বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রাখার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি তোলা হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার সবসময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলা দেখিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অথচ তাদের মধ্য থেকে কাউকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বক্তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী যেকোনো আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে।
আরও পড়ুন: মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি, নাকি যমজ ভাই? কোনটি সত্য- চলছে আলোচনা
সরকারের সমালোচনা ও দাবিসমূহ
বক্তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে যারা সবসময় আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এবং তাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। তারা দাবি করেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসরদের অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ দিতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, “আমরা অবিলম্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসিফ মাহতাব স্যারকে উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চাই। তিনি একজন যোগ্য ব্যক্তি এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।”
আরও পড়ুন: দুই চোখে হাহাকার: আদালতে কেঁদে বুক ভাসালেন ব্যারিস্টার সুমন
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ও বক্তব্য
এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রফেসর মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী মো. শোভন এবং ওয়াকিল আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে। তারা সবাই একমত হয়ে বলেন, “স্বৈরতান্ত্রিক নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনতে হবে।”
উপসংহার
শিক্ষার্থীদের এই দাবির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে তারা একটি ন্যায়ভিত্তিক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পক্ষে। তারা বিশ্বাস করেন, আসিফ মাহতাবের মতো ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।