প্রাইজ বন্ড ড্র ২০২৫: পুরস্কার পেল যেসব নম্বর ১১৯তম ড্রতে

সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে হঠাৎ খবরের কাগজে চোখ পড়ল—“প্রাইজ বন্ড ড্র ২০২৫: প্রথম পুরস্কার ০২৬৪২৫৫”। হয়তো তখনই কোথাও একটা হৃদয় ধুকপুক করে উঠেছে, কেউ হয়তো ছুটে গিয়েছেন নিজের বন্ড নম্বর মিলিয়ে দেখতে। একটা ছোট্ট কাগজ, তাতে নেই কোনো সুদ, নেই নিয়মিত মুনাফা—তবু দেশের হাজার হাজার মানুষের জীবনে এই কাগজটাই এক টুকরো স্বপ্ন, এক সম্ভাবনার নাম।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বছরের পর বছর ধরে যারা নিরবে ১০০ টাকা করে সঞ্চয় করছেন প্রাইজ বন্ডে, তাদের জন্য এই দিনটা যেন বিজয়ের মুহূর্ত। কারো হয়তো জমে থাকা ঋণ শোধ হবে, কেউ হয়তো মেয়ের বিয়ের খরচটা মেটাতে পারবেন এই টাকায়।

আজকের এই লেখায় আমরা জানবো “প্রাইজ বন্ড ড্র ২০২৫”-এর বিজয়ী নম্বর, কীভাবে প্রাইজ বন্ড কেনা যায়, কীভাবে ড্র হয়, এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যাতে আপনি যেমন আশাবাদী হতে পারেন, তেমনি থাকতে পারেন সজাগ ও সচেতন।

আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা

Table of Contents

প্রাইজ বন্ড কী? – এক নজরে বোঝার সহজ গাইড

প্রাইজ বন্ড হলো বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত একটি সুদবিহীন সঞ্চয়পত্র, যা কিনা র‌্যান্ডম ড্র বা লটারির মাধ্যমে পুরস্কৃত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষ খুব সহজেই ১০০ টাকা মূল্যের একটি বন্ড কিনে নিজেদের ভাগ্য যাচাই করতে পারেন।

মূল বৈশিষ্ট্য:

  • মূল্য: প্রতিটি বন্ডের মূল্য ১০০ টাকা
  • সুদ: কোনো সুদ নেই
  • পুরস্কার: নির্দিষ্ট সময় পরপর ড্র হয় এবং বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়
  • ফেরতযোগ্য: চাইলে মূল অর্থ ফেরত নেওয়া যায়
  • সরকারি নিশ্চয়তা: বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত

এই পদ্ধতিটি অনেকটা ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ীও গ্রহণযোগ্য, কারণ এতে সুদ নেই এবং ভাগ্যের ওপর ভিত্তি করেই লাভ পাওয়া যায়। তাই এটি ধর্মীয়ভাবেও অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুন: ফেসবুক স্টোরি থেকে আয়ের সুযোগ: কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সুখবর, পারবনে আপনিও

প্রাইজ বন্ড কেনার নিয়ম ও পদ্ধতি

আপনি যদি প্রথমবার প্রাইজ বন্ড কিনতে চান, তবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

  1. কোথায় পাওয়া যায়:
    • বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস
    • অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যাংক শাখা
    • নির্দিষ্ট পোস্ট অফিস
  2. প্রক্রিয়া:
    • নির্ধারিত ফরম পূরণ করে টাকা জমা দিন
    • বন্ড নম্বরসহ একটি স্লিপ পাবেন (কাগজের বা ডিজিটাল)
    • এই নম্বরই ভবিষ্যতে ড্রয়ের সময় মিলিয়ে দেখতে হবে
  3. বয়সসীমা:
    • যেকোনো নাগরিক প্রাপ্তবয়স্ক হলেই কিনতে পারেন
  4. পরামর্শ:
    • নিজের নামে কিনুন
    • বন্ড নম্বর এবং ক্রয় রসিদ অবশ্যই সংরক্ষণ করুন

প্রাইজ বন্ড ড্র ২০২৫: কখন, কোথায় ও কীভাবে হয় ড্র

২০২৫ সালের প্রাইজ বন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হয় ৩০ এপ্রিল। স্থান ছিল ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলনকক্ষ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকার পরিচালক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ড্রটি পরিচালিত হয় একক সাধারণ পদ্ধতিতে, অর্থাৎ প্রতি সিরিজে একই নম্বর বিজয়ী হয়।

ড্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • প্রতি তিন মাস পর পর ড্র হয় (বছরে ৪ বার)
  • প্রতিটি ড্রতে ৮১টি সিরিজ অংশগ্রহণ করে
  • প্রতি সিরিজে একই বিজয়ী নম্বর পুরস্কার পায়

এইবার:

  • ৮২টি সিরিজের ৪৬টি সংখ্যার মোট ৩৭৭২টি নম্বর বিজয়ী
প্রাইজ বন্ড ড্র ২০২৫

২০২৫ সালের ১১৯তম প্রাইজ বন্ড ড্রর বিজয়ী নম্বর: দেখুন কার ভাগ্য খুলে গেলো

ভাবুন তো, মাত্র ১০০ টাকার একটি কাগজের টুকরো হঠাৎ একদিন আপনার জীবনের চেহারা বদলে দিল! কারও জন্য এটি ৬ লাখ টাকার চেক, কারও জন্য হয়তো বহুদিনের জমে থাকা কষ্টের অবসান। ঠিক এমনই এক সুযোগ এনে দেয় প্রাইজ বন্ড। আর ২০২৫ সালের ১১৯তম প্রাইজ বন্ড ড্র ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে, যেখানে বদলে গেছে অনেকের ভাগ্য।

চলুন জেনে নিই, কারা পেলেন স্বপ্নের পুরস্কার, কিভাবে পরিচালিত হলো এই ড্র, এবং আপনার বন্ডটি কি বিজয়ী বন্ডের তালিকায় আছে কিনা।

কবে, কোথায় এবং কীভাবে অনুষ্ঠিত হলো এই ড্র?

২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল, বুধবার, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রাইজ বন্ডের ১১৯তম ড্র। সভাপতিত্ব করেন ঢাকার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী

ড্রটি পরিচালিত হয় একক সাধারণ পদ্ধতিতে—মানে প্রত্যেক সিরিজে একই নম্বর বিজয়ী হয়। এতে অংশ নেয় ৮২টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা, যার ফলাফলে মোট ৩,৭৭২টি নম্বর পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

২০২৫ সালের ড্রয়ের বিজয়ী নম্বর ও পুরস্কারের তালিকা

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কে পেলেন কোন পুরস্কার:

➡️ প্রথম পুরস্কার: ৬ লাখ টাকা

  • বিজয়ী নম্বর: ০২৬৪২৫৫
    এই নম্বরটি ৮২টি সিরিজেই পুরস্কার পেয়েছে। অর্থাৎ এই নম্বর যদি আপনার বন্ডের নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে আপনি পাবেন ৬ লাখ টাকা!

➡️ দ্বিতীয় পুরস্কার: ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা

  • বিজয়ী নম্বর: ০৩৯৮০৬৮

➡️ তৃতীয় পুরস্কার: ১ লাখ টাকা (প্রতি বিজয়ী)

  • বিজয়ী নম্বর: ০২৩৯১৬৪ এবং ০৪৪২৯৫৮
    এই দুটি নম্বরও ৮২টি সিরিজে মিললে আপনি এই পুরস্কারের অধিকারী হবেন।

➡️ চতুর্থ পুরস্কার: ৫০ হাজার টাকা

  • বিজয়ী নম্বর: ০১৫৮৬৪৯ এবং ০২৩০২২৪

➡️ পঞ্চম পুরস্কার: ১০ হাজার টাকা (৪০ জন)

নিচের নম্বরধারীরা পেয়েছেন ১০ হাজার টাকার পুরস্কার। প্রতি সিরিজেই এই নম্বর থাকলে সেটিও পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য হবে।

০০১২২০৬, ০০২১২২২, ০০৪৮৫১৯, ০০৫৪২১৬, ০০৬৪৯৯৩, ০০৬৯৭৯৬, ০০৮৭৫৫৯, ০১৪৫৪৯০, ০২৩৯৩১০, ০২৪৩৩০,  
০২৪৪০০৪, ০২৮১৬১২, ০৩১১১৩৯, ০৩৪৩০৭৫, ০৩৫৭৪৮৪, ০৩৭৫৭৩০, ০৩৯০৩২৫, ০৪০৪১৪৯, ০৪১৯৮৮৩, ০৪৪৯৮৬৭,  
০৪৭৩৮৪০, ০৪৮৯৯৩৩, ০৪৯৪৫৮৩, ০৪৯৭১৪১, ০৫৭০২৮৫, ০৫৯১১৭৭, ০৫৯৫২২০, ০৬১৬৮৭৯, ০৬৬৫১৪৭, ০৭২৬৮২০,  
০৭৭০৭৮২, ০৭৮৩৯৩৪, ০৭৯৩৯৬০, ০৮২৩৮৫০, ০৮২৯০২৪, ০৮৬৫৪৩২, ০৮৭৯২৬৬, ০৯৫১৫৩৮, ০৯৬৩৬২৬, ০৯৬৮৬৫৩

জেনে রাখুন: পুরস্কারের অর্থ ও কর সম্পর্কিত কিছু বিষয়

প্রাইজ বন্ডে পুরস্কার পেলেই যে আপনি পুরো টাকাটা হাতে পাবেন, তা নয়।
আয়কর আইন ২০২৩–এর ১১৮ ধারার অধীনে, পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০% উৎসে কর কেটে রাখা হয়। অর্থাৎ ৬ লাখ টাকা জিতলেও হাতে পাবেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

তবুও এই কর কাটার পরেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পুরস্কার, যা অনেকের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।

ড্রয়ের অন্তর্ভুক্ত বন্ড: আপনি কি ছিলেন এই তালিকায়?

আপনার বন্ড যদি ড্রয়ের ৬০ দিন আগে ইস্যু হয়ে থাকে, তবে সেটি এই ড্রয়ের আওতাভুক্ত।
অর্থাৎ, ড্রয়ের নির্ধারিত তারিখ (৩০ এপ্রিল) থেকে অন্তত ৬০ দিন আগে যেসব প্রাইজ বন্ড বিক্রি হয়েছে, কেবল সেগুলোর নম্বরই বিবেচিত হয়েছে। নতুন কেনা বন্ড হলে এটি পরবর্তী ড্রতে বিবেচিত হবে।

এই ড্রয়ের আওতাভুক্ত সিরিজসমূহ

চলতি ড্রয়ের আওতাভুক্ত ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮১টি সিরিজ হলো:

কক, কখ, কগ, কঘ, কণ্ঠ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড়, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গহু, গল্প, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড়, গঢ়, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক, ঘথ, ঘগ, ঘঘ

আপনার বন্ড যদি এই সিরিজের মধ্যে পড়ে, তাহলে আপনি বিজয়ী হতে পারেন।

আপনি যদি বিজয়ী হন, তাহলে করণীয় কী?

আপনি যদি পুরস্কার জিতেন, তাহলে আপনাকে প্রাইজ বন্ড ফরম ও ডকুমেন্টেশন জমা দিতে হবে:

  • বিজয়ী প্রাইজ বন্ডের মূল কপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার দাবির ফরম
  • একটি বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

প্রাইজ বন্ড ড্রয়ের তারিখ থেকে ২ বছরের মধ্যে পুরস্কার সংগ্রহ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর দাবি করলে তা আর গ্রহণযোগ্য হবে না।

কখন ও কোথায় জমা দেবেন?

  • বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায়
  • ড্রয়ের পর ২ বছরের মধ্যে পুরস্কার দাবি করতে হবে
প্রাইজ বন্ড ড্র ২০২৫

প্রাইজ বন্ড চেকার: আপনি বিজয়ী কিনা জানবেন যেভাবে

প্রতিবারের মতো এবারও লাখো মানুষ ১০০ টাকার একটি ছোট্ট কাগজ হাতে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন—“হয়তো এবার আমার নম্বরটাই উঠবে!”
আপনারও যদি হাতে প্রাইজ বন্ড থাকে, তাহলে এখনই সময় জেনে নেওয়ার, আপনি বিজয়ী হয়েছেন কিনা। কিন্তু কিভাবে নিশ্চিত হবেন?

বাজারে অনেক ভুল তথ্য ভাসছে, তাই সঠিকভাবে চেক করার জন্য দরকার সরকারি ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। আসুন দেখে নিই, কীভাবে আপনি নিরাপদে ও নির্ভুলভাবে আপনার প্রাইজ বন্ড নম্বর যাচাই করতে পারেন।

✅ কোথায় চেক করবেন আপনার প্রাইজ বন্ড নম্বর?

1. বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে

সরকারি ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রতিটি ড্রয়ের পূর্ণ তালিকা PDF আকারে প্রকাশিত হয়। আপনি বন্ড নম্বর মিলিয়ে সরাসরি নিশ্চিত হতে পারেন।
➡️ www.bb.org.bd

2. অনলাইন প্রাইজ বন্ড চেকার অ্যাপ

বর্তমানে কিছু বিশ্বস্ত মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে আপনার বন্ড নম্বর বসালেই এক ক্লিকে জানতে পারবেন আপনি বিজয়ী কিনা। তবে অবশ্যই ব্যবহার করার আগে অ্যাপটি বিশ্বস্ত কিনা যাচাই করে নিন।

3. দৈনিক পত্রিকা ও সরকারি অনুমোদিত প্রকাশনা

অনেক জাতীয় দৈনিক প্রাইজ বন্ড ড্রয়ের পরদিন পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করে। এখান থেকেও আপনার বন্ড নম্বর মিলিয়ে দেখতে পারেন।

✅ সতর্ক থাকুন: ভুয়া ওয়েবসাইট ও প্রতারণা এড়ান

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা ভুল তথ্য বা পুরাতন ড্র দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। কখনো কখনো পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা দাবি করে প্রতারণাও করে।

মন রাখবেন:

  • বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া কেউ পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে নেই।
  • কোনো “ফি” দিয়ে পুরস্কার পেতে হয় না।
  • আপনার প্রাইজ বন্ড কখনো কাউকে হস্তান্তর করবেন না যাচাইয়ের নামে।

সুদ মুক্ত জাতীয় প্রাইজ বন্ড: কেন এটি বিনিয়োগকারীদের পছন্দ

অনেকেই সুদ গ্রহণকে ধর্মীয়ভাবে অনুচিত মনে করেন। সেই প্রেক্ষাপটে প্রাইজ বন্ড একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প, যেখানে আপনি:

  • মূল টাকা ফেরত পেতে পারেন
  • সময়সাপেক্ষে পুরস্কারের সুযোগ থাকে
  • কোনো সুদ গ্রহণ ছাড়াই অংশগ্রহণ করতে পারেন

এই বিষয়টি বিশেষ করে ইসলাম অনুসারী নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।

প্রাইজ বন্ডের মেয়াদ ও মেয়াদোত্তীর্ণের বিষয়

প্রাইজ বন্ডের নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই, তবে কিছু নিয়ম রয়েছে:

  • ড্রয়ের ৬০ দিন আগে কেনা বন্ডই কেবল বিবেচিত হয়
  • পুরস্কার পাওয়ার পর ২ বছরের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হয়
  • পুরনো বন্ড নতুন ড্রতে ব্যবহারের উপযোগী

পরিসংখ্যান ও মানুষের আশা: প্রাইজ বন্ডে স্বপ্ন বোনা

প্রতি ড্রতে গড়ে কয়েক হাজার মানুষ বিজয়ী হন, কিন্তু অংশগ্রহণ করে লাখের উপরে। তবু কেন মানুষ প্রাইজ বন্ড কিনে?

  • ক্ষুদ্র বিনিয়োগ, সম্ভাব্য বৃহৎ পুরস্কার
  • সুদবিহীন সঞ্চয়
  • সরকারি নিরাপত্তা
  • সামাজিক সম্মান (পুরস্কার পেলে লোকজন জানে)

বাস্তব গল্প: প্রাইজ বন্ডে ভাগ্য ফিরেছে যাঁদের

একজন কৃষক, যিনি প্রতি মাসে একটি করে বন্ড কিনতেন—একদিন হঠাৎ খবর পান তাঁর ৬ লাখ টাকা পুরস্কার লেগেছে।

একজন গার্মেন্টস কর্মী, যিনি নিজের বিয়ের খরচ জমানোর জন্য বন্ড কিনে রেখেছিলেন—পেয়ে যান ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার।

এসব গল্প প্রমাণ করে, এই “কাগজ” কেবল কাগজ নয়, বরং প্রত্যাশার প্রতীক।

প্রাইজ বন্ড কিনবেন কি? – সম্ভাবনা বনাম বাস্তবতা

যদিও এটি কোনো নিশ্চিত আয়ের উৎস নয়, তবে যারা ঝুঁকিমুক্তভাবে সঞ্চয় করতে চান এবং ভাগ্য যাচাই করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।

সতর্কতা:

  • বেশি লাভের আশায় হঠাৎ সব টাকা বিনিয়োগ করবেন না
  • ধাপে ধাপে ও সচেতন হয়ে বিনিয়োগ করুন

প্রতারণা থেকে সাবধান থাকুন

প্রতারণার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই:

  • শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক বা অনুমোদিত ব্যাংক থেকেই বন্ড কিনুন
  • পরিচয় গোপন রাখা ভালো
  • অনলাইন নম্বর যাচাইয়ের সময় ভুয়া সাইট এড়িয়ে চলুন

শেষ কথায়: সবার ভাগ্য এক নয়, তবে চেষ্টা থাকুক অবিরত

প্রাইজ বন্ড অনেকের কাছে ভাগ্যের খেলা। কেউ জেতে, কেউ হারে। কিন্তু এটুকু বলা যায়—একটি ছোট্ট বিনিয়োগ থেকেও জীবনের মোড় ঘুরে যেতে পারে। আর সেই আশার নামই প্রাইজ বন্ড।

আপনি হয়তো আজ জেতেননি, কিন্তু হয়তো পরেরবার আপনিই হবেন সেই ভাগ্যবান বিজয়ী।
তাই আপনার বন্ড নম্বর মিলিয়ে দেখুন, মনে রাখুন পরবর্তী ড্রয়ের তারিখ, এবং বিনিয়োগ করুন সচেতনভাবে।

শুভ কামনা রইলো—পরবর্তী বিজয়ী হোন আপনি!

 Juger Alo Google News  যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

Leave a Comment