জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড ভুল হলে কি যে যন্ত্রনায় পড়তে হয়, যার ভুল হয়েছে একমাত্র সেই জানেন। এই যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় দৌড় ঝাপ শুরু করে বিভিন্ন দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন? তবে আপনি যদি একটু সচেতন হোন, তাহলে ঘরে বসেই অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন খুব সহজে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না, চলুন আপনাকে বিস্তারিত জানাই।
আরও পড়ুন: ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম:২০২৪ সালে বর্তমান অবস্থা যাচাই করবেন যেভাবে
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি শুধুমাত্র ভোটদান ও ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করার জন্য নয়, বরং পাসপোর্ট তৈরি, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা সহ আরও অনেক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয়।
এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ করা সহজ হয়, তবে যদি এর কোনো তথ্য ভুল বা গরমিল থাকে, তবে সেটা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন, নামের বানান ভুল বা জন্মতারিখে গরমিল হওয়ার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
তবে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ এখন আপনি ঘরে বসেই সহজভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করতে পারেন। এ লেখায় আমরা বিস্তারিতভাবে জানব কীভাবে আপনি অনলাইনে এনআইডি সংশোধন করতে পারবেন এবং কোন পদ্ধতিতে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: 2024 সালের ফ্রি টাকা ইনকাম করার সেরা Apps ও ওয়েবসাইট
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন: সহজ ৫টি ধাপে প্রক্রিয়া
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করতে গিয়েও অনেকেই সঠিক তথ্যের অভাবে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান এবং অনেক সময় দালালের ফাঁদে পড়েন। তবে, সরকার বলছে যে আপনি নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই এনআইডির তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। কীভাবে? চলুন, বিস্তারিত জানি।
ধাপ ১: অ্যাপ ডাউনলোড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতি
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার প্রথম পদক্ষেপ হলো NID WALLET নামক একটি অ্যাপ ডাউনলোড করা। গুগল প্লে স্টোর থেকে এটি সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। অ্যাপটি ইনস্টল করার পর, আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স) স্ক্যান করে বা ছবি তুলে সঠিক আকারে সংরক্ষণ করুন। এসব কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখলে প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হবে।
ধাপ ২: অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
অ্যাপ ডাউনলোড করার পর, আপনাকে https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘রেজিস্ট্রেশন করুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রদান করুন। পরবর্তী ধাপে, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করে মুঠোফোন নম্বর ভ্যারিফাই করতে হবে।
একবার ফোন নম্বর যাচাই (ভ্যারিফাই) হয়ে গেলে, অ্যাপটি খুলে আপনার মুখমণ্ডলের ভ্যারিফিকেশন করতে হবে। ভ্যারিফিকেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনি এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।
ধাপ ৩: তথ্য সংশোধন
অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর, আপনি তিনটি অপশন পাবেন: প্রোফাইল, রিইস্যু, এবং ডাউনলোড। প্রোফাইল অপশনটি নির্বাচন করুন, যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানাসহ সব তথ্য থাকবে। এখানে আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান সেটি নির্বাচন করে ‘এডিট করুন’ অপশনে ক্লিক করুন।
যত্নসহকারে পুরনো ও নতুন তথ্য যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যান। এরপর, সংশোধিত তথ্য ও আগের তথ্যের তুলনা করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: ফি প্রদান
এনআইডি সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। যেমন:
- নাম সংশোধন ফি (ভ্যাটসহ): ২৩০ টাকা
- অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি (ভ্যাটসহ): ১১৫ টাকা
- দুটি তথ্য সংশোধন: ৩৪৫ টাকা
- রিইস্যু ফি: ৩৪৫ টাকা
- জরুরি রিইস্যু: ৫৭৫ টাকা
এই ফি আপনি ব্যাংক বা অনলাইন মাধ্যমের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন।
ধাপ ৫: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া
ফি প্রদান করার পর, আপনাকে দুটি অপশন দেখতে হবে: আপনার আবেদনের ধরন এবং বিতরণের ধরন। আপনার সঠিক অপশন নির্বাচন করার পর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।
আপনার যে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে (যেমন: এসএসসি সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স) সেগুলি স্ক্যান বা ছবি তুলে আপলোড করুন। একাধিক ডকুমেন্ট সাবমিট করলে প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।
সব ডকুমেন্ট আপলোড হওয়ার পর, সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে ভুলবেন না।
অপেক্ষা করুন এবং সংশোধিত এনআইডি সংগ্রহ করুন
আবেদন সাবমিট করার পর, আপনি সর্বোচ্চ ২ মাসের মধ্যে আপনার মুঠোফোনে এসএমএস পাবেন, যেখানে আপনার সংশোধন সম্পর্কে আপডেট থাকবে। এসএমএস পাওয়ার পর, আপনার আবেদনপত্র এবং পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধিত এনআইডি সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার সুবিধা:
- সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়া: ঘরে বসেই আপনি সহজে এনআইডি সংশোধন করতে পারবেন।
- নিরাপদ পদ্ধতি: সরকারি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি নিরাপদে তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।
- অফলাইন ঝামেলা মুক্ত: দালালের হাত থেকে মুক্তি পাবেন এবং সরাসরি নির্বাচন অফিসে যাওয়ার ঝামেলা কমবে।
- ফি পরিশোধের সহজ মাধ্যম: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত ফি প্রদান করতে পারবেন, যা আপনার সময় বাঁচাবে।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাকে প্রক্রিয়াটি বুঝতে সাহায্য করবে:
১. প্রশ্ন: কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর: অনলাইনে বা এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করে ভুল তথ্য সংশোধন করা সম্ভব। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
২. প্রশ্ন: কার্ডে সংশোধন করা হলে কি কোন রেকর্ড রাখা হয়?
উত্তর: সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
৩. প্রশ্ন: ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কী সনদ জমা দিতে হবে?
উত্তর: জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সংশোধন আবেদন করতে হবে।
৪. প্রশ্ন: আমি অবিবাহিত। কিন্তু আমার কার্ডে পিতার পরিবর্তে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে। কিভাবে সংশোধন করতে পারি?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রমাণপত্রসহ আবেদন করতে হবে যে, আপনি বিবাহিত নন।
৫. প্রশ্ন: বিয়ের পর স্বামীর নাম কিভাবে কার্ডে যুক্ত করা যাবে?
উত্তর: নিকাহনামা এবং স্বামীর আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন বা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৬. প্রশ্ন: বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম কিভাবে বাদ দিব?
উত্তর: তালাকনামা সংযুক্ত করে অনলাইন বা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৭. প্রশ্ন: বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিয়ে করেছি, এখন নতুন স্বামীর নাম কিভাবে পুরনো স্বামীর স্থলে যুক্ত করা যাবে?
উত্তর: প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের তালাকনামা এবং পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৮. প্রশ্ন: পেশা পরিবর্তন করতে চাইলে কীভাবে করা যাবে?
উত্তর: পেশা পরিবর্তনের জন্য প্রমাণপত্রসহ অনলাইন বা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে আইডি কার্ডে পেশার তথ্য মুদ্রিত হয় না।
৯. প্রশ্ন: আমার আইডি কার্ডের ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে কী করতে হবে?
উত্তর: নিজে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অফিসে আবেদন করতে হবে।
১০. প্রশ্ন: নামের বানান সংশোধন করতে কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
উত্তর: এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরী প্রমাণপত্র, নিকাহনামা, এবং পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
১১. প্রশ্ন: আমার ডাকনাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
উত্তর: এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এফিডেভিট, জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ এবং ইউনিয়ন/পৌর/সিটি কর্পোরেশন থেকে নাম সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
১২. প্রশ্ন: পিতা/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করতে চাইলে কোন সনদ জমা দিতে হবে?
উত্তর: মৃত্যু সনদ জমা দিতে হবে।
১৩. প্রশ্ন: ঠিকানা কিভাবে সংশোধন বা পরিবর্তন করা যাবে?
উত্তর: আবাসস্থল পরিবর্তন হলে বর্তমান এলাকায় নির্বাচনী অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। একাধিক ভোটার এলাকা বা ঠিকানার ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের ফর্মে আবেদন করা যাবে।
১৪. প্রশ্ন: আমি বৃদ্ধ ও দরিদ্র, ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছি না। আইডি কার্ডে বয়স বাড়ালে কি ভাতা পাবো?
উত্তর: বয়স সংশোধন প্রামাণিক দলিল ছাড়া করা সম্ভব নয়। দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫. প্রশ্ন: একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের আইডি কার্ডে পিতা/মাতার নাম ভিন্নভাবে লেখা হয়েছে, কীভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর: সকল সদস্যের আইডি কার্ড কপি এবং সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন বা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে প্রমাণপত্রসহ আবেদন করতে হবে।
১৬. প্রশ্ন: আমি অজ্ঞাতভাবে এসএসসি বা তদুর্দ্ধ শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছিলাম, এখন সংশোধন কীভাবে করব?
উত্তর: আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন, যাতে ভুল তথ্য সংশোধন করা যায়।
১৭. প্রশ্ন: আইডি কার্ডে অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে, কিভাবে সংশোধন করব?
উত্তর: ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি সহ অনলাইন বা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পর সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে সংশোধন করা হবে।
১৮. প্রশ্ন: রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে কী করতে হবে?
উত্তর: রক্তের গ্রুপের ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।
১৯. প্রশ্ন: বয়স বা জন্ম তারিখ সংশোধন করার প্রক্রিয়া কী?
উত্তর: এসএসসি বা সমমান সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। যদি সনদ না থাকে, তবে অন্যান্য প্রমাণপত্র সহ আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে।
২০. প্রশ্ন: স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাইলে কীভাবে করব?
উত্তর: নতুন স্বাক্ষরের নমুনা ও প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।
২১. প্রশ্ন: জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লেখা হয়নি, প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কীভাবে সংশোধন করতে পারি?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২. প্রশ্ন: একটি কার্ডে কতবার সংশোধন করা যেতে পারে?
উত্তর: এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোনো সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
শেষ কথা:
জাতীয় পরিচয়পত্রের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি বিভিন্ন সেবা গ্রহণে সহায়তা করে। তবে, যদি কোনো ভুল তথ্য থাকে, তা সংশোধন করাও গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এখন একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি সহজ, নিরাপদ এবং দ্রুত করেছে। এখন আপনি ঘরে বসেই, কোনো ঝামেলা ছাড়াই, আপনার অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন।
এভাবে, আপনি অনলাইনে এনআইডি সংশোধন করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা সহজে গ্রহণ করতে পারবেন এবং নিজের পরিচয় সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারবেন।
2 thoughts on “অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করুন ঘরে বসেই”