গাজায় মানবিক সংকট: ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ নেই, অনাহারে শিশুরা

ক্ষুধার্ত মানুষ

গাজা উপত্যকা বর্তমানে এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি। ইসরায়েলের কঠোর অবরোধ এবং নির্বিচার হামলার ফলে এই ফিলিস্তিনি ছিটমহলের অধিবাসীরা অপুষ্টি এবং দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছেন। এখানকার ক্ষুধার্ত মানুষ বিশেষ করে মা এবং শিশুরা এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অপুষ্টিতে ভোগা মায়েরা যে শিশুদের জন্ম দিচ্ছেন, তাদের বুকে দুধ তৈরি হচ্ছে না, যার ফলে নবজাতকরা ওজন হারাচ্ছে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সুতোয় ঝুলছে নবজাতকদের জীবন- ধ্বংসস্তূপে সন্তান প্রসব

রাফা হাসপাতালের এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জাবর আল-শায়ের একটি নবজাতকের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যে শিশুটি জন্মের পর সাড়ে সাত কেজি ওজনের ছিল, মাত্র দেড় মাসের মধ্যে ২ কেজি ওজন হারিয়ে ফেলেছে। এই অবস্থা শিশুটির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং তার বেঁচে থাকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

গাজার উত্তরাঞ্চলের খাদ্য পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। সেখানে প্রায় কোনো খাবার নেই এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে আছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এখানে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন। ত্রাণ কর্মীরা ক্ষীণ হয়ে যাওয়া লোকজনকে দেখেছেন, যাদের চোখমুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং এসব লোকদের দেখেই বোঝা যায় এরা ক্ষুধার্ত মানুষ ।

এই মানবিক সংকটের মুখে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দা ক্ষুধার্ত এবং তাদের জীবনযাত্রা অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতি বিশ্বের সমস্ত মানবাধিকার সংস্থা এবং সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোর জরুরি মনোযোগ এবং সহায়তা প্রয়োজন।