বাংলাদেশ ৩২১ রান করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলো না। এই ম্যাচটি ছিল টাইগারদের জন্য বিশেষ এক লড়াইয়ের দিন, যেখানে শুরুতেই বোলাররা ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত কিপটে বোলিংয়ের সামনে পরাজিত হতে হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। প্রথমে ব্যাট করে ৩২১ রানের সংগ্রহ গড়েছিল টাইগাররা। সাকিব, মুশফিক এবং অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ইনিংসের পরও স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটে জয় পায়। এই জয়ে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টাইগারদের পরাজয়ের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিশোধও পূর্ণ হয়।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বাংলাদেশের বোলাররা দারুণভাবে শুরু করেছিল। ৩২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু এরপর যে অবিশ্বাস্যভাবে খেলায় ফিরল, তা ছিলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বৃষ্টির কারণে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকলেও, ফের শুরু হওয়া ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক জুটি গড়ে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন।
এদিনের আবির্ভাব ঘটে নতুন এক নামের—ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ব্যাটার আমির জাঙ্গু। অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৮৩ বলের মোকাবেলায় ১০৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন আমির। তার সেঞ্চুরি এবং কিসি কার্টির ৯৫ রানের কার্যকর ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় থেকে এক ধাপ দূরে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ : বাঁধা পেরিয়ে ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা জয় বাংলাদেশের
বৃষ্টির পর ক্যারিবীয়রা ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচে ফিরে আসে, আর এমন সময় তারা ১৩২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। কিসি কার্টি ৯৫ রান করে আউট হলেও, আমির জাঙ্গু তার পার্টনারশিপ ধরে রেখে রস্টোন চেজের সঙ্গে ১৬ রান এবং গুদাকেশ মোতির সঙ্গে অপরাজিত ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের বোলাররা যদিও সফলভাবে উইকেট নিয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য আরও একটি শিক্ষার দিন, যেখানে তারা ৩২১ রান করার পরেও সিরিজের হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স:
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হয়। তবে সৌম্য সরকার এবং মেহেদী হাসান মিরাজ তাদের দুর্দান্ত ইনিংসের মাধ্যমে ম্যাচে ফিরে আসেন। সৌম্য ৭৩ রান এবং মিরাজ ৭৭ রান করে আউট হন। এছাড়া ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক একটি দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে ১৫০ রান যোগ করেন। রিয়াদ করেন ৮৪ রান এবং জাকের আলী অনিক ৬২ রান করেন।
আরও পড়ুন: কঠিন সিদ্ধান্তে বিসিবি, সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি?
সিরিজের ফলাফল:
অবশেষে ৩২১ রান সংগ্রহ করেও হোয়াইটওয়াশ এড়ানো সম্ভব হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় নিয়ে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিজেদের নামে করে। ম্যাচের শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল হতাশ হলেও তারা জানে, এই হার তাদের জন্য আরও অনেক কিছু শেখার সুযোগ এনে দিয়েছে।