জাতিসংঘ পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে সম্ভাব্য তালিকায় ড. ইউনুসের নাম আলোচনায়

বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন আলোড়ন — United Nations-র (জাতিসংঘ) পরবর্তী মহাসচিব পদের সম্ভাব্য দৌড়ে এখন আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের মানুষ ও অর্থনীতিরউদ্ধারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নাম।

২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিদায়ী মহাসচিব António Guterres-এর (আন্তোনিও গুতেরেস) দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য বিশ্বরাজনীতিতে আলোচনার সূত্রপাত হয়ে গেছে। সেসব আলোচনায় ড. ইউনুসের নাম উদয় হয়েছে — যদিও এখনও কখনও কখনও “রিউমার” পর্যায়ে থেকে পাড়ায়।

আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই Apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন- কাজ করা খুব সোজা

কেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নাম?

  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মনোনয়ন না থাকলেও তাঁর নাম ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী পর্যায়ে ঘোরাঘুরি করছে।
  • আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা ও সামাজিক সাফল্যের কারণে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের বৈশ্বিক দায়িত্বে তিনি উপযুক্ত একজন ব্যক্তি।
  • তবে, পদটির ভূগোল ও ঐতিহ্য অনুযায়ী — বর্তমান নিয়মমাফিক — এশিয়া অঞ্চলের পরে এই পদ সাধারণত লাতিন আমেরিকা বা আফ্রিকার দেশ হতে পারে, যা তার পথকে চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে।

নির্বাচন প্রক্রিয়া: জানুন মূল বিষয়গুলো

  • জাতিসংঘ সংবিধান অনুযায়ী মহাসচিব নিয়োগে প্রথম ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council) সুপারিশ দেয় এবং তারপর ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদ (General Assembly) অনুমোদন করে।
  • সম্প্রতি একটি সাধারণ পরিষদের রেসোলিউশনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে — যেমন মনোনীতরা তাঁদের «ভিশন স্টেটমেন্ট» দেবে, আর আর্থিক উৎস প্রকাশ করবে।
  • নির্বাচনের সময়সূচি হিসেবে বলা হয়েছে– বিদায়ী পদের মেয়াদ শেষের এক-দুই বছর আগে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

✅ কী দিক দিয়ে সম্ভাবনায় আছে–কিন্তু কী বাধা?

সুবিধার্থে:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
  • ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে; সামাজিক উদ্যোগ ও অর্থনীতিতে নতুন ধারণা তিনি প্রবর্তন করেছেন।
  • বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের দিক থেকেও এটা একটি শক্তিশালী মেসেজ হতে পারে।

চ্যালেঞ্জগুলো:

  • এশিয়া থেকে ইতিমধ্যে মহাসচিব নির্বাচন হয়েছে (উদাহরণ স্বরূপ, Ban Ki‑moon, দক্ষিণ কোরিয়া)–এই ধারা বিবেচনায় নিয়ে লাতিন আমেরিকা বা আফ্রিকার প্রার্থীর জন্য এবার সুযোগ বেশি বলেই অনেক বিশ্লেষক দেখছেন।
  • এখনো কোনো দেশ অফিশিয়ালি তেমনভাবে তাঁর প্রার্থিতার কথা ঘোষণা করেনি।
  • নির্বাচনের মূল প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং সেখানে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক জটিলতা থাকতে পারে।

সামগ্রিকভাবে বললে

যদিও এখন পর্যন্ত ড. ইউনুসকে নিয়ে কোনো অনুমোদিত মনোনয়ন বা ঘোষণা প্রকাশ্যে হয়নি, তা সত্ত্বেও তাঁর নাম আলোচনায় উঠে আসাটা একে সাধারণ রিউমার থেকে অনেক বেশি বাস্তবায়নযোগ্য সম্ভাবনায় রূপ দিচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য এটি গৌরবের বিষয়ও হতে পারে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে এখনও অনেক ধাপ বাকি রয়েছে— এবং কূটনীতির মঞ্চে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বা অগ্রগতি থাকতে পারে।

এই বিষয়টি নিছক রিউমার না হয়ে বাস্তবে প্রার্থিত্বে পরিণত হয় কি না, সেটা নজরদারি দাবি করছে।

Juger Alo Google Newsযুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

1 thought on “জাতিসংঘ পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে সম্ভাব্য তালিকায় ড. ইউনুসের নাম আলোচনায়”

Leave a Comment