সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দুই জন ব্যক্তিকে রুটি বানাতে দেখা যাচ্ছে। ছবিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ ধারণা করছেন, সেই দুটি ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ। তবে, এখনও নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি যে, ছবিতে তারা সত্যিই কিনা।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
যদিও ছবির সত্যতা এখনও নিশ্চিত নয়, কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লিখেছেন, “দেশ সামলায় ঘরও সামলায়!” আরেকজন তার মন্তব্যে যোগ করেছেন, “আর তারা তো দেখছি সব দিক দিয়েই সেরা। অলরাউন্ডার ভাই অলরাউন্ডার!” এক ব্যক্তি তো আরও মজার মন্তব্য করেছেন, “যে রাধে, সে চুলও বাঁধে, এটা প্রমাণ করল তারা।”
আরও পড়ুন; ইসলামে বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম | বন্টন আইন বাংলাদেশ ২০২৪
এটি যেন এক নতুন মজার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, যেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদেরও ঘরকন্না ও রুটি বানানোর মতো সাধারণ কাজের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এটি আসলে দেশের মানুষের কাছে সরকারের সদস্যদের আরও মানবিক দিক তুলে ধরেছে। যারা সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেন, এমনকি তাদের কর্তব্যের বাইরেও কিছুটা সময় তারা নিজেদের কাজ করে দেখান, এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, তা জনমনে এক ধরনের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সম্পর্ক তৈরি করে।
আরও পড়ুন: অন্যের বিয়ে ভেঙে মাসে আয় করেন লাখ টাকা
নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে তিনি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে কাজ করছেন এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। অপরদিকে, আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সব টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট
যেটাই হোক না কেন, এভাবেই সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরাও যদি নিজের পরিচিতি ও কাজের পাশাপাশি সাধারণ জীবনযাত্রা এবং অন্যদের মতো কাজ করেন, তাহলে তা জনগণের কাছে আরও সহজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। এটি একটি ভালো দৃষ্টান্ত, যে কোনও ব্যক্তি তার দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের জীবনে স্বাভাবিক থাকা, অন্যদের মতো কাজ করা, এবং সমাজে একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে সমৃদ্ধ হতে পারে।
তবে, ছবির ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত, এটিকে একটি মজার এবং হাস্যকর মুহূর্ত হিসেবেই গ্রহণ করা যেতে পারে।