রি হয়েছিল তাও জানা নেই—তবুও মনটা বলছে, “এই জমির একটা প্রমাণ কোথাও আছে!”
এই অজানা দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মাঝেই হয়তো আপনি দিন পার করছেন।
আপনার মতো অনেকেই আছেন—যারা ভেবেছেন, পুরাতন দলিল খোঁজা মানেই দালালের দ্বারে দ্বারে ঘোরা, ঘুষ দেওয়া আর অনিশ্চিত প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করা।
কিন্তু এখন সময় বদলেছে।
আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটাই হতে পারে আপনার জমির নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
হ্যাঁ, পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে—এই কথাটি এখন আর শুধু আশ্বাস নয়, একদম বাস্তবতা!
এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন—
➡️ দলিল আসলে কী?
➡️ কীভাবে রেজিস্ট্রেশন হয় এবং কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
➡️ পুরাতন দলিল ও নতুন দলিলের পার্থক্য কী?
➡️ কিভাবে আপনি কোনো দালাল ছাড়াই, ঘরে বসে মোবাইলে দলিল বের করতে পারেন?
যদি আপনি সত্যিই চান আপনার পারিবারিক সম্পত্তির অধিকার নিজ হাতে রাখতে, তাহলে এই লেখা আপনার জন্য এক রক্ষাকবচ।
তো আর দেরি কেন? চলুন, ধাপে ধাপে জেনে নিই নিজের মোবাইল দিয়েই কিভাবে খুঁজে পাবেন আপনার হারিয়ে যাওয়া দলিল।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
দলিল কি? – ৯৯% মানুষ জানে না!
দলিল মানে কী?
দলিল হলো একটি লিখিত কাগজপত্র যা প্রমাণ করে আপনি কোনো সম্পত্তির (যেমন: জমি, বাড়ি) মালিক। সহজ ভাষায়, দলিল হলো সেই কাগজ যা বলে—”এই জিনিসটি আমার।”
✅ দলিল কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আরও পড়ুন
- মালিকানা প্রমাণ:
দলিল ছাড়া আপনি আইনিভাবে দেখাতে পারবেন না যে আপনি কোনো সম্পত্তির মালিক। - ক্রয়-বিক্রয়ের ভিত্তি:
জমি বা বাড়ি কেনাবেচার সময় দলিলই মূল কাগজ, যেটা দেখে মানুষ বিশ্বাস করে। - ব্যাংক লোন:
জমির দলিল না থাকলে ব্যাংক কখনো লোন দেবে না। - সরকারি রেকর্ডে নাম অন্তর্ভুক্তি:
দলিল না থাকলে নাম খতিয়ানে উঠবে না। এতে কর দিতে সমস্যা হবে।
✅ দলিল না থাকলে কী সমস্যা হতে পারে?
- সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা:
কেউ যদি আপনার সম্পত্তি নিয়ে দাবি করে, আপনি দলিল ছাড়া প্রমাণ করতে পারবেন না। - মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীরা সমস্যায় পড়বে:
আপনার মৃত্যুর পর সন্তান বা পরিবার যদি দলিল না পায়, তারা মালিকানা নিতে পারবে না। - জমি বিক্রি করতে পারবেন না:
দলিল ছাড়া কেউ জমি কিনবে না। ফলে বিক্রিও আটকে যাবে। - কোর্টে কোনো সুরক্ষা থাকবে না:
দলিল ছাড়া আপনি কোর্টে গিয়েও কোনো আইনি সাহায্য পাবেন না।
দলিলের প্রকারভেদ – কোনটা আপনার প্রয়োজন?
