রংপুরের আকাশ আজ (১৪ জুন) সকাল থেকেই যেন বিরক্ত হয়ে আছে। হালকা মেঘ থাকলেও এক ফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। ভোর ৬টায় রংপুরের তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস—মানে, দিনের শুরুতেই শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার।
রংপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,
আজ রংপুরের আবহাওয়া সারাদিনই থাকবে শুষ্ক। আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। কিন্তু এই বাতাসে স্বস্তি নেই, বরং যেন গরমের তীব্রতাই বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের আকাশ থেকে একফোঁটা পানিও পড়েনি। এর ফলে আজও গরমের মধ্যে রংপুরবাসীকে কাটাতে হবে সারা দিন। তাপমাত্রা তো আছেই, তার সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও ছিল ভোরে ৮৩ শতাংশ—যার মানে হচ্ছে, গরমটা শুধু তাপ দিয়ে না, ঘামে-ভেজা অনুভূতি দিয়েও কাবু করছে সবাইকে।
গতকাল রংপুরের আবহাওয়া ছিল আরও ভয়ংকর। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এখানেই—৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস! এমনকি রাতেও ছিল না কোনো শান্তি। রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি, যা অনেকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও রংপুর যেন বৃষ্টিকে রীতিমতো ভুলে গেছে। ঢাকায়, খুলনায়, বরিশালে, এমনকি চট্টগ্রামেও বৃষ্টির আভাস থাকলেও রংপুরের আবহাওয়া থেকে যেন একটুও দয়া নেই। বৃষ্টির বদলে চলছে তাপদাহের দাপট।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম: বিকাশ, নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিভাগীয় পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে, কোথাও আবার বজ্রবৃষ্টিও। কিন্তু রংপুরের আবহাওয়া সেই তালিকায় নেই। বরং এখানকার তাপপ্রবাহ এখনো দেশের সবচেয়ে তীব্র অবস্থায় রয়েছে। যদিও দেশের কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে, রংপুরে এখনো সেই ইঙ্গিত মেলেনি।
এই গরমে স্কুল, কলেজ, অফিস, বাজার—সব জায়গায় মানুষের মুখে একটাই কথা, “এই গরম আর সহ্য হয় না।” বিশেষ করে যারা বাইরের কাজ করেন, তারা একেবারে পুড়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই গরমে বেশি করে পানি খেতে হবে, ফলমূল খেতে হবে, আর দুপুরের রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
আরও পড়ুন
সব মিলিয়ে, রংপুরে এখন যে গরম পড়েছে, তা কারো জন্যই স্বস্তিদায়ক নয়। রংপুরের আবহাওয়া যদি এরকমই থাকে, তাহলে আগামী কয়েকদিন যে আরও ভোগান্তি বাড়বে—তা বলাই বাহুল্য।