বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করেন, চাকরি করেন বা বিভিন্ন সরকারি কাজে যুক্ত, তাদের জন্য ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (TIN Certificate) একটি অপরিহার্য নথি। তবে সবসময় এই সার্টিফিকেট সবার প্রয়োজন হয় না। অনেক সময় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়, কেউ স্থায়ীভাবে বিদেশে চলে যান অথবা ভুলবশত একাধিক টিন সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যায়। এসব পরিস্থিতিতে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে করদাতাকে তার টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হয়।
বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফলাইন ও আংশিক অনলাইন উভয় উপায়ে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার সুযোগ দিয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ, প্রক্রিয়া, অনলাইনে ও অফলাইনে করণীয়সহ ধাপে ধাপে পুরো গাইডলাইন।
আরো পড়ুন: ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য টিন রেজিস্ট্রেশন করা ঠিক হবে কি?
টিন সার্টিফিকেট কী এবং কেন প্রয়োজন?
টিন সার্টিফিকেট (Taxpayer Identification Number – TIN) হলো করদাতার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) কর্তৃক প্রদত্ত একটি বিশেষ নম্বর। এটি মূলত আয়কর প্রদানের জন্য ব্যবহার হলেও আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়, যেমন:
- ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা বা বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে
- ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স করতে
- গাড়ি রেজিস্ট্রেশন ও হস্তান্তরের সময়
- জমি/ফ্ল্যাট কেনাবেচার সময়
- সরকারি টেন্ডার বা কাজের অনুমোদন নিতে
তবে সবার জন্য টিন বাধ্যতামূলক নয়। যাদের করযোগ্য আয় নেই, তাদের জন্য এই সার্টিফিকেট থাকা মানেই কর দিতে হবে – এমন নয়।
আরো পড়ুন: গোপনে গোপনে ইনকাম: ফোনে এই ৭টি Apps ইন্সটল করলেই চালু হবে টাকার খেলা! (২০২৫)
কেন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে হয়
যেকোনো করদাতা বিভিন্ন কারণে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারেন। সাধারণ কারণগুলো হলো –
- ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়া – যখন আর ব্যবসা পরিচালিত হয় না।
- ডুপ্লিকেট টিন নাম্বার – ভুলবশত একই ব্যক্তির একাধিক টিন হয়ে গেলে।
- বিদেশে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়া – বিদেশে বসবাসের কারণে বাংলাদেশে করদাতা হিসেবে আর কোনো দায় না থাকা।
- মৃত্যুর পর – করদাতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীরা আবেদন করতে পারেন।
- অন্য কর অঞ্চলে স্থানান্তর – কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে পুরনো টিন বাতিল করে নতুন কর অঞ্চলে টিন ইস্যু করা হয়।
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। নিচে একটি টেবিলে তা তুলে ধরা হলো –
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | ব্যবহারিক কারণ |
---|---|
আবেদনপত্র (স্বাক্ষরযুক্ত) | বাতিলের মূল আবেদনের জন্য |
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি | পরিচয় যাচাইয়ের জন্য |
বিদ্যমান টিন সার্টিফিকেট কপি | টিন বাতিলের প্রমাণ |
ট্রেড লাইসেন্স বাতিল কপি (যদি ব্যবসা থাকে) | ব্যবসা বন্ধের প্রমাণ |
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ক্লোজ সার্টিফিকেট | ব্যবসা সমাপ্তির নিশ্চয়তা |
পাসপোর্ট ও ভিসার কপি (প্রবাসীর ক্ষেত্রে) | বিদেশে স্থায়ী হওয়ার প্রমাণ |
মৃত্যু সনদ (করদাতার মৃত্যু হলে) | উত্তরাধিকারী আবেদন করার জন্য |
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম (অফলাইন)
বাংলাদেশে এখনো টিন সার্টিফিকেট বাতিল পুরোপুরি অনলাইনে করা যায় না। তাই অফলাইনে কর অফিসের মাধ্যমে করতে হয়।
আরও পড়ুন
ধাপগুলো হলো:
- আবেদন প্রস্তুত করুন
লিখিতভাবে কেন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চান, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। - কাগজপত্র সংগ্রহ করুন
উপরোক্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে সত্যায়িত কপি তৈরি করুন। - কর অফিসে জমা দিন
আপনার সংশ্লিষ্ট কর সার্কেল/কর অঞ্চলে গিয়ে আবেদনপত্র ও কাগজপত্র জমা দিন। - অফিস যাচাই করবে
কর অফিস চেক করবে যে কোনো কর বকেয়া আছে কি না। - বাতিল অনুমোদন ✅
সবকিছু ঠিক থাকলে কর কমিশনার টিন বাতিলের অনুমোদন দেবেন এবং একটি অফিসিয়াল নোটিশ ইস্যু করবেন।
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য ডেমো আবেদনপত্র
➡️ নিচে একটি নমুনা আবেদনপত্র দেওয়া হলো, যেটি আপনার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন:
প্রাপক
কর কমিশনার
[আপনার সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চল/সার্কেলের নাম]
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR), ঢাকা।