জমি বা সম্পত্তি লেনদেনে বিভিন্ন ধরনের দলিল ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি দলিলের রয়েছে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। আসুন জেনে নেই প্রধান দলিলগুলোর ধরন এবং কখন কোনটা ব্যবহার হয়:
✅ দলিলের প্রকার
দলিলের নাম | কখন লাগে (ব্যবহারিক পরিস্থিতি) | বিশেষ মন্তব্য |
---|---|---|
বিক্রয় দলিল (Sale Deed) | জমি বা সম্পত্তি টাকা দিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করলে | রেজিস্ট্রি বাধ্যতামূলক |
হস্তান্তর দলিল (Transfer Deed) | বিনামূল্যে বা বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর হলে | দান নয়, কিন্তু মালিকানা পরিবর্তন হয় |
দানপত্র (Gift Deed) | কাউকে জমি বা সম্পত্তি উপহার হিসেবে দিলে | অর্থ ছাড়া, পরিবারের মধ্যে বেশি ব্যবহৃত |
উত্তরাধিকার দলিল (Inheritance Deed) | মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি উত্তরাধিকারদের মধ্যে ভাগ হলে | ওয়ারিশ সনদ ও খতিয়ান দরকার |
বন্ধক দলিল (Mortgage Deed) | লোনের জন্য জমি বন্ধক দিলে | ব্যাংক বা ব্যক্তির কাছে বন্ধক রাখা হয় |
বন্টন দলিল (Partition Deed) | একাধিক উত্তরাধিকারীদের মধ্যে জমি আইনিভাবে ভাগ করলে | পারিবারিক বিরোধ এড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ |
✅ ১. বিক্রয় দলিল (Sale Deed)
➡️ যখন প্রয়োজন হয়:
- জমি বা সম্পত্তি কেউ কাউকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করলে
- ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়ায় এই দলিল বাধ্যতামূলক
✔️ বিশেষ টিপস: দলিল নিবন্ধন ছাড়া বিক্রয় আইনি হবে না।
✅ ২. হস্তান্তর দলিল (Transfer Deed)
➡️ যখন প্রয়োজন হয়:
- কোনো সম্পত্তি এক মালিক থেকে অন্য মালিকের নামে হস্তান্তর করা হলে
- এটি বিনিময়, বদল বা বিনামূল্যেও হতে পারে
✔️ ব্যবহার হয়: যেমন জমি দান নয়, শুধু হস্তান্তর।
✅ ৩. দানপত্র (Gift Deed)
➡️ যখন প্রয়োজন হয়:
- সম্পত্তি বা জমি পরিবারের কাউকে বা অন্য কাউকে উপহার (দান) দিতে চাইলে
- অর্থ ছাড়া বিনামূল্যে দেওয়া হয়
✔️ উদাহরণ: বাবা মেয়েকে জমি দান করলেন।
✅ ৪. উত্তরাধিকার দলিল (Inheritance Deed)
➡️ যখন প্রয়োজন হয়:
- কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার সন্তান/ওয়ারিশরা জমি ভাগ করে নেন
- মৃত্যুর পরে সম্পত্তির আইনগত মালিকানা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়
✔️ জরুরি: ওয়ারিশান সনদ ও হাল নাগাদ খতিয়ান প্রয়োজন হয়।
✅ ৫. বন্ধক দলিল (Mortgage Deed)
➡️ যখন প্রয়োজন হয়:
- জমি বা বাড়ি বন্ধক রেখে ব্যাংক/ব্যক্তি থেকে লোন নিলে
- এই দলিলে বন্ধকের শর্তাবলী লেখা থাকে
✔️ সতর্কতা: সময়মতো ঋণ শোধ না করলে জমি চলে যেতে পারে।
✅ ৬. বন্টন দলিল (Partition Deed)
➡️ যখন প্রয়োজন হয়:
- ভাইদের মধ্যে জমি ভাগাভাগি হলে
- উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জমি আইনগতভাবে আলাদা করার জন্য
✔️ ভালো দিক: ভবিষ্যতে কোনো পারিবারিক বিরোধ এড়ানো যায়।
অবশ্যই! নিচে ✅ দলিল নিবন্ধন (Registration) সম্পর্কে বিস্তারিত ও মানবিকভাবে ব্যাখ্যা করা হলো, যাতে সাধারণ পাঠকও সহজে বুঝতে পারেন।
আপনার প্রয়োজনে দলিলের ধরন বুঝে অনুসন্ধান শুরু করুন।
✅ দলিল নিবন্ধন (Registration) – কেন ও কখন করতে হয়?
