২০০১ সালের কথা…..
অনার্সে কেবল মাত্র ভর্তি হয়েছি। কলেজ পাড়ার তুর্য ছাত্রাবাসে উঠেছিলাম। তো একদিন বিআরটিসি বাসে রংপুরে যাচ্ছিলাম,সাথে ছিল চালের বস্তা।
সেদিন বাসে খুবই ভিড় ছিল। আমার সীটে এক আংকেলকে বসতে দিয়ে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম পাশে….বাস যখন দেবীগঞ্জ ও ডোমারের মাঝামাঝি ছোট রাউতা নামক স্থানে ঠিক তখনই ঘটলো দুর্ঘটনাটা।
একটা মাইক্রো বাসকে সাইড দিতে গিয়ে আমাদের বাসটা উল্টে একেবারে পুকুরে…. প্রায় ৬০/৭০ জন যাত্রী ছিলাম গাড়িতে। মূহুর্তে মনে হলো কিয়ামত শুরু…. মানুষের আহাজারিতে। কয়েক সেকেন্ট সেন্স ছিলনা আমার। কোনরকমে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়লাম পানিতে। সে কি কান্নার রোল।
আরও পড়ুন: সাধের আনন্দ মঞ্জিল
অনেকের হাত পা ভেঙে গেল , জামা কাপড় রক্তে লাল হয়ে গেল। তিন জন মৃত্যু বরণ করেছিল স্পটেই। সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য…. আমার তেমন কিছু না হলেও শরীরে প্রচুর ব্যথা পেয়েছিলাম।
চালের বস্তা ও জুতা হাড়িয়ে ভেজা কাপড়ে বাড়িতে ফেরত গিয়েছিলাম সেদিন। আমাকে দেখে বাবা মায়ের সেকি কান্না…পরদিন অবশ্য রংপুরে গিয়েছিলাম…..সেদিনের কথা মনে হলে এখনো শরীর শিউরে উঠে…। সেটি ছিল এক স্মরনকালের স্মরনীয় সড়ক দুর্ঘটনা
-তরিকুল ইসলাম
পল্লী জনপদ, নিয়ামত পান্ডারদিঘী, রংপুর।