বিষয়: টিন সার্টিফিকেট বাতিলের আবেদন
মাননীয় মহোদয়,
আমি [আপনার পূর্ণ নাম], পিতা/স্বামী – [পিতার/স্বামীর নাম], বর্তমানে [আপনার পূর্ণ ঠিকানা]-এর বাসিন্দা। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর [NID নম্বর] এবং ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN) [TIN নম্বর]।
আমি এই মর্মে আবেদন করছি যে, [কারণ উল্লেখ করুন – যেমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে / স্থায়ীভাবে বিদেশে চলে যাচ্ছি / ভুলবশত একাধিক TIN তৈরি হয়েছে]। তাই আমার উল্লিখিত TIN সার্টিফিকেটটি বাতিল করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংযুক্তি:
- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- বিদ্যমান TIN সার্টিফিকেটের কপি
- [কারণভেদে অন্যান্য কাগজপত্র]
আবেদনকারীর নাম: ___________
স্বাক্ষর: ___________
তারিখ: ___________
মোবাইল নম্বর: ___________
অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম
যদিও টিন বাতিল পুরোপুরি অনলাইন সিস্টেমে হয়নি, তবে কিছু ধাপ অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়।
- ➡️ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান: https://secure.incometax.gov.bd
- আপনার e-TIN অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
- “Profile” বা “Certificate Management” সেকশন চেক করুন।
- সরাসরি “Cancel TIN” বাটন নেই, তবে Update/Correction Request থেকে আবেদন করতে পারবেন।
- অনলাইনে একটি লিখিত আবেদন জমা দিন।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন।
- কর অফিস আপনার আবেদনের বিষয়ে যোগাযোগ করবে।
⭐ গুরুত্বপূর্ণ:
শুধু অনলাইনে আবেদন করলেই টিন বাতিল হবে না। চূড়ান্ত করতে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
আরো পড়ুন: অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ২০২৫: সহজে, দ্রুত ও নিরাপদে অর্থের সমাধান
টিন সার্টিফিকেট বাতিলের খরচ
অনেকেই মনে করেন, টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে হয়তো আলাদা ফি দিতে হয়। আসলে NBR কোনো ফি বা চার্জ নেয় না। এটি একটি বিনামূল্যে প্রদানকৃত সেবা।
তবে আপনার ডকুমেন্ট সংগ্রহ (যেমন: ফটোকপি, সত্যায়ন, লাইসেন্স বাতিলের কপি সংগ্রহ) করতে সামান্য খরচ হতে পারে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর Status চেক করার উপায়
আবেদন করার পর অনেকেই জানতে চান তাদের টিন বাতিলের অগ্রগতি (status) কীভাবে চেক করবেন।
- সরাসরি আপনার কর সার্কেল অফিসে গিয়ে জানতে পারবেন।
- কর অফিসের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
- প্রয়োজনে NBR-এর হেল্পলাইন ১৬১৫-এ কল করতে পারেন।
- অনলাইনে লগইন করলে “Application/Request Status” সেকশনে আপডেট পাওয়া যায়।
ডুপ্লিকেট TIN-এর ক্ষেত্রে করণীয়
যদি ভুলবশত আপনার একাধিক TIN তৈরি হয়ে যায়, তবে:
- যেটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়েছে (ব্যাংক, ব্যবসা, জমি কেনাবেচায়) সেটি রেখে দিতে হবে।
- নতুন বা কম ব্যবহৃত TIN বাতিল করতে হবে।
- এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রে স্পষ্টভাবে লিখতে হবে কোন TIN রাখতে চান এবং কোনটি বাতিল করতে চান।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল হতে কতদিন সময় লাগে
সাধারণত সব কাগজপত্র সঠিক থাকলে ৭-১৫ কর্মদিবসের মধ্যে টিন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায়। তবে যদি –
- বকেয়া কর থাকে,
- কাগজপত্রে সমস্যা থাকে,
- অথবা বিশেষ কোনো তদন্ত দরকার হয়,
তাহলে সময় আরও বেশি লাগতে পারে।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার আগে যা খেয়াল রাখবেন
- আপনার কোনো কর বকেয়া থাকলে আগে পরিশোধ করুন।
- সক্রিয় মামলা থাকলে টিন বাতিল করা যাবে না।
- একাধিক TIN থাকলে একটি রেখে বাকিগুলো বাতিল করুন।
- ব্যবসা বন্ধ হলে ব্যাংক ও লাইসেন্স-সম্পর্কিত প্রমাণ দিতে হবে।
যোগাযোগের জন্য সহায়ক তথ্য
যদি কোনো সমস্যা হয় বা প্রক্রিয়া বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন:
- NBR অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://nbr.gov.bd
- হেল্পলাইন: ☎ 1615
- কর অফিস: আপনার সংশ্লিষ্ট কর সার্কেল অফিস
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
বর্তমানে টিন সার্টিফিকেট বাতিল পুরোপুরি অনলাইন করা না গেলেও, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ধীরে ধীরে সব সেবা ডিজিটালাইজ করছে। ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ অনলাইনে টিন বাতিল করার সিস্টেম চালু হতে পারে।
➡️ তাই সর্বদা NBR-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সংবাদ আপডেট নজরে রাখুন।
আরো পড়ুন: সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি ও কোন ব্যাংক দিচ্ছে সবচেয়ে সুবিধাজনক লোন
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কিত প্রশ্ন
১. আমি কি চাকরিজীবী হয়ে থাকলেও টিন বাতিল করতে পারি?