আপনি হয়তো জমি কিনেছেন, দানপত্র করেছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পেয়েছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন — দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধন না করলে সেই দলিল আইনের চোখে অকার্যকর হয়ে যায়?
এটা এমন যেন, আপনি বিয়ে করেছেন কিন্তু বিয়ে নিবন্ধন করেননি—সেই সম্পর্কের কোন আইনি ভিত্তি নেই। জমির দলিলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি ঠিক তেমনই।
✅ কেন দলিল নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে?
- আইনি বৈধতা পেতে
দলিল যতই সঠিকভাবে লেখা হোক, তা রেজিস্ট্রি অফিসে নথিভুক্ত না হলে সেটি আইনে অকার্যকর। - সরকারি রেকর্ডে মালিকানা নিশ্চিত করতে
নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকার আপনার মালিকানা স্বীকার করে নেয়। - ভবিষ্যতে বিরোধ বা প্রতারণা ঠেকাতে
রেজিস্টার্ড দলিল থাকলে কেউ আপনাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না। - ব্যাংক লোন, নামজারি ও জমি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয়
নিবন্ধিত দলিল ছাড়া আপনি ব্যাংক লোন নিতে পারবেন না, খতিয়ান পরিবর্তন বা নামজারিও সম্ভব নয়।
✅ কখন দলিল নিবন্ধন করতে হয়?
- জমি বিক্রয়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক
- পুরাতন দলিল যদি এখনও নিবন্ধিত না হয়, তাহলে সেটিকে রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করে নিবন্ধন করতে হবে
➡️ মনে রাখবেন: ৪ মাসের বেশি দেরি হলে অতিরিক্ত ফি দিতে হয়, এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিলও হতে পারে।
✅ নতুন দলিল নিবন্ধনের নিয়ম
১. স্ট্যাম্প পেপার কিনুন – দলিলের মূল অংশ এতে লেখা হয়
২. দলিল তৈরি করুন – আইনজীবীর মাধ্যমে প্রস্তুত করুন
৩. দলিলকার, সাক্ষী ও ক্রেতা/বিক্রেতা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে যান
৪. রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল উপস্থাপন করুন
৫. রেজিস্টার অফিসার দলিল যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন
✅ পুরাতন দলিল নিবন্ধনের নিয়ম
যদি আপনি কোনো পুরনো দলিল পান যেটি রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাহলে নিচের পদক্ষেপ অনুসরণ করুন:
- দলিলের সত্যতা যাচাই করুন (স্থানীয় ইউনিয়ন বা ভূমি অফিসে)
- প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প মূল্য নির্ধারণ করুন
- রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করুন পুনঃনিবন্ধনের জন্য
- জরিমানা বা দেরির চার্জ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন
✅ রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রক্রিয়া (সাধারণ ধারণা)
- দলিলের মূল্যের উপর নির্ভর করে 6%-7% ফি
- এর মধ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশন ফি, VAT, দাতব্য ফি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে
- দলিল যত বড় ও মূল্যবান হবে, তত ফি বেশি হবে
✅ বাস্তব উদাহরণ
মো. সোহেল নামে একজন জমি কিনেছেন তার মামার কাছ থেকে, দলিলও হয়েছে। কিন্তু তিনি রেজিস্ট্রি করেননি। বছর দুই পর দেখা গেল, জমিটি অন্য কারও নামে দলিল হয়ে গেছে। কারণ? সোহেলের দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি, তাই তার দলিলকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি প্রশাসন।
➡️ শিক্ষা: দলিল হাতে পাওয়ার পর দেরি না করে রেজিস্ট্রেশন করুন।
✅ সংক্ষেপে মনে রাখুন:
- দলিল রেজিস্ট্রি না হলে, জমির মালিকানা আপনি দাবি করতে পারবেন না
