রংপুর, বাংলাদেশ — যে মাটি একদিন ধানের হাসিতে মুখর ছিল, আজ সেখানে শুধুই কৃষকের দীর্ঘশ্বাস। দেশের অন্যতম কৃষিপ্রধান অঞ্চল রংপুর এখন যেন পরিণত হয়েছে একটি নীরব দুর্ভোগের জনপদে। ২০২৫ সালের বোরো মৌসুমে যখন কৃষকেরা আলুর লোকসান ভুলে নতুন স্বপ্নে বুক বাঁধছিলেন, ঠিক তখনই আঘাত হানে অদৃশ্য এক শত্রু—মাজরা পোকা ও ব্যাকটেরিয়ার ভয়াবহ আক্রমণ।
হাজার হাজার হেক্টর জমির সবুজ ধানক্ষেত আজ পরিণত হয়েছে বিবর্ণ শীষের মৃতভূমিতে। গাছে গাছে শীষ উঠেছে বটে, কিন্তু সেগুলো সাদা, শূন্য, প্রাণহীন। চারদিক জুড়ে কেবল পোকার দাপট আর কৃষকের নীরব কান্না। জমির বুকে যে সোনালি ফসল জন্মানোর কথা ছিল, সেখানে আজ দগদগে ক্ষতের মতো পোকার কামড়।
চাষের বাড়তি খরচ, সেচের কষ্ট আর ক্রমাগত কীটনাশক প্রয়োগ করেও যখন পোকা থামছে না, তখন রংপুরের কৃষকের চোখে এখন শুধু হতাশা, ভাঙনের শব্দ—যেন মাথার উপর থেকেই আকাশ ভেঙে পড়েছে।
আরো পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কিস্তিতে মোবাইল কেনার সুযোগ দিচ্ছে বাংলালিংক
রংপুরে কৃষকের মাথায় হাত: স্বপ্ন ভেঙে খানখান
একসময় ছিল, যখন মাঠে দাঁড়িয়ে কাঁচা ধানের সুগন্ধেই কৃষকের চোখে ভেসে উঠত সুখের দিন, পরিবারের হাসি, আর একটি স্বচ্ছল ভবিষ্যৎ। কিন্তু এ বছরের চিত্রটা একেবারে আলাদা। যেন সেই স্বপ্নে এসে পড়েছে কঠিন এক বাস্তবতার ছোবল।
রংপুর অঞ্চলের অনেক কৃষক আলু চাষে লোকসান গুনে এবার আশা করেছিলেন বোরো ধানে ঘুরে দাঁড়াবেন। ভেবেছিলেন, “এবার না হয় ধানই আমাদের রক্ষা করবে।” কিন্তু বাস্তবে মাঠে গিয়ে এখন তাঁরা দেখছেন—ধানের শীষ সাদা হয়ে গেছে, ভেতরে দানাই নেই। ফসল আছে, ফলন নেই।
বাবুরহাট গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান বলেন,
“দশ বিঘা জমিতে ধান করেছি। পাঁচবার ওষুধ দিয়েছি। তাও মাজরা পোকা সব শেষ করে দিল। একেক বিঘায় যেখানে ২২ মণ পাওয়ার কথা, এখন ১০-১২ মণও মিলছে না।”
এই সমস্যা শুধু তাঁর একার নয়—পুরো অঞ্চলের অসংখ্য কৃষক একই অবস্থা ভোগ করছেন। কেউ ধান কাটার আগেই জমিতে আগুন দিয়ে ফেলেছেন, কারণ এত কম ফলন যে কাটা-মাড়াইয়ের খরচই উঠবে না। চোখের সামনে ফসল পচে নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কিছু করার নেই।
আরও ভয়াবহ অবস্থা যাঁদের ঋণ আছে তাদের। কেউ ব্যাংক থেকে, কেউ মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে চাষ করেছেন। এখন ধান বিক্রি করেও সেই ঋণ শোধের উপায় নেই। এ অবস্থায় অনেক কৃষক রাতে ঘুমাতে পারছেন না, মন ভরে গেছে দুশ্চিন্তায়।
আরও পড়ুন
মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে তাঁরা শুধু তাকিয়ে থাকেন সাদা শীষগুলোর দিকে। বাতাসে দুলতে দুলতে যেন সেই শীষগুলোই বলছে—
“তোমরা হেরে গেলে…”
আরও পড়ুন: ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ১ মিনিটেই ডাউনলোড: সহজ পদ্ধতি


পোকা আর ব্যাকটেরিয়ার দাপট: প্রতিরোধে হিমশিম
এ বছর রংপুরের অনেক কৃষকের জন্য ধান চাষ যেন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে ধান ভালোই উঠেছিল শুরুতে। কিন্তু এরপর হঠাৎ করে দেখা দিল মাজরা পোকা আর ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে, দানা আসছে না। কৃষকের চোখের সামনে ফসল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, অথচ কিছুই করতে পারছেন না।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, যেসব জমিতে আলু বা সরিষা তোলার পর ধান লাগানো হয়েছে, সেসব জমিতে এই আক্রমণ বেশি হয়েছে। যারা আগেই ধান রোপণ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতি কিছুটা কম।
উপজেলা কৃষি অফিসার মীর হাসান আল বান্না বলেন,
“আমরা নিয়মিত মাঠে যাচ্ছি, আলোক ফাঁদ বসিয়েছি, কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার শেখাচ্ছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পোকার আক্রমণ এমনভাবে ছড়িয়েছে যে সব চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার আর এক ধরনের নতুন পোকা ও রোগ এই সমস্যার কারণ। অনেক পুরোনো ওষুধ এসব নতুন পোকার উপর আর কাজ করছে না।
আর কৃষকেরা অনেক সময় এখনো পুরোনো পদ্ধতিতেই চাষাবাদ করছেন। আধুনিক পদ্ধতি বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না জানার কারণে তারা শুধু কীটনাশকেই ভরসা রাখছেন। কিন্তু যখন সেটাও কাজ করছে না, তখন তারা অসহায় হয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করুন ঘরে বসেই
খরচ বাড়ছে, লাভ তো দূরের কথা
এবার ধান চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে অনেক বেশি। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত লেগে গেছে। সার, বীজ, কীটনাশক, সেচের পানি, আর শ্রমিকের মজুরি—সব মিলিয়ে খরচের তালিকা অনেক বড়।
কিন্তু ফসল হয়েছে অর্ধেক। কেউ আশা করেছিলেন প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ মণ ধান পাবেন, কিন্তু এখন ১০ থেকে ১২ মণও উঠছে না। এই ধান বাজারে মণপ্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি করলেও, পুরো খরচই ওঠে না। বরং উল্টো আরও ঋণের বোঝা বাড়ছে।
বালাপাড়ার কৃষক হাবিবুর রহমান খুব কষ্ট নিয়ে বলেন,
“ধান বিক্রি করেও খরচ উঠছে না। এখন তো সংসার চালানোই কষ্ট হবে। কোথা থেকে কী করব বুঝতে পারছি না।”
এই অবস্থায় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, মানসিক চাপেও ভুগছেন অনেক কৃষক। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, যদি এমনই চলতে থাকে, তাহলে হয়তো জমি বিক্রি করতে হবে। কেউ কেউ তো ভিটেমাটিই বিক্রি করে শহরে কাজ খুঁজতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
আরও পড়ুন: একজন মানুষের প্রতিদিন কত টাকা আয় হলে, সেই মানুষটি সুখী হতে পারবে?
বৈরী আবহাওয়ার কারণে নতুন বিপদ
এবার শুধু পোকা বা রোগই নয়, ধানের ওপর নতুন করে চাপ ফেলছে আকাশের বদলে যাওয়া মেজাজ। মে মাসে হঠাৎ বৃষ্টি নামার আশঙ্কায় আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
এই সময়টা ধান কাটার সময়। যদি এই সময়েই বৃষ্টি নামে, তাহলে ধান মাঠেই ভিজে যাবে, শীষ পচে যেতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেতেই ধান কাটাই যাবে না। শুধু ধানই নয়, গরু-ছাগলের জন্য দরকারি বিচালিও (ধানের খড়) ঘরে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে।
এর মানে হচ্ছে, যেটুকু ফসল বেঁচে আছে সেটাও বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। তাহলে কৃষকের লোকসান আরও বাড়বে। যারা কিছুটা ধান ঘরে তোলার আশা করছিলেন, তারাও পড়ে যাবেন নতুন বিপদে।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি আচরণ এখন কৃষকের জন্য এক বিশাল চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পোকা আর রোগে ধান যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি বৃষ্টিতে সেটুকুও যদি নষ্ট হয়—তাহলে কৃষকের হাতে আর কিছুই থাকবে না।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ
রংপুর কৃষি ইনস্টিটিউটের কৃষিবিদ আবু সায়েম বলছেন, মাজরা পোকা ধানগাছের গোড়ায় ঢুকে তা কেটে ফেলে। এজন্যই ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যায়, দানা হয় না।
তিনি পরামর্শ দিয়েছেন,
“যেসব ধানগাছ পোকায় আক্রান্ত হয়েছে, সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব কেটে ফেলতে হবে। তাহলে আর আশেপাশে ছড়াবে না।”
কিন্তু সমস্যাটা হলো, অনেক কৃষক এই ধান কাটতেও পারছেন না। কারণ এতে আবার নতুন খরচ—শ্রমিক লাগবে, সময় লাগবে। আর ফলন তো আগেই কম, তাই অনেকেই চিন্তা করছেন, এত খরচ করে কেটে আর লাভ কী?
কৃষিবিদ সায়েম আরও সতর্ক করে বলেন,
“যদি এখনই পোকা ঠিকমতো দমন না করা যায়, তাহলে রংপুর অঞ্চলের মোট ধান উৎপাদন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর প্রভাব শুধু রংপুরে না, দেশের চালের বাজারেও পড়বে।”
মানে, রংপুরের এই সমস্যাটা শুধু এখানকার কৃষকের না—সারা দেশের জন্য একটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সময় থাকতে পদক্ষেপ নেওয়া খুব জরুরি।
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে পড়া পাথর খণ্ডের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব
সরকারি উদ্যোগ আর কৃষকের অভিযোগ: মিলছে না বাস্তবতার ছাপ
সরকারি কৃষি বিভাগ বলছে, তারা মাঠে কাজ করছে, পরামর্শ দিচ্ছে, কীটনাশক ব্যবহারে সহায়তা করছে। কিন্তু কৃষকেরা বলছেন, বাস্তব চিত্র তা নয়।
অনেকেই বলছেন, মাঠে সরকারি কর্মকর্তাদের দেখা যায় না, তারা কেবল কাগজে-কলমেই সক্রিয়। আর যেসব কীটনাশক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তার অনেকগুলোর মান খুবই খারাপ। কেউ কেউ বলছেন, ওগুলোতে ফরমালিনের মতো ক্ষতিকর উপাদান থাকে—যার ফলে পোকার কোনো ক্ষতি হয় না, বরং জমির মাটিও দূষিত হয়ে যায়।
আরেকটি বড় দুশ্চিন্তা হলো—এই ক্ষতির জন্য আদৌ কোনো ক্ষতিপূরণ মিলবে কি না, তা নিয়েও অনেকে সন্দেহে আছেন। আগে অনেকেই আবেদন করেও কিছু পাননি, তাই এবার অনেক কৃষক আশা করতেই পারছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন,
“সরকার যদি এই কৃষকদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে ভবিষ্যতে রংপুর অঞ্চলের মানুষ আর ধান চাষে আগ্রহী থাকবে না। সবাই কৃষি ছেড়ে অন্য পথ খুঁজবে।”
