শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় এক বিতর্কিত খবরের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। বলিউড বাদশার মেয়ে হিসেবে সুহানার সিনেমা জগতে প্রবেশের আগেই তিনি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন, তবে তার ক্যারিয়ারের শুরুতে নানা আলোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাকে। সুহানা খানের কাছে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা যেমন পরিষ্কার ছিল, তেমনি বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। যদিও তার প্রথম সিনেমা এখনো মুক্তি পায়নি, তবুও তার উপর প্রচারের ঝড় বয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: সালমান খান ফের হত্যার হুমকিতে: প্রাণে বাঁচতে যে পদক্ষেপ নিলেন
সম্প্রতি সুহানা খান আন্তর্জাতিক একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারে অংশগ্রহণ করেছেন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম বড় কাজ, কিন্তু এই কাজে অংশ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তার চেহারার অদলবদল এবং সাইটের ছবি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞাপনটিতে সুহানার ঠোঁটে লাল রং এবং গায়ের রং অনেকটাই ফর্সা দেখানো হয়েছে, যা নেটিজেনদের মধ্যে প্রবল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কিছু লোক সুহানার ছবিতে পরিবর্তিত গায়ের রং দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, “সুহানা খান আসলে কালার কারেক্টেড প্রো ম্যাক্স।” আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, “অঙ্কিতা লোখান্ডের মতো দেখতে লাগছে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলিউড তারকা নার্গিস ফাখরি’র যত প্রেম
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রচারে সুহানার মুখের মেকআপ এবং গায়ের রং নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। কিছু নেটিজেন এইভাবে তার গায়ের রং বদলানোর বিরোধিতা করেছেন এবং এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন, “অনেক সহজেই সুহানাকে তার আসল স্কিন টোনে রেখে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যেত।” তাদের মতে, “কেন সুহানাকে ফর্সা করার জন্য অতিরিক্ত মেকআপ করা হলো?” বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে এমন কিছু প্রত্যাশা করা উচিত ছিল না, যা তাদের সংস্কৃতি এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে বিকৃত করে।
আরও পড়ুন: এক্স মানে কি গুগল? না জানলে জেনে নিন এর বিভিন্ন অর্থ ও ব্যবহার
এছাড়া, একজন নেটিজেন সোজাসাপটা প্রশ্ন করেছেন, “এটা কি খুবই প্রয়োজনীয় ছিল যে, সুহানার গায়ের রং এতটা ফর্সা দেখানো হোক?” এই সব প্রশ্নের মাধ্যমে সুহানার গায়ের রং এবং মেকআপের পদ্ধতি নিয়ে উঠেছে নানা বিতর্ক।
এই বিতর্কের মধ্যে সুহানা খান নিজে কখনোই বিষয়টি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেননি। তবে এভাবে তার গায়ের রঙের বদল নিয়ে এত সমালোচনা সৃষ্টি হওয়া তার ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য কতটা স্বাস্থকর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুহানার মতো একজন তারকা যখন এতটা আলোচনায় আসেন, তখন তার উপর চাপ বেশি থাকে। বিশেষ করে যখন কথা আসে তার চেহারা এবং দেহের বৈশিষ্ট্য নিয়ে, তখন তা অনেকের কাছে কষ্টকর হতে পারে।
আরও পড়ুন: ১০০+ বেস্ট একাকিত্ব নিয়ে ক্যাপশন in English ও বাংলা
এটি প্রমাণিত হয় যে, দেশের বাইরের ব্র্যান্ডগুলি এবং তারকাদের ব্যাপারে দর্শকদের মধ্যে যে রুচি ও ধারণা রয়েছে, তা কখনোই সরল নয়। তারাও একসময় সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়ে থাকে এবং তাদের শরীরী বৈশিষ্ট্যকে সম্পূর্ণ অন্যভাবে উপস্থাপন করার প্রয়াস চালিয়ে থাকে, যা কখনো কখনো কনট্রোভার্সির জন্ম দেয়। যদিও সুহানা খান তার ক্যারিয়ার শুরুর দিকে আছেন, তার উপর এই সমালোচনার চাপ যে তার ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন