গত কিছুদিন ধরে নতুন একটা মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। পুরনো ফোনটা মাঝে মাঝেই হ্যাং করে, ব্যাটারিও ঠিকঠাক চলে না। বাজারে চোখ রাখতেই দেখলাম—Samsung একটা নতুন মডেল এনেছে, নাম Galaxy F16। দামও তেমন বেশি না। ভাবলাম, Samsung তো বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড, দেখতে তো ভালোই লাগছে, কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে—এই দামে আসলে কতটা ভালো ফোন দিচ্ছে তারা?
আমার মতো অনেকেই আছেন যারা মোবাইল কেনার আগে একটু ঘেঁটে দেখতে চান—দাম অনুযায়ী ফিচারগুলো ঠিক আছে কি না, ক্যামেরা ভালো ছবি তোলে কি না, গেম খেলা যাবে কি, আর অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় কোনটা সেরা?
এই লেখাটায় আমি একদম সাধারণ ভাষায় সব বলার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি সত্যি ভাবেন Samsung Galaxy F16 আপনার জন্য ভালো কিনা, তাহলে পুরোটা পড়ে ফেলুন। অনেক প্রশ্নের উত্তর এখানে পেয়ে যাবেন, ইনশাআল্লাহ। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক—এই ফোনটা আসলে আমাদের মতো সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ঠিক কেমন।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
Samsung Galaxy F16 price in Bangladesh – কেমন সেট করছে Samsung?
আপনি যদি এখনই ফোন কিনতে চান, তাহলে আপনার মাথায় একটা কথাই ঘুরবে—“এই ফোনের দাম কত?” আর ঠিক এখান থেকেই শুরু হয় সব চিন্তা। আমি নিজেও যখন খোঁজ নিতে গেছি, তখন দেখলাম Samsung Galaxy F16 নিয়ে বাজারে বেশ গরম আলোচনা চলছে। নতুন মডেল, নতুন ডিজাইন, কিন্তু দামটা কেমন?
Samsung-এর অফিসিয়াল শোরুমে গিয়ে জানা গেলো, Galaxy F16-এর 6GB RAM আর 128GB স্টোরেজ ভার্সনের অফিসিয়াল দাম রাখা হয়েছে ২২,৯৯৯ টাকা। মানে ২৩ হাজার টাকার নিচেই।
তবে আশেপাশের কিছু মোবাইল দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখি, আনঅফিসিয়ালভাবে ২০,৫০০ থেকে ২১,৫০০ টাকার মধ্যেই ফোনটা পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য, দোকান আর এলাকার ওপরেও কিছুটা ভিন্নতা থাকে। দোকানদারের সঙ্গে দরাদরি করলে আরও কিছু কমে যেতে পারে।
আর আপনি যদি অনলাইনে কিনতে চান, তাহলে জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্মের দামও একবার দেখে নিন:
- Daraz: BDT ২১,৯৯৯\n
- Pickaboo: BDT ২২,৪৯০\n
- Samsung Showroom: অফিসিয়াল রেটেই মিলবে
মূলত অফিসিয়াল আর আনঅফিসিয়াল দামের মধ্যে ১৫০০–২০০০ টাকার পার্থক্য আছে। তবে অফিসিয়াল কিনলে ওয়ারেন্টি, সার্ভিস, আর মানসিক শান্তি একটু বেশি। আর যদি বাজেট একটু কম থাকে, তবে আনঅফিসিয়ালেও ফোনটা পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
তাই দাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি কোথা থেকে কিনবেন, সেটা একটু ভালোভাবে ভাবুন। দামটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে যেন কষ্ট না হয়—সেটাও মাথায় রাখা দরকার।
Samsung Galaxy F16 review Bangla


ডিজাইন ও বডি – হাতে নিলে কেমন লাগে এই ফোনটা?
প্রথমবার যখন Samsung Galaxy F16 হাতে নিলাম, তখনই মনে হলো—ফোনটা বেশ স্মার্ট। ডিজাইনটা খুব বেশি ফ্যান্সি না হলেও, একটা পরিষ্কার এবং পরিপাটি ভাব আছে এতে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলে বুঝা যায় যে Samsung বাজেট ফোন হলেও কোয়ালিটি নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করেনি।
6.6 ইঞ্চির ফুল HD+ AMOLED ডিসপ্লে ফোনটিকে সামনে থেকে দেখতে একদম ঝকঝকে করে তোলে। স্ক্রিনের চারপাশে বেজেলগুলো তুলনামূলকভাবে পাতলা, আর উপরে ছোট্ট একটা Waterdrop Notch—যা খুব একটা চোখে লাগে না। যারা একটু বড় স্ক্রিনে সিনেমা দেখা বা গেম খেলার মজাটা নিতে চান, তাদের জন্য এই ডিসপ্লে বেশ ভালো কাজ দেবে।
ফোনের পেছন দিকটা যদিও প্লাস্টিকের, কিন্তু দেখতে সেটা মোটেই সস্তা লাগে না। বরং একরকম প্রিমিয়াম ভাবই দেয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেটাল বা গ্লাসের চেয়ে এমন প্লাস্টিক বডি পছন্দ করি কারণ এটা হালকা ও হাত থেকে পড়ে গেলেও ভাঙার ভয় একটু কম থাকে।
আর একটা জিনিস ভালো লেগেছে—সাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হয়েছে, যেটা পাওয়ার বাটনের সঙ্গে যুক্ত। ফোন আনলক করতে সময়ও লাগে না, আর বারবার পেছনে আঙুল রাখার ঝামেলাও নেই।
ওজনের দিক থেকেও ফোনটা বেশ ব্যালান্সড। প্রায় ১৯৪ গ্রাম, কিন্তু হাতে নিলে ভারী লাগে না। এক হাতে ধরেও ব্যবহার করা যায়—যা আমাদের মতো ব্যস্ত জীবনে অনেক দরকারি।
সব মিলিয়ে, Galaxy F16-এর ডিজাইনটা যতটা সোজাসাপ্টা, ততটাই ব্যবহারবান্ধব। দাম অনুযায়ী এর লুক এবং ফিল—দুটোই যথেষ্ট ভালো। ফোনটা দেখে মনে হয় না যে এটা ২৫ হাজার টাকার নিচে।যারা মোবাইলের ডিজাইন দেখেই কিনতে চান, তাদের জন্য এটি মোটামুটি ভালো অপশন।
ডিসপ্লে – স্ক্রিনটা আসলেই কেমন?
Samsung Galaxy F16 হাতে নিয়ে প্রথম যে জিনিসটা চোখে পড়ে, সেটা হলো এর স্ক্রিন। সত্যি কথা বলতে, এত কম দামে AMOLED ডিসপ্লে পাওয়া—এটাই একটা বড় চমক। কারণ এই বাজেটে বেশিরভাগ ফোনেই এখনও LCD প্যানেল ব্যবহার করা হয়, যেটা দেখতে মোটামুটি হলেও AMOLED-এর মতো ঝকঝকে নয়।
এই ফোনে আপনি পাচ্ছেন 6.6 ইঞ্চির Full HD+ AMOLED স্ক্রিন, যার রেজোলিউশন 2400 x 1080 পিক্সেল। মানে, ভিডিও দেখা বা Netflix, YouTube চালানো হলে ছবিগুলোর রঙ একেবারে চোখে লেগে থাকে। কালো রঙটা পুরো কালো দেখায়, ধূসর নয়—যেটা AMOLED এর একটা বড় সুবিধা।
আর একটা বিষয় আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব এনজয় করেছি, সেটা হলো 90Hz Refresh Rate। স্ক্রল করার সময়, WhatsApp বা Facebook চালাতে খুব মসৃণ মনে হয়—চোখে ধাক্কা লাগে না। আগে যে ফোনে 60Hz ছিল, এখন F16 ব্যবহার করে সত্যি বুঝলাম এই পার্থক্যটা।
রোদে বাইরে দাঁড়িয়ে ফোন ব্যবহার করার সময়ও বুঝলাম এর 800nits ব্রাইটনেস বেশ কার্যকরী। অনেক ফোনেই দেখা যায়, রোদে স্ক্রিন একেবারে ব্লার লাগে—কিন্তু Galaxy F16-এ সেটা হয় না। ভিজিবিলিটি এক কথায় দারুণ।
✅ সংক্ষেপে ডিসপ্লে ফিচারগুলো এক নজরে:
- Display Size: 6.6-inch Full HD+ AMOLED
- Refresh Rate: 90Hz (scroll খুব স্মুথ)
- Brightness: 800nits (রোদে পরিষ্কার দেখা যায়)
- Color Quality: কালো রঙ গভীর, রঙগুলো প্রাণবন্ত
- Usage: ভিডিও দেখা, গেম খেলা, স্ক্রল করা—সবই আরামদায়ক
আপনার চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তী সেকশনগুলোতেও চাইলে আমি এমনভাবে হিউম্যানাইজড টোনের সঙ্গে পয়েন্ট যুক্ত করে সাজিয়ে দিতে পারি। জানাবেন কোন অংশ করতে চাইছেন এরপর?