এই কথাগুলো বলছে, শুধু সমস্যার সমাধান নয়—কৃষকের মন জয় করাও জরুরি। আর সেটা সম্ভব সঠিক সময়ে, সঠিক সহায়তা ও বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই।
বিকল্প ব্যবস্থা ও টেকসই কৃষি চিন্তা
এই পরিস্থিতিতে কৃষি গবেষকদের প্রস্তাব:
- ট্র্যাপ ফসল ব্যবহারে পোকার দমন
- বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্ট ব্যবহারের উৎসাহ
- কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা
- প্রকৃত কৃষকদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ
- স্বল্পসুদে কৃষিঋণ ও বীজ প্রণোদনা
এছাড়া কৃষকেরা বিকল্প ফসল যেমন মুগ, সূর্যমুখী কিংবা সামার ভুট্টার দিকে ঝুঁকতে পারেন, যা তুলনামূলকভাবে কম জলসেচ নির্ভর ও পোকামাকড় প্রতিরোধী।


সামনে বিপদের আশঙ্কা, ধান চাষে অনীহা বাড়ছে
বর্তমান পরিস্থিতি যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে আগামী মৌসুমে অনেক কৃষকই ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। একদিকে উৎপাদনে ক্ষতি, অন্যদিকে বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকদের মনে হতাশা বাড়ছে। অনেকেই ভাবছেন—এতো কষ্ট করে ধান চাষ করে যদি লোকসানই হয়, তাহলে এই পথে আর কী লাভ?
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে পারে। ধানের উৎপাদন কমে গেলে দেশে চালের সরবরাহ কমে যাবে, তখন বাজারে দামে অস্থিরতা দেখা দেবে। সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে, আর কৃষকেরাও চাপে পড়বে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেললে দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এখনই প্রয়োজন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া—যাতে কৃষক ধান চাষে উৎসাহ পান এবং দেশও খাদ্য সংকটে না পড়ে।
উপসংহার: কৃষকের কান্না যেন শোনা হয়
“রংপুরে কৃষকের মাথায় হাত” — এটি এখন আর শুধু একটি খবরের শিরোনাম নয়, বরং বাস্তবতা। এই কথার মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজারো কৃষকের দুঃখ, হতাশা আর ভাঙা স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। ফসলের ক্ষতি শুধু জমিতে সীমাবদ্ধ নয়, তা প্রভাব ফেলছে কৃষকের মানসিক শান্তি, পরিবার, আর্থিক অবস্থা এবং আগামী দিনের পরিকল্পনার ওপর।
পোকার আক্রমণে একদিকে জমির ফসল শেষ, অন্যদিকে বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ার কষ্ট—সব মিলিয়ে কৃষক আজ দিশেহারা। অনেকেই ঋণের বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ ভাবছেন, ধান চাষ ছেড়ে দিয়ে বিকল্প কিছু করবেন, কিন্তু তাও তো সহজ নয়।
এই অবস্থায় এখন দরকার দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা। সরকারের, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের, কৃষি কর্মকর্তাদের — সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। শুধু সভা-সেমিনারে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, মাঠে গিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ, সহায়তা, ক্ষতিপূরণ ও নতুন পথ দেখানোর মাধ্যমে কৃষকের ভরসা ফিরিয়ে আনতে হবে।
নচেৎ এই দুর্যোগ শুধু একটি এলাকার সমস্যা নয়, হয়ে উঠবে দেশের সামগ্রিক কৃষির জন্য একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত। রংপুরের কৃষকরা যেন আর অবহেলার শিকার না হন — এটাই হোক আমাদের সবার দায়বদ্ধতা।