উপুড় হয়ে শোয়া কি ঠিক? প্রিয়নবী কি বলেছেন

উপুড় হয়ে শোয়া

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী ও উপদেশ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। তাঁর জীবনী ও উপদেশ আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলে। তেমনি একটি বিষয় হল উপুড় হয়ে শোয়া নিয়ে। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন যে, উপুড় হয়ে শোয়া ভালো নয়। এটি মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উপুড় হয়ে শোয়া নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমত, মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দ্বিতীয়ত, এটি জাহান্নামিদের শোয়া। জাহান্নামিদের উপুড় করেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

আরও পড়ুন: এখন থেকে বছরে একবার পরিদর্শন করা যাবে নবীজী (সা.) এর রওজা মোবারক

ইবনে তিখফা আল-গিফারি (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তার পিতা তাকে অবহিত করেন যে তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেন, ওঠো! এই উপুড় হয়ে শুলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে রাসুল (সা.) আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে[4].

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু জর (রা.) বলেন, আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে তার পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেন, হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়ন[4].

এই বিষয়ে পবিত্র কোরআনের আয়াতও পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনে জাহান্নামিদের প্রতি ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো।’ (সুরা কমার, আয়াত, ৪৮)।

প্রিয়নবী সা. এর এই উপদেশ আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এছাড়া, প্রিয়নবী সা. ফুলকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং তাঁর দৌহিত্রদের ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই দুটি বিষয় আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলে।

তাই, আমাদের সবাইকে প্রিয়নবী সা. এর এই উপদেশ মেনে চলা উচিত। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের উপর সকারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, ফুলের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান আমাদের মনের সুন্দর্য ও শান্তি বাড়াবে।

এই সব তথ্য বিবেচনা করে বলা যায় যে, উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকা উচিত। এটি আমাদের ধর্মীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গণ্য হবে।