২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সমন্বিত রুটিন প্রকাশ

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন প্রকাশ করেছে। এক শিফট ও দুই শিফটের স্কুলের জন্য আলাদা রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রণয়ন করা এ রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) মাউশি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরির সই করা এ রুটিন প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন: এক নজরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৪

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী- শরীরচর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন—গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ, প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোক্রমেই সেশনের সময় কমানো যাবে না। রুটিনে উল্লিখিত ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির কোনো বিষয়েই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।

মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণই শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য যে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির রুটিন আলাদা আলাদা নির্দেশনা রয়েছে। নিম্নে তা দেয়া হলোঃ

এক শিফটের সাধারণ স্কুলে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে—

  • সকাল ১০টায় পাঠদান শুরু করে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে।
  • বেলা ১টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হবে।
  • বিরতির পর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদান চলবে।
  • ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়গুলো যেভাবে আছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
  • অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন ও সময়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়গুলো স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।
  • নবম ও দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে সপ্তম পিরিয়ডে (বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে ৫টা পর্যন্ত) অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।
  • প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শরীরচর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন—গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ, প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে।
  • জাতীয় দিবস উদ্যাপন (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, পয়লা বৈশাখ, ১ মে, ১৫ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুই শিফটের সাধারণ স্কুলে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে—

  • প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৭টায় পাঠদান শুরু করতে হবে এবং এটি ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এরপর ১০টা পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হবে। বিরতির পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাঠদান চালিয়ে যেতে হবে।
  • দ্বিতীয় শিফট দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হবে এবং এটি বেলা ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এরপর বেলা ৩টা ৫ মিনিট পর্যন্ত বিরতি দেওয়া হবে। বিরতির পর বিকেল ৫টা ৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদান চালিয়ে যেতে হবে।
  • ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়গুলো যেভাবে আছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
  • অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন ও সময়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামতো বিষয়গুলো স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।
  • নবম ও দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে সপ্তম পিরিয়ডে (বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে ৫টা পর্যন্ত) অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।
  • জাতীয় দিবস উদ্যাপন (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, পয়লা বৈশাখ, ১ মে, ১৫ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় দিবসে সেশন রুটিন অনুসরণ না করে, দিবস পালনে বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

অন্যান্য নির্দেশনা এক শিফটের সাধারণ স্কুলের নির্দেশনার মতোই মানতে হবে।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সমন্বিত রুটিন এই লিংকে দেখা যাবে।

Leave a Comment