হ্যাঁ। যদি আপনার আয়কর দেওয়ার কোনো দায় না থাকে, তাহলে আপনি আবেদন করে আপনার টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারেন। তবে আগে আপনার বর্তমান আয়ের তথ্য ও রিটার্ন পরীক্ষা করুন।
২. মৃত্যুর পর টিন সার্টিফিকেট কে বাতিল করবে?
মৃত্যুর পর টিন বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন উত্তরাধিকারী বা পরিবারের সদস্যরা। আবেদনপত্রের সাথে মৃত্যুসনদ এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
৩. টিন বাতিল করতে কোনো ফি দিতে হয় কি?
না, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) কোনো চার্জ বা ফি নেয় না। তবে ডকুমেন্ট সংগ্রহ বা সত্যায়নের জন্য সামান্য খরচ হতে পারে।
৪. অনলাইনে কি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা যায়?
বর্তমানে টিন সম্পূর্ণ অনলাইনে বাতিল করা যায় না। তবে আপনি e-TIN অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে Update/Correction Request জমা দিতে পারেন, এবং পরে কর অফিসে কাগজপত্র দিয়ে চূড়ান্ত বাতিল করতে হবে।
৫. আমার একাধিক TIN হয়ে গেছে, কোনটি বাতিল করব?
আপনি যেটি বেশি ব্যবহার করেছেন (ব্যাংক, ব্যবসা, রিটার্ন) সেটি রাখুন এবং কম ব্যবহৃত TIN বাতিল করুন। আবেদনপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে কোন TIN রাখবেন এবং কোনটি বাতিল করবেন।
৬. টিন বাতিল হতে কত দিন লাগে?
সাধারণত সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৭–১৫ কর্মদিবসের মধ্যে টিন বাতিল হয়ে যায়। তবে বকেয়া ট্যাক্স বা আইনি জটিলতা থাকলে সময় বেশি লাগতে পারে।
৭. আবেদন জমা দেওয়ার পর স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করব?
সরাসরি কর সার্কেল অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন
কর অফিসের ফোন নম্বরে কল করতে পারেন
অনলাইনে e-TIN অ্যাকাউন্ট লগইন করে “Application/Request Status” দেখুন
প্রয়োজনে NBR হেল্পডেস্ক (☎ 1615) ব্যবহার করুন
৮. ব্যবসা বন্ধ হলে টিন বাতিল করতে কি কাগজপত্র লাগবে?
হ্যাঁ। ব্যবসা বন্ধের প্রমাণ হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল কপি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ক্লোজ সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
৯. ভবিষ্যতে কি টিন বাতিল সম্পূর্ণ অনলাইনে করা যাবে?
হ্যাঁ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ধীরে ধীরে সব প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করছে। ভবিষ্যতে পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে করার সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়মিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফলো করলে আপডেট পাওয়া যাবে।
১০. টিন বাতিল করার জন্য কোন অফিসে যোগাযোগ করা উচিত?
আপনার সংশ্লিষ্ট কর সার্কেল/জোন অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া NBR হেল্পলাইন (☎ 1615) বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://nbr.gov.bd থেকেও তথ্য পাওয়া যাবে।
শেষ কথা
টিন সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হলেও সবার জন্য সারাজীবন প্রয়োজনীয় নয়। ব্যবসা বন্ধ হওয়া, বিদেশে স্থায়ীভাবে যাওয়া বা একাধিক TIN তৈরি হলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম মেনে আবেদন করে এটি বাতিল করা যায়।
এই প্রক্রিয়া খুব বেশি জটিল নয়—সঠিক কারণ, প্রমাণপত্র ও আবেদনপত্র জমা দিলেই কয়েক দিনের মধ্যে টিন বাতিল হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এর জন্য কোনো সরকারি ফি নেই।
সুতরাং, যাদের আর টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই তারা দেরি না করে এখনই আবেদন করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য:
প্রিয় বন্ধুরা, আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভাষাগত ভুলত্রুটি থাকে, তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আর লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। কারণ, হয়তো আপনার মতো অন্য কারো উপকারে আসতে পারে।
➡️ আর হ্যাঁ কোন সমস্যা হলে বা বুঝতে সমস্যা হলে অথবা কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। চেষ্টা করবো আপনার মুল্যবান মতামতের সদুত্তর দেয়ার। ধন্যবাদ