হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, দেশের একটি প্রধান কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন, সম্প্রতি ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন-২০২৩ (খসড়া)‘ নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, এই আইনটি যদিও হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষার জন্য প্রণীত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, তবে বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়।
আরও পড়ুন: রংপুর সহ ৩ বিভাগে কমেছে পুরুষ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
হেফাজতের নেতারা বলেছেন যে, হিজড়া বলতে বোঝানো হয় এমন মানুষকে যারা জন্মগতভাবে পুরুষ ও নারী উভয়ের চিহ্ন বিদ্যমান থাকে, অন্যদিকে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি হলেন যারা জন্মগতভাবে পুরুষ কিংবা নারী হলেও নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের মনে করেন। তারা আরও বলেছেন যে, শুধু মনে করার কারণে কারও লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে না এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না।
হেফাজতে ইসলাম এই আইনের ফলে সমকামিতা ও ব্যভিচারের মতো ঘৃণ্য ও মহাপাপগুলো আইনি বৈধতা পাবে বলে মনে করে এবং এটি আল্লাহর সৃষ্টি ও শরীয়তের মধ্যে বিকৃতি ও পরিবর্তনের মতো গুনাহে লিপ্ত হওয়ার দরুন আল্লাহর গজব ও লানতের শিকার হবে বলে দাবি করেছে।
এই বিবৃতি বাংলাদেশে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অধিকার এবং সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে চলমান বিতর্কের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
2 thoughts on “হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়: ব্যাখ্যা কি”