ভারতের জয়পুরে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকার অশালীন আচরণ এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কর্মসূত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষে উল্টো হয়ে শুয়ে রয়েছেন, যেন মেঝে তাঁর বিছানা। তিনি শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁর পা ম্যাসাজ করতে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, একজন ছাত্র শিক্ষিকার পা ম্যাসাজ করছে, আর অন্য একজন ছাত্র তাঁকে ধরে রেখেছে যেন সে পড়ে না যায়। এই দৃশ্যটি দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন এবং এটি সমাজের নৈতিকতার প্রতি এক বড় প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে।
আরও পড়ুন: মিজানুর রহমান আজহারী মালয়েশিয়া সফর: গুজব ও আসল সত্য
এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। অনেকেই শিক্ষিকার আচরণকে অশালীন ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁরা মনে করেন, শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়পুরের জনগণ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। তাঁরা মনে করেন, এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এটি শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করে।
আরও পড়ুন: ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’ ভারতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে
এ ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ এবং শিক্ষাবিদরা শিক্ষিকার চাকরি থেকে পদচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষকদের প্রতি এ ধরনের অশালীন আচরণ কখনোই সহ্য করা উচিত নয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ এবং সম্মানজনক পরিবেশে শিক্ষালাভ করতে পারে।
জয়পুরের এই ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে। শিক্ষকদের অবশ্যই শিক্ষার্থীদের প্রতি পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে এবং তাদের আচরণে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষা করতে হবে। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন