Afghanistan vs Australia, Champions Trophy 2025: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এ গ্রুপ পর্বের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে পৌঁছেছে। প্রতিটি দলের জন্য এই মুহূর্তে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড় একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তান, যাদের ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন অভিজ্ঞান তৈরি হয়েছে, তাদের চমকপ্রদ জয় ও একের পর এক ঐতিহাসিক পারফরম্যান্স দিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করেছে। এবার তারা তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া, যারা ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল, সেমিফাইনালে তাদের জায়গা নিশ্চিত করার জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, যে দলটি পেছনে ফেলেছে বহু প্রতিদ্বন্দ্বীকে, তারা জানে তাদের সেমিফাইনালে যেতে হবে কিভাবে। আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচটি হবে এক মরণ-বাঁচন ম্যাচ, যেখানে জয়ী দল সেমিফাইনালে যাবে, আর হারলে তাদের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এ বিদায় নিতে হবে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আফগানিস্তান: ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচনার পথে
আফগানিস্তান ক্রিকেটে সবার নজর কেড়েছে তাদের গতিশীল পারফরম্যান্স দিয়ে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা বড় দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে। ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক অসাধারণ জয় তুলে নিয়ে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছে।
এই জয় শুধু তাদের আত্মবিশ্বাসই বাড়ায়নি, বরং সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে। তাদের স্পিন বোলিং আক্রমণ, যা রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী পরিচালিত, দারুণ কার্যকরী হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাটিং লাইনআপেও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে তারা, বিশেষ করে গুরবাজ, শাহিদি, ও রহমত শাহের মতো খেলোয়াড়রা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ জেতার ভূমিকা পালন করেছে।
আফগানিস্তানের সর্বশেষ জয় তাদের সেমিফাইনালের পথে বড় এক পদক্ষেপ, যা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এর গ্রুপ বি-তে পয়েন্ট টেবিলের হিসেব পাল্টে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় তাদের এখনো সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য লড়াই করতে সাহায্য করেছে। তবে আফগানিস্তানের সামনে এখনও কঠিন চ্যালেঞ্জ, যেহেতু তারা পরবর্তী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলবে।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তান তার বোলিং বিভাগে বিশেষত রশিদ খান, নূর আহমেদ এবং ফজলহক ফরুকির মতো স্পিনারদের ওপর নির্ভরশীল, যাদের স্পিন কৌশল ও সঠিক সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার সক্ষমতা যেকোনো দলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। দলের মধ্যে দলের আগ্রাসী মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাসের যে ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে, তা এই দলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।
আরো পড়ুন: যেভাবে বই পড়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন
অস্ট্রেলিয়া: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত
অস্ট্রেলিয়া, বর্তমানে আইসিসির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তাদের শক্তি এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রায়ই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়। তারা জানে প্রতিপক্ষরা কতটা শক্তিশালী হতে পারে, কিন্তু তাদের ব্যাটিং এবং বোলিং বিভাগে পারদর্শিতা তাদের সব সময় শীর্ষে নিয়ে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ এবং তার দল পুরোপুরি প্রস্তুত, তবে তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
অস্ট্রেলিয়া জানে যে তারা একটি শক্তিশালী দল, যাদের অভিজ্ঞতা সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ড্র হয়ে পয়েন্ট ভাগ করেছে। এই পরিস্থিতিতে, তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচে জিতলে, তাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে যদি তারা হেরে যায়, তাহলে তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে, এবং তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফলের দিকে।
অস্ট্রেলিয়া তাদের বোলিং আক্রমণে খুবই শক্তিশালী। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা, যেমন অ্যাডাম জাম্পা, জশ ইংলিস, নাথান এলিস এবং স্পেন্সার জনসন, প্রতিপক্ষ দলের জন্য বিপদ সৃষ্টি করতে সক্ষম। তাদের ব্যাটিং বিভাগেও একাধিক তারকা খেলোয়াড় যেমন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মার্নাস লাবুসচাগনে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের মতো খেলোয়াড়রা আছেন যারা এককভাবে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আফগানিস্তান, যারা ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে, তাদের জন্য এই ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে, কিন্তু হারের পরিস্থিতিতে তাদের ভাগ্য নির্ভর করবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের ওপর।


সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা: গ্রুপ বি তুমুল প্রতিযোগিতা
গ্রুপ বি-তে সেমিফাইনালের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, যাদের বর্তমান পয়েন্ট ৩ এবং নেট রান রেটও ভালো, তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত, তবে একমাত্র তাদের হারতে হবে ইংল্যান্ডের কাছে, যেহেতু ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় ব্যবধানে হারালে, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল যাওয়ার সম্ভাবনা সংকটে পড়বে।
অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের জন্য শেষ ম্যাচটি আসলে সব কিছু নির্ধারণ করবে। যেই দল জয়ী হবে, তারা সেমিফাইনালে প্রবেশ করবে। এই পরিস্থিতিতে, আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া উভয়েই তাদের সেরা খেলাটি প্রদর্শন করতে প্রস্তুত।
Afghanistan vs Australia: কে বেশি শক্তিশালী?
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ Afghanistan vs Australia মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যখন সামনে আসে, তখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, কে বেশি শক্তিশালী? অস্ট্রেলিয়া, যা ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল, ইতিহাসে আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে, আফগানিস্তান তাদের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সে যে উন্নতি দেখিয়েছে, তাতে এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা জটিল হয়ে যায়। চলুন, দুই দলের শক্তি এবং দুর্বলতার তুলনা করা যাক:
অস্ট্রেলিয়ার শক্তি:
- অভিজ্ঞতা: অস্ট্রেলিয়া একটি অভিজ্ঞ দল, যারা বহু বিশ্বকাপ জয়ী এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী। তাদের ক্রিকেট ইতিহাস গৌরবময় এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের পেছনে রয়েছে বহু বছরের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাডাম জাম্পা, এবং প্যাট কামিন্সদের মতো খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের ইতিহাস তৈরি করেছেন।
- ব্যাটিং গভীরতা: অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ অত্যন্ত শক্তিশালী। স্টিভেন স্মিথের মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুসচাগনে এবং জশ ইংলিসের মতো ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রচুর অভিজ্ঞতা এবং আক্রমণাত্মক খেলাধুলা রয়েছে। এই শক্তিশালী ব্যাটিং আক্রমণ আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
- বোলিং শক্তি: অস্ট্রেলিয়া বোলিং বিভাগেও শক্তিশালী। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, এবং নাথান এলিসের মতো বোলাররা যেকোনো উইকেটে ভয়ংকর হতে পারেন। তাদের পেস আক্রমণ এবং স্পিন বিভাগ অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং প্রভাবশালী।
- আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা: অস্ট্রেলিয়া বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষস্থানীয় শক্তি হিসেবে রয়েছে। তাদের দলের অভ্যন্তরে খেলার কৌশল, চাপের মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স, এবং বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাদের এক বিশাল সুবিধা প্রদান করে।
আফগানিস্তানের শক্তি:
- স্পিন আক্রমণ: আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের স্পিন বোলিং। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, এবং নূর আহমেদের মতো স্পিনাররা যেকোনো উইকেটে ভয়ংকর হতে পারেন। বিশেষ করে রশিদ খান, যিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে পরিচিত, তার বোলিং দক্ষতা আফগানিস্তানের মূল শক্তি।
- ব্যাটিং লাইনআপের উন্নতি: আফগানিস্তান তাদের ব্যাটিং বিভাগে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। হাশমতুল্লাহ শাহিদি, রহমত শাহ, এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজদের মতো ব্যাটসম্যানরা বড় রান সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত। তারা এখন আর শুধু বোলিং শক্তি হিসেবে পরিচিত নয়, ব্যাটিং আক্রমণেও শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
- তাড়াহুড়া এবং মনোবল: আফগানিস্তান একটি অদম্য দল, যারা যে কোনো পরিস্থিতিতে লড়াই করতে সক্ষম। তাদের মনোবল এবং তাড়াহুড়া তাদেরকে বড় দলের বিরুদ্ধে চমক দিতে সাহায্য করেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের জয় তা প্রমাণ করে।
- উন্নত খেলোয়াড়: আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন তারকা খেলোয়াড় উঠে এসেছে, যারা বিশ্বমানের ক্রিকেট খেলতে সক্ষম। রশিদ খান এবং মোহাম্মদ নবী, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় নাম, তাদের উপস্থিতি আফগানিস্তানকে শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তুলনা:
- অভিজ্ঞতা: অস্ট্রেলিয়া অনেক বেশি অভিজ্ঞ, এবং তাদের দল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দলের মধ্যে এক। আফগানিস্তান অবশ্যই উন্নতি করেছে, তবে তাদের অভিজ্ঞতা এখনো অস্ট্রেলিয়ার সমান নয়।
- ব্যাটিং: অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং শক্তি আফগানিস্তানের থেকে অনেক বেশি গভীর এবং শক্তিশালী। অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ করতে পারে, যেখানে আফগানিস্তান নির্ভরশীল তাদের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের উপর।
- বোলিং: আফগানিস্তান স্পিন বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার থেকে শক্তিশালী, বিশেষ করে রশিদ খান, যিনি বিশ্বের সেরা স্পিনারদের মধ্যে অন্যতম। তবে, অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ তাদের স্পিন আক্রমণের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হতে পারে।
- বিশ্বমানের খেলোয়াড়: অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে, যারা বড় ম্যাচে পারফরম্যান্স দেওয়ার অভিজ্ঞতা রাখেন। আফগানিস্তান তাদের তরুণ খেলোয়াড়দের দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে চায়, তবে তাদের অভিজ্ঞতা আরও অনেক বাড়ানো দরকার।
কোন দল বেশি শক্তিশালী?
অস্ট্রেলিয়া দল হিসেবে বেশি শক্তিশালী। তাদের অভিজ্ঞতা, ব্যাটিং গভীরতা, এবং বোলিং শক্তির কারণে তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলতে সক্ষম। আফগানিস্তান অবশ্যই তাদের স্পিন আক্রমণ এবং সাম্প্রতিক সময়ের উন্নতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম, তবে তারা যদি অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বড় জয় পেতে চায়, তাহলে তাদের আরও বেশি উন্নতি করতে হবে।
তবে, আফগানিস্তান তাদের সেরা ফর্মে থাকলে এবং সঠিক কৌশলে খেলে, তারা যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাদের স্পিন শক্তি এবং তরুণদের উদ্দীপনা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে তারা অস্ট্রেলিয়াকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারাতে পারে।


আফগানিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া: চূড়ান্ত মুহূর্ত
এই ম্যাচটি এখন এক মরণ-বাঁচন লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া তাদের শক্তিশালী দল নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুত, সেখানে আফগানিস্তান তাদের স্পিন শক্তির ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজের স্থান নিশ্চিত করতে চায়। এই ম্যাচটি হতে চলেছে একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং নাটকীয় ম্যাচ, যা কোন দল সেমিফাইনালে যাবে তা নির্ধারণ করবে।
আফগানিস্তান যদি অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করতে পারে, তাহলে তারা তাদের সেমিফাইনালের পথ খুলে দেবে। তবে, যদি তারা হারে, তাহলে তাদের আর কোনো সুযোগ থাকবে না। তাদের জন্য একমাত্র আশা থাকবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের উপর।
অস্ট্রেলিয়া জানে, তারা যদি হারে, তাদের আশা একেবারে শেষ হয়ে যাবে, এবং সেক্ষেত্রে তারা পুরোপুরি নির্ভর করবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফলাফলের ওপর। তবে, অস্ট্রেলিয়া তাদের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে চাইবে।
আবহাওয়া ও পিচ রিপোর্ট
লাহোরের গাদাফি স্টেডিয়ামে Afghanistan vs Australia ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। গাদাফি স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য উপযোগী, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ডিউ ফ্যাক্টর বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যাচের দিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে, যা খেলোয়াড়দের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করবে। তবে, টস জয়ী দল সম্ভবত বোলিং করতে চাইবে, কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে ডিউ ফ্যাক্টরটি বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।
আফগানিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া হেড-টু-হেড
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর গ্রুপ পর্বে Afghanistan vs Australia আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তবে এই দুই দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ইতিহাসের পরিসংখ্যান কিছুটা একপেশে। আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া মোট চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, আর এই চারটি ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
আফগানিস্তান এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো জয় পেতে পারেনি। যদিও আফগানিস্তান তাদের সাম্প্রতিক ফর্মে উন্নতি করেছে এবং বড় দলগুলোর বিপক্ষে কিছু চমক সৃষ্টি করেছে, তবে অস্ট্রেলিয়া তাদের শক্তি ও অভিজ্ঞতার জোরে এগিয়ে রয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
- ম্যাচ খেলা: ৪
- অস্ট্রেলিয়া জিতেছে: ৪
- আফগানিস্তান জিতেছে: ০
অথচ, আফগানিস্তান তাদের স্পিন আক্রমণ, বিশেষ করে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর মতো অভিজ্ঞ বোলারদের সঙ্গে, এবার অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। তারা জানে, একমাত্র সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য যদি তাদের এই ম্যাচ জিততে না পারে, তবে তাদের জন্য আর কোনো সুযোগ থাকবে না। যদিও এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তাদের জয়ী হওয়ার পথে একটি বাধা মনে হতে পারে, আফগানিস্তান তাদের ফর্ম দেখে এই ম্যাচে বড় চমক দিতে সক্ষম হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া, যাদের গ্রুপ পর্বে প্রভাবশালী পারফরম্যান্স রয়েছে, তারা জানে যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।
Afghanistan vs Australia Live দেখার উপায়
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এর ম্যাচ, বিশেষ করে Afghanistan vs Australia মধ্যকার লড়াই, ক্রিকেট ভক্তদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটি সরাসরি দেখার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আপনি নীচে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে Afghanistan vs Australia Live দেখতে পারেন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এর অধিকাংশ ম্যাচ ভারতে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে। আপনি স্টার স্পোর্টস ১, ২, ৩ বা ১৮ চ্যানেলে এই ম্যাচটি সরাসরি দেখতে পারবেন।
- দেশ/অঞ্চল: ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ
- টিভি চ্যানেল: স্টার স্পোর্টস (Star Sports 1, 2, 3, Sports 18)
শেষ কথা
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এখনো বহু নাটকীয়তার জন্য অপেক্ষা করছে। Afghanistan vs Australia মধ্যে এই ম্যাচটি যে সেমিফাইনাল নির্ধারণকারী হবে, তা আর সন্দেহ নেই। সবার নজর থাকবে এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে, যেখানে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দলগুলির মধ্যে একজন সেমিফাইনালে পৌঁছানোর জন্য লড়াই করবে। কোন দল সেমিফাইনালে যাবে এবং কোন দল ছিটকে যাবে, তা নির্ধারণ হবে খুব শীঘ্রই।
প্লেয়িং এক্সআই পূর্বাভাস
অস্ট্রেলিয়া প্লেয়িং এক্সআই:
- ম্যাথিউ শর্ট
- ট্রাভিস হেড
- স্টিভেন স্মিথ (ক্যাপ্টেন)
- মার্নাস লাবুসচাগনে
- জশ ইংলিস (উইকেটকিপার)
- অ্যালেক্স কেরি
- গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
- বেন ডওয়ারশুইস
- নাথান এলিস
- অ্যাডাম জাম্পা
- স্পেন্সার জনসন
আফগানিস্তান প্লেয়িং এক্সআই:
- রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার)
- ইব্রাহিম জাদরান
- সাদিকুল্লাহ আতাল
- রহমত শাহ
- হাশমতুল্লাহ শাহিদি (ক্যাপ্টেন)
- আজমতুল্লাহ ওমরজাই
- গুলবদিন নাইব
- মোহাম্মদ নবী
- রশিদ খান
- নূর আহমদ
- ফজলহক ফরুকি