- নতুন হোক বা পুরাতন—প্রতিটি দলিল নিবন্ধন করুন
- মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে রেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া এখন খুব সহজ
আরও পড়ুন: ফেসবুক স্টোরি থেকে আয়ের সুযোগ: কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সুখবর, পারবনে আপনিও
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে – ধাপে ধাপে গাইড
✅ ধাপ ১: মোবাইলে ইন্টারনেট চালু করুন
পুরাতন দলিল খুঁজতে আপনার স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকা বাধ্যতামূলক। WiFi বা মোবাইল ডেটা যেটাই হোক, চললেই হবে।
✅ ধাপ ২: সরকারি ওয়েবসাইটে যান
আপনার মোবাইলের ব্রাউজার (Chrome, Safari) খুলে ঢুকুন নিচের যেকোনো সরকারি সাইটে:
➡️ www.eporcha.gov.bd
➡️ www.land.gov.bd
➡️ www.dlrs.gov.bd
✅ ধাপ ৩: উপযুক্ত সার্ভিস নির্বাচন করুন
সাইটে ঢুকে নিচের যেকোনো সার্ভিস সিলেক্ট করুন (যেটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য):
- দলিল অনুসন্ধান
- নামজারি অবস্থা
- খতিয়ান অনুসন্ধান
- মালিকানা যাচাই
- দাগ/খতিয়ান অনুযায়ী তথ্য
✅ ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় তথ্য দিন
আপনার হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী ফর্ম পূরণ করুন:
➡️ আপনি যেটা দিতে পারেন, সেটা দিন:
- দলিল নম্বর
- দাগ নম্বর
- খতিয়ান নম্বর
- মালিকের নাম
- মৌজা নাম, জেলা, উপজেলা
➡️ যত বেশি তথ্য দিতে পারবেন, তত সহজে খুঁজে পাবেন দলিল।
✅ ধাপ ৫: তথ্য যাচাই করুন
তথ্য দেওয়ার পর সিস্টেম থেকে পুরোনো দলিলের বিবরণ আসবে:
- জমির মালিকের নাম
- দলিল নম্বর
- দলিলের তারিখ
- জমির পরিমাণ
- খতিয়ান ও দাগ নম্বর
✅ ধাপ ৬: প্রিন্ট বা স্ক্রিনশট নিন
আপনি চাইলে তথ্যটি স্ক্রিনশট নিতে পারেন বা PDF আকারে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
➡️ টিপস: পরবর্তীতে অফিসে দলিলের নকল তুলতে এই তথ্য কাজে লাগবে।
✅ বিশেষ টিপস:
- অনেক পুরাতন দলিল অনলাইনে না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
- দলিল নাম্বার, দাগ নাম্বার, খতিয়ান নম্বর—সব তথ্য যতটা সম্ভব সংরক্ষণ করে রাখুন।


পুরাতন দলিল তল্লাশি – এখন আপনি নিজেই পারবেন
আপনি যদি জানতে চান “পুরনো দলিল কিভাবে বের করব?” তাহলে জেনে রাখুন, এটি এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্ভব।
আপনার মোবাইলে একটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই চলবে।
✅ অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম
১. ভিজিট করুন: http://www.eporcha.gov.bd
২. সার্ভিস সিলেক্ট করুন: দলিল, খতিয়ান, নামজারি বা মালিকানা যাচাই
3. তথ্য দিন:
- দলিল নম্বর
- দাগ নম্বর
- মৌজা, উপজেলা, জেলা
- অথবা মালিকের নাম
- সাবমিট করুন এবং দলিল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যান।
✅ নাম দিয়ে জমির দলিল খোঁজার উপায়
আপনার দাদার বা বাবার নাম মনে থাকলে আপনি নাম দিয়েই জমির দলিল খুঁজে বের করতে পারেন।
এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় পুরোনো জমির দলিলও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়, যদি তা রেকর্ডে থেকে থাকে।
✅ দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম বের করার নিয়ম
প্রথমে আপনার জমির দাগ নম্বর জানতে হবে, যা খতিয়ানে লেখা থাকে। এরপর:
- ওয়েবসাইটে যান
- দাগ নম্বর দিন
- জেলা/উপজেলা/মৌজা নির্বাচন করুন
- আপনি পাবেন মালিকের নাম এবং জমির বিস্তারিত
✅ দলিল নাম্বার দিয়ে দলিল বের করা – ১০ সেকেন্ডেই!
আপনার কাছে যদি শুধু দলিল নম্বর থাকে, তাহলে:
১. অনলাইনে গিয়ে দলিল অনুসন্ধান অপশন দিন
২. দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রি অফিস, এবং রেজিস্ট্রেশনের সাল বসান
৩. আপনি পাবেন পুরো দলিলের রেকর্ড
আরও পড়ুন : ২৪০ টাকা ফ্রী বিকাশ পেমেন্ট – সত্যিটা কী? অফার নেই, কিন্তু ইনকামের সুযোগ আছে!
দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫ – জানুন কত টাকা লাগবে
পুরনো দলিল হারিয়ে গেছে বা জমির মালিকানা প্রমাণে নকল কপির প্রয়োজন? চিন্তা নেই! আপনি চাইলে সরকারি রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করে দলিলের নকল কপি (Certified Copy) তুলতে পারবেন।
কিন্তু অনেকেই জানতে চান— ২০২৫ সালের দলিলের নকল তোলার খরচ কত?
✅ সরকার নির্ধারিত খরচ (২০২৫)
২০২৫ সালে দলিলের নকল তোলার খরচ নির্ধারিত হয়েছে সরকারিভাবে এবং তা সাধারণত হয়ে থাকে:
- ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত
- এটি নির্ভর করে:
- দলিলের পৃষ্ঠাসংখ্যা (Pages)
- কাগজের ধরন (সাদা কপি / জলছাপ কপি)
- জরুরি কপি চাইলে আলাদা ফি
✅ অতিরিক্ত চার্জ? সাবধান!
➡️ অনেকে দলিলের কপি তোলার সময় দালালের মাধ্যমে ১০০০–২০০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করে বসে।
➡️ এটি সম্পূর্ণ বেআইনি।
➡️ সতর্কতা:
যে কোনো রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে নিজে আবেদন করলে আপনি আসল সরকারি রশিদসহ এই সেবাটি পেতে পারেন ন্যায্য খরচে।
✅ দলিলের নকল তোলার জন্য যা লাগবে:
- আবেদনকারীর পরিচয়পত্র (NID বা জন্মসনদ)
- দলিল নম্বর ও সাল
- রেজিস্ট্রি অফিসের নাম
- আবেদন ফি
- আবেদন ফর্ম (অনেক অফিসে অনলাইনেও পাওয়া যায়)
✅ কত দিনে কপি পাওয়া যায়?
- জরুরি (Express) আবেদন করলে ১–২ দিনের মধ্যে পাওয়া সম্ভব (ভিন্ন ফি প্রযোজ্য)
- সাধারণভাবে ৩–৭ কর্মদিবসের মধ্যে কপি প্রদান করা হয়
দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম
আপনি চাইলে খুব সহজেই রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিলের সার্টিফাইড কপি (Certified Copy) সংগ্রহ করতে পারেন—যা আইনের দৃষ্টিতে বৈধ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে মূল কপির মতোই গ্রহণযোগ্য।
✅ সার্টিফাইড কপি মানে কী?
সার্টিফাইড কপি হলো রেজিস্ট্রি অফিসের দেওয়া দলিলের অফিসিয়াল অনুলিপি, যেখানে সরকার নিজেই নিশ্চিত করে যে এটি মূল দলিলের হুবহু কপি। এটি:
- আইনগতভাবে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য
- জমি যাচাই, নামজারি, ব্যাংক লোন, আদালতে ব্যবহারে কার্যকর
- মূল দলিল হারালে বা খুঁজে না পেলে চরমভাবে প্রয়োজনীয়
কিভাবে সার্টিফাইড কপি তুলবেন? (ধাপে ধাপে গাইড)
✅ ধাপ ১: তথ্য সংগ্রহ করুন
আপনার কাছে যেসব তথ্য থাকতে হবে:
- দলিল নম্বর
- রেজিস্ট্রেশনের সাল
- রেজিস্ট্রি অফিসের নাম
- জমির অবস্থান (জেলা, উপজেলা, মৌজা)
- জমির মালিকের নাম (যদি থাকে)
✅ ধাপ ২: রেজিস্ট্রি অফিসে যান
নিকটস্থ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে “সার্টিফাইড কপি আবেদনের ফর্ম” সংগ্রহ করুন অথবা অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন।
➡️ অনলাইন ফর্ম: www.dlrs.gov.bd (যদি অপশন চালু থাকে)
✅ ধাপ ৩: আবেদনপত্র পূরণ করুন
- তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা বৈধ পরিচয়পত্র সংযুক্ত করুন
- প্রয়োজনীয় আবেদন ফি জমা দিন (সাধারণত ২০০–৫০০ টাকা)
✅ ধাপ ৪: আবেদন জমা দিন
আবেদনপত্র এবং কাগজপত্র সহ রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিন। অফিসার আপনার তথ্য যাচাই করে প্রসেসিং শুরু করবেন।
✅ ধাপ ৫: কপি সংগ্রহ করুন
সাধারণত ৩–৭ কর্মদিবসের মধ্যে আপনি সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
জরুরি প্রয়োজন হলে এক্সপ্রেস সার্ভিসও পাওয়া যেতে পারে।
✅ বিশেষ সতর্কতা:
- দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কাজ না করাই ভালো
- সব সময় অফিস থেকে দেওয়া প্রাপ্তির রশিদ (Receipt) সংগ্রহ করুন
- ভুল তথ্য দিলে কপি দিতে দেরি হতে পারে, তাই যাচাই করে তথ্য দিন
✅ সার্টিফাইড কপি কবে লাগে?
- নামজারি/মিউটেশন করতে
- মূল দলিল হারিয়ে গেলে
- জমি বিক্রির পূর্বে যাচাই করতে
- ব্যাংক লোন নিতে
- আদালতে জমির মালিকানা প্রমাণে
জমির দলিল কিভাবে যাচাই করব?
বাংলাদেশে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সবচেয়ে বড় যে ঝুঁটি থাকে, তা হলো জাল দলিল বা ভুয়া কাগজপত্র। প্রতারণার ফাঁদে পড়লে শুধু অর্থ হারানোর ঝুঁকিই নয়, আইনি জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তাই জমির দলিল যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। নিচে ধাপে ধাপে জমির দলিল যাচাইয়ের পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
১. অনলাইনে যাচাই করুন
বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইন দলিল যাচাইয়ের সুযোগ দিয়েছে।
- https://www.eporcha.gov.bd/ অথবা
- https://land.gov.bd/
ওয়েবসাইটে গিয়ে খতিয়ান, দাগ নম্বর, মৌজা ইত্যাদি তথ্য দিয়ে যাচাই করতে পারেন দলিলের সত্যতা।
২. রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে যাচাই
জমির দলিল কোথায় রেজিস্ট্রি হয়েছে, সেই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিলের কপি যাচাই করতে হবে।
- মূল দলিলটি সত্যিকারের রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে কিনা
- রেজিস্ট্রেশনের নম্বর ও সাল মেলে কিনা
- দলিল লেখক ও সাক্ষীদের নাম সঠিক কিনা
এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে।
৩. খতিয়ান ও দাগ যাচাই
দলিলে উল্লেখিত খতিয়ান (CS, SA, RS) ও দাগ নম্বরের তথ্য সার্ভে খতিয়ানের সাথে মিলে কিনা, তা যাচাই করতে হবে।
- জমির অবস্থান, মালিকানা, শ্রেণি (বসতভিটা/আবাদি) সঠিকভাবে মিলিয়ে নিতে হবে।
- প্রয়োজনে ভূমি অফিস (ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) বা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
জমির দলিল হারিয়ে গেলে কিভাবে পাওয়া যাবে?
দলিল হারিয়ে যাওয়া মানেই অজস্র ঝামেলার শুরু—তবে চিন্তার কিছু নেই! সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনি সহজেই দলিলের সার্টিফাইড কপি পেতে পারেন এবং আইনি জটিলতাও এড়াতে পারবেন। নিচে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে দলিল ফেরত পাওয়ার উপায় তুলে ধরা হলো:
✅ ১. নিকটস্থ থানায় জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করুন
প্রথমেই দলিল হারানোর বিষয়ে আপনার আশপাশের থানায় একটি জিডি করুন।
- জিডির কপিটি পরবর্তী আইনি কাজে প্রয়োজন হবে
- দলিল হারানোকে স্বীকৃত ঘটনা হিসেবে প্রমাণ করতে সাহায্য করবে
✅ ২. সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করুন
যে অফিসে দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়েছিল, সেখানে গিয়ে সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করুন।
- পূর্বের দলিল নম্বর ও সাল দিতে পারলে দ্রুত কপি পাওয়া সহজ হয়
- প্রয়োজন হলে দলিল লেখক বা আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন
✅ ৩. অনলাইনে দলিল খুঁজে দেখুন
অনেক সময় জাতীয় ভূমি তথ্য ও সেবা পোর্টালে (https://www.eporcha.gov.bd/) দলিল বা খতিয়ান সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
- দলিলের নম্বর, রেজিস্ট্রেশন সাল, জেলা ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য দিয়ে সার্চ করুন
- অনলাইনে তথ্য মেলে গেলে তা রেজিস্ট্রি অফিসে দেখিয়ে সহজে কপি সংগ্রহ করা যায়
টিপস:
হারানো দলিল পুনরুদ্ধার করতে গেলে সময় ও ধৈর্য দরকার। সবসময় দলিলের একাধিক ফটোকপি এবং স্ক্যান কপি সংরক্ষণে রাখুন—ভবিষ্যতে বড় বিপদ থেকে বাঁচবেন!
খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমি কিভাবে চেক করব?
ধরুন, আপনি একটা জমি কিনতে যাচ্ছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমির মালিকানা যাচাই করতে চান। কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। চিন্তার কিছু নেই—শুধু খতিয়ান নম্বর থাকলেই আপনি ঘরে বসেই জানতে পারবেন সেই জমির প্রকৃত মালিক কে, দাগ নম্বর কী, এমনকি জমির শ্রেণিও।
এই সহজ ৪ ধাপে আপনি নিজেই জমির তথ্য বের করতে পারবেন:
✅ ১. অনলাইনে খতিয়ান যাচাই সেবায় প্রবেশ করুন
ভিজিট করুন https://www.eporcha.gov.bd/ – এটি সরকারের অফিশিয়াল পোর্টাল যেখানে আপনি জমির খতিয়ান ও মালিকানা তথ্য চেক করতে পারবেন।
✅ ২. সঠিক জেলা, উপজেলা ও মৌজা সিলেক্ট করুন
যে জমি সম্পর্কে জানতে চান, তার অবস্থান অনুযায়ী জেলা, উপজেলা এবং মৌজা সঠিকভাবে নির্বাচন করুন। ভুল নির্বাচন করলে ভুল তথ্য আসতে পারে, তাই এই ধাপে সতর্ক থাকুন।
✅ ৩. খতিয়ান নম্বর দিন
আপনার কাছে থাকা CS, SA বা RS খতিয়ান নম্বরটি নির্দিষ্ট ঘরে টাইপ করুন। প্রয়োজনে দলিল বা জমির দলিল লেখকের কাছ থেকে নম্বরটি সংগ্রহ করুন।
✅ ৪. জমির বিস্তারিত তথ্য দেখে নিন
এবার আপনি দেখতে পাবেন জমির বর্তমান মালিক, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, শ্রেণি এবং পূর্ববর্তী মালিকানার ইতিহাসসহ আরও অনেক তথ্য।
টিপস:
খতিয়ান চেক করার সময় একই মৌজার একাধিক খতিয়ান থাকতে পারে, তাই তথ্য মিলিয়ে যাচাই করুন। জমির সুরক্ষার জন্য নিয়মিত অনলাইনে খতিয়ান যাচাই একটি ভালো অভ্যাস।
পুরাতন জমির দলিল ডাউনলোড করুন শুধুমাত্র নাম দিয়ে
আপনার দাদার বা প্রপিতামহের নামে কোনো জমি ছিল বলে শুনেছেন, কিন্তু কাগজপত্র নেই? ভাবছেন, কিভাবে দলিল বের করবেন?
আসলে এখন প্রযুক্তির যুগে, অনেক পুরাতন জমির দলিল আপনি শুধু নাম দিয়েই অনলাইনে খুঁজে পেতে পারেন—শুধু জানলেই হয় কিভাবে।
✅ কীভাবে কাজ করে? পুরাতন জমির দলিল ডাউনলোড বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিভিন্ন রেজিস্ট্রি অফিসে রক্ষিত দলিলের ডেটাবেইসে এখন অনেক পুরাতন দলিলের স্ক্যান কপি সংরক্ষিত আছে। যদি সেই দলিলটি রেকর্ডে থেকে থাকে, তাহলে আপনি নাম দিয়ে অনুসন্ধান করে দলিলের তথ্য এবং স্ক্যান কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
✅ করণীয়:
- ভিজিট করুন https://www.eporcha.gov.bd অথবা সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনলাইন সার্ভার
- অনুসন্ধান অপশনে গিয়ে মালিকের নাম, জেলা, উপজেলা ও মৌজার তথ্য দিন
- সিস্টেমে যদি দলিলটি সংরক্ষিত থাকে, তাহলে সরাসরি স্ক্যান কপি দেখতে ও ডাউনলোড করতে পারবেন
✅ যদি স্ক্যান কপি না থাকে?
অনেক সময় খুব পুরনো দলিল স্ক্যান করে সিস্টেমে আপলোড করা হয়নি। সেক্ষেত্রে চিন্তার কিছু নেই।
আপনি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারেন দলিলের সার্টিফাইড কপির জন্য। রেকর্ডে তথ্য থাকলে আপনাকে কাগজপত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে।


অনলাইনে কি দলিল বের করা যায়? হ্যাঁ, এখন ঘরে বসেই!
আগে জমির দলিল খুঁজতে হলে দিনের পর দিন দৌড়াতে হতো রেজিস্ট্রি অফিসে। এখন সেই সময় বদলে গেছে। আপনি চাইলে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়েই ঘরে বসে জমির দলিল খুঁজে পেতে পারেন—তাও একদম সরকারি ওয়েবসাইট থেকেই! চলুন দেখি- অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম
✅ পুরাতন দলিল কোথায় পাওয়া যায়?
বাংলাদেশ সরকার জমি ও দলিল সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাল করার কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে। এখন আপনি নিচের ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে নিজেই দলিল যাচাই, তথ্য অনুসন্ধান এবং কপি সংগ্রহ করতে পারেন:
- ePorcha.gov.bd – খতিয়ান, দাগ নম্বর, মালিকানা তথ্য যাচাই
- DLRS.gov.bd – ভূমি রেকর্ড ও জরিপ সংক্রান্ত তথ্য
- Land.gov.bd – ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পোর্টাল
✅ কী করতে পারবেন এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে?
- ✅ জমির খতিয়ান ও দাগ নম্বর অনুসন্ধান
- ✅ মালিকানা তথ্য যাচাই
- ✅ পুরাতন দলিল বা স্ক্যান কপি খুঁজে পাওয়া (যদি সংরক্ষিত থাকে)
- ✅ রেকর্ড থাকা দলিলের কপি ডাউনলোড বা প্রিন্ট
শেষ কথা:
পুরাতন জমির দলিল মানেই আর অজানা রহস্য নয়। এখন আর কাউকে বারবার দালালের পেছনে ঘুরতে হয় না, রেজিস্ট্রি অফিসে লম্বা লাইনেও দাঁড়াতে হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে সেই শক্তি—যেখানে আপনি নিজেই নিজের জমির সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা প্রহরী।
আজকের দিনে “পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে”—এটা শুধু একটা স্লোগান নয়, এটা এক বাস্তবতা।
তাই আর দেরি নয়:
✅ আজই অনলাইন সেবা ব্যবহার করতে শিখুন
✅ দালাল-মুক্ত হোন, নিজের তথ্য নিজেই যাচাই করুন
✅ আপনার জমি, আপনার অধিকার—সুরক্ষা থাকুক আপনার হাতেই
নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে এই একটুখানি সচেতনতাই পারে অনেক বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে।
আপনার জমি, আপনার দায়িত্ব—এখন সময় নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে তুলে নেওয়ার।