পারফরম্যান্স – নিত্যদিনের কাজ আর গেমিংয়ে কতটা ভরসা দেওয়া যায়?
ফোন কেনার সময় পারফরম্যান্স একটা বড় প্রশ্ন। শুধু দেখতে সুন্দর হলেই তো হবে না, ফোনটা যদি একটু পর পর ল্যাগ করে, তাহলে মাথা গরম হয়ে যায়। Samsung Galaxy F16 এই জায়গায় বেশ ভালো কাজ দিয়েছে—বিশেষ করে যারা দিনে বেশি সময় ফোনে থাকেন, তাদের জন্য এটা একটা নির্ভরযোগ্য অপশন।
এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে Samsung-এর নিজস্ব Exynos 1330 চিপসেট, যেটা 5nm প্রযুক্তিতে তৈরি। অনেকেই জানেন না, এই “5nm” মানে হচ্ছে ফোনটা তুলনামূলকভাবে কম গরম হয়, ব্যাটারি কম খরচ করে, আর ফাস্ট পারফরম্যান্স দেয়।
আমি নিজে WhatsApp, Facebook, YouTube, Chrome—এই সব অ্যাপ নিয়মিত চালিয়ে দেখেছি। কোনো ল্যাগ পাইনি। এমনকি মাঝে মাঝে Free Fire বা Call of Duty চালালেও মিড গ্রাফিক্সে মসৃণভাবে চলে গেছে।
✅ পারফরম্যান্স ফিচার এক নজরে:
- চিপসেট: Exynos 1330 (5nm) – পাওয়ারফুল ও এনার্জি-এফিসিয়েন্ট\n
- RAM: 6GB LPDDR4X – মাল্টিটাস্কিংয়ে ভালো\n
- Storage: 128GB UFS 2.2 – ফাস্ট ফাইল ওপেন ও অ্যাপ লোডিং টাইম কম\n
- গেমিং: Free Fire, PUBG, COD – মিড গ্রাফিক্সে ল্যাগ ছাড়াই খেলা যায়\n
- ডেইলি ইউজ: সোশ্যাল মিডিয়া, ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা – একদম স্মুথ
যদি আপনি এমন ফোন খুঁজেন যেটা দিয়ে নরমাল কাজ, মাঝারি গেমিং এবং দৈনন্দিন ব্যবহারে ঝামেলা ছাড়া চলবে—তাহলে Galaxy F16 আপনাকে হতাশ করবে না। এই দামের মধ্যে Samsung এখানে একদম ব্যালান্সড পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করেছে, এবং সেটা সত্যি বলতে গেলে সফলভাবেই।
ক্যামেরা – ছবি তোলার জন্য কেমন এই ফোন?
আমরা অনেকেই মোবাইল কিনি ছবি তোলার জন্য। কারো হয়তো পছন্দ প্রকৃতির ছবি, কারো আবার সেলফি। আমি নিজেও ছবি তুলতে পছন্দ করি, আর তাই ক্যামেরা কেমন—এটাই আমার প্রথম প্রশ্ন থাকে।
Samsung Galaxy F16 এই দিকটা মোটামুটি ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে। Samsung ক্যামেরায় বরাবরই ভালো কাজ করে, আর এখানে তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ফোনের পিছনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা, যার অ্যাপারচার f/1.8—মানে অল্প আলোতেও তুলনামূলক পরিষ্কার ছবি পাওয়া যায়। সঙ্গে আছে ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর, যেটা মূলত পোর্ট্রেট মোডে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করতে সাহায্য করে।
আর সামনে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, যেটা দিয়ে সেলফি বেশ ভালোই ওঠে। Instagram বা Facebook-এ আপলোড দেওয়ার মতো ছবির জন্য আলাদা করে কোনো এডিটও করতে হয় না।
✅ ক্যামেরা ফিচারগুলো এক নজরে:
- রিয়ার ক্যামেরা:\n – 50MP প্রাইমারি ক্যামেরা (f/1.8)\n – 2MP Depth Sensor\n – LED ফ্ল্যাশ
- ফ্রন্ট ক্যামেরা: 13MP (f/2.0)\n
- নাইট মোড: অল্প আলোতেও পরিষ্কার ছবি\n
- AI Scene Detection: নিজের মতো করে ছবি অপ্টিমাইজ করে নেয়\n
- Portrait Mode: ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার সহ সুন্দর ফোকাস\n
- HDR: আলো-ছায়ার ব্যালান্স ঠিক রাখে\n
- ভিডিও রেকর্ডিং: 1080p @ 30fps (সাধারণ ভিডিওর জন্য যথেষ্ট ভালো)
দিনের বেলায় খোলা আকাশ বা রোদের মধ্যে ছবি তুললে রঙগুলো দারুণভাবে ফুটে ওঠে। আর সন্ধ্যা বা রাতের আলো কম থাকা অবস্থাতেও ছবিগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো এসেছে। সেলফির দিক থেকেও বলা যায়—যাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করতে ভালো লাগে, তারা এই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা পছন্দ করবেন।
সব মিলিয়ে, Samsung Galaxy F16 এর ক্যামেরা সেগমেন্টে যা দিচ্ছে, সেটা এই দামের মধ্যে একদম সৎ একটা অফার। যারা “ভালো মানের ছবি” চান কিন্তু বাজেট কম—তাদের জন্য এটা একটা ভরসার জায়গা হতে পারে।
ব্যাটারি ও চার্জিং: চার্জ কতক্ষণ থাকে?
আমার অভিজ্ঞতায় Samsung Galaxy F16 battery backup – কেন এই ফোনটা আপনার সময় ও টাকায় সেরা হতে পারে?
আমি Samsung Galaxy F16 ফোনটা ব্যবহার করছি এখন প্রায় এক সপ্তাহ। এই কয়দিনে একটা জিনিস বুঝেছি—এই ফোনটা চার্জের দিক দিয়ে আমার প্রতিদিনের দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
সকাল ৮টায় ফুল চার্জ দিয়ে দিন শুরু করি—Facebook, YouTube, WhatsApp, কিছু ফটো আর মাঝেমধ্যে কল। দিনের শেষে, রাত ১০টা বাজে—তখনও ৩০-৩৫% চার্জ থাকে!
আপনি যদি একটা এমন ফোন চান যা সারাদিন নয়, প্রয়োজনে দুই দিনও টিকে যায়, তাহলে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, Samsung Galaxy F16 battery backup সত্যিই অসাধারণ।
তবে একটা জিনিস জেনে রাখুন—বক্সে চার্জার দেয় না। আমাকে আলাদা করে ২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার কিনতে হয়েছে। যদিও এটা কিছুটা বাড়তি খরচ, তবে একবার কিনে ফেললে ভালোই সার্ভ করে।
ফুল চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় ৮৫ মিনিট, যা আমার কাছে যথেষ্টই ভালো।
➡️ কেন আমি এই ফোনটা ব্যাটারির কারণে সাজেস্ট করবো:
- আপনি যদি দিনে অনেক সময় মোবাইলে কাটান
- যদি বাইরে থাকেন, চার্জ দেওয়ার সুযোগ কম থাকে
- বা আপনি একজন স্টুডেন্ট/কাজের মানুষ, যিনি বারবার চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে চান না
তাহলে বলবো, Samsung Galaxy F16 একদম উপযুক্ত।
আমার লেখাটা পড়ে আপনি যদি ভাবছেন, “এই ফোনটা কি আমার জন্য ঠিক হবে?”—তাহলে নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন:
“আমি কি এমন একটা ফোন চাই, যেটা বারবার চার্জ না দিলেও চলে?”
যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, তাহলে Samsung Galaxy F16 আপনার জন্য একদম ঠিক।


সফটওয়্যার ও ইউজার ইন্টারফেস (UI): আমি ব্যবহার করে যা বুঝলাম
আমি যেদিন Samsung Galaxy F16 হাতে পেলাম, সেদিনই সেটআপ করে বুঝলাম—এই ফোনটা একদম ক্লিন ও ঝামেলামুক্ত।
অ্যাপ খুলতে দেরি হয় না, কোথাও ল্যাগ ফিল করিনি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে একটা বিষয়—ফোনে কোনো রকম অ্যাড নেই!
অনেক বাজেট ফোনে আজকাল খুললেই অ্যাড চলে আসে, সেটিংস পাল্টাতে গিয়ে হঠাৎ করে স্ক্রিনে অ্যাড—কিন্তু F16-এ একটাও পাইনি।
এর One UI 6 ইন্টারফেস এতটা ক্লিয়ার ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি যে আমার মা-ও সহজে চালাতে পারছে।
সব মেনু সুন্দরভাবে সাজানো, স্ক্রল করতে আরাম লাগে, এবং Android 14 ভার্সন থাকায় অনেক নতুন ফিচারও পাচ্ছি।
যারা ফোনে সারাদিন নানা কাজ করেন (সোশ্যাল মিডিয়া, ক্যামেরা, গ্যালারি, ভিডিও দেখা, ফাইল ট্রান্সফার), তাদের জন্য এই UI সত্যিই চাপমুক্ত একটা অভিজ্ঞতা দেয়।
➡️ তাহলে আমি এই ফোনটা সফটওয়্যারের দিক থেকে সাজেস্ট করবো কাদের?
- যারা স্মুথ ইউজার ইন্টারফেস খোঁজেন
- যারা বিনা অ্যাডে ফোন চালাতে চান
- যারা চান এমন একটা ফোন, যেটা বয়স্ক মানুষরাও সহজে ব্যবহার করতে পারেন
- এবং যারা আপডেটেড Android ভার্সনে চলা ফোন কিনতে চান
Samsung Galaxy F16 – কি আছে?
এই ফোনে কিছু দারুন ফিচার রয়েছে, যেমন:
- AMOLED Display
- 6000mAh ব্যাটারি
- 50MP রিয়ার ক্যামেরা
- Android 14
- One UI 6
- Dolby Atmos সাপোর্ট
- 25W Fast Charging
- Knox Security
কি নেই – যেগুলো থাকলে আরও ভালো হতো
- 5G নেই
- No stereo speakers
- No IP Rating (waterproof নয়)
- গ্লাস ব্যাক নেই
- চার্জার বক্সে নেই
প্রতিযোগীদের তুলনায় কেমন?
Realme Narzo 60x vs Galaxy F16
- Narzo তে 5G আছে, কিন্তু ডিসপ্লে LCD
- F16 তে AMOLED ডিসপ্লে কিন্তু 4G
Redmi Note 13 vs Galaxy F16
- Note 13 তে Snapdragon চিপসেট
- F16 এর ব্যাটারি বেশি
Infinix Zero 30 vs Galaxy F16
- Infinix তে স্টেরিও স্পিকার ও 68W চার্জিং
- Samsung এ ভালো UI ও ব্র্যান্ড ভ্যালু
ফোকাস কিওয়ার্ড: Samsung Galaxy F16 vs Realme
কারা এই ফোনটি কিনবেন?
- যারা বাজেটের মধ্যে Samsung ফোন চান
- যারা বড় ব্যাটারি ও ভালো ডিসপ্লে চান
- যারা ক্যামেরা ও সফটওয়্যার ভালো চান
- যারা গেম খেলেন মাঝেমাঝে
ভালো-মন্দ: এক নজরে
ভালো দিক:
✅ AMOLED Display
✅ বিশাল ব্যাটারি
✅ One UI
✅ 50MP ক্যামেরা
✅ Samsung এর নির্ভরযোগ্যতা
খারাপ দিক:
❌ 5G নেই
❌ স্টেরিও স্পিকার নেই
❌ চার্জার দেয় না
❌ বডি প্লাস্টিক
Samsung Galaxy F16 – দাম অনুযায়ী কেমন?
আমরা যদি দেখি যে দাম প্রায় ২২,০০০ টাকার মধ্যে, তাহলে Samsung Galaxy F16 একটি ভালো ফোন বলা যায়। বিশেষ করে যারা Samsung ব্র্যান্ডকে পছন্দ করেন এবং বাজেটের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
যদিও এতে 5G নেই, তবে AMOLED ডিসপ্লে, বিশাল ব্যাটারি ও উন্নত ক্যামেরার জন্য এটি ভালো অপশন।
কোথা থেকে কিনবেন?
অনলাইন দোকান:
- Daraz
- Pickaboo
- Gadget & Gear
অফলাইন দোকান:
- Samsung Experience Store
- Bashundhara City
- Jamuna Future Park
সাথে EMI সুবিধা ও ওয়ারেন্টি আছে কিনা তা দেখে কিনবেন।
উপসংহার
Samsung Galaxy F16 price in Bangladesh অনুযায়ী, এটি একটি ভালো ফোন। তবে ৫জি না থাকায় যারা ভবিষ্যতের কথা ভেবে ফোন কিনতে চান, তারা বিকল্প চিন্তা করতে পারেন। অন্যদিকে, যারা দিনে অনেকক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করেন, যেমন ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া, ক্যামেরা ব্যবহার ইত্যাদি—তাদের জন্য এটি দারুণ একটা পছন্দ।
আপনি কি এই ফোনটি কিনবেন? নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
অনেক সুন্দর রিভিউ