বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের পল্লি এলাকায় পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে গেছে। এই তিনটি বিভাগ হলো বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ (ষষ্ঠ) জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১১ সালের শুমারি (পঞ্চম) থেকে বরিশাল বিভাগে পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। এবারের শুমারিতেও এই হার কম। এই তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের নাম। এই তিন বিভাগেই পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক।
আরও পড়ুন: রংপুরে মাইকিং করে পেঁয়াজ বিক্রি, দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার অভিযান
বিবিএসের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভাগ তিনটিতে মূলত তিন কারণে পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। প্রথমত, এই তিন বিভাগে পুরুষের অভ্যন্তরীণ অভিবাসী হওয়ার হার বেশি। দ্বিতীয়ত, নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি। তৃতীয়ত, ছেলেসন্তানের তুলনায় মেয়েসন্তানের জন্মের হার বেশি।
বরিশাল বিভাগে নারীর সংখ্যা ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ১৬৩ জন এবং পুরুষ ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে নারীর সংখ্যা ৬২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৭ জন এবং পুরুষ ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৩৩ জন। রংপুর বিভাগে নারীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন এবং পুরুষ ৮৭ লাখ ৩১ হাজার ৪১৫ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, একক কোনো কারণে এই তিন বিভাগে পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম, এটা বলা ঠিক হবে না। তিনটি বিভাগে কর্মসংস্থান হওয়ার মতো শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠেনি। এসব এলাকায় দারিদ্র্যের হার তুলনামূলক বেশি। এ কারণে পুরুষের অভ্যন্তরীণ অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা বেশি। পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম হওয়ার এটি একটি কারণ হতে পারে। ছেলেসন্তান জন্মের হার কম, এটিও একটি কারণ হতে পারে। এর বাইরে নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি—এটি একটি কারণ হতে পারে।
2 thoughts on “রংপুর সহ ৩ বিভাগে কমেছে পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার”