সৌদি নাগরিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদ দানবাক্সে চিঠি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ প্রতিনিয়ত নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে। এর দানবাক্সে প্রচুর অর্থ, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন চিরকুট পাওয়া যায়, যা দেশের মানুষের কাছে এক ধরনের রহস্য ও বিস্ময়ের বিষয়। সম্প্রতি, ৩০ নভেম্বর শনিবার সকালে এই মসজিদের দানবাক্স থেকে যে চিরকুটটি পাওয়া গেছে, তা আবারও সবার নজর কেড়ে নিয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Juger Alo Google News যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে থাকা চিরকুটে এক সৌদি নাগরিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার আকুল আবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই চিঠি থেকে জানা যায়, একজন বাংলাদেশি নারী তার জীবনের সঙ্গী হিসেবে একজন সৌদি নাগরিককে পেতে চান এবং এজন্য তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। চিরকুটে লেখা ছিল: “হে মহান আল্লাহ, তুমি আমাকে সৌদি নাগরিকের ভালো এক উত