ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন

আজ বিকাল ৩টায় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশটি আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর দুর্যোগ সংকেত নামিয়ে ৫ নম্বর দুর্যোগ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকা যেমন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং দুর্গম দ্বীপ ও চর দ্বীপসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত পাবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফিন্নি, বরগুনা, পাটুয়াকালি, বোরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝাউ উপকূলীয় এলাকা এরকাটি ও এর নিকটবর্তী দ্বীপ এবং চরের ভাটির এলাকা উচ্চ জলমগ্ন হয়ে প্লাবিত হতে পারে। ৩-৩ মাত্রার জোয়ার। স্বাভাবিক জোয়ারের উপরে ৫ ফুট।

ঘূর্ণিঝড় হামুন এর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের মতো পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে চলাচলকারী মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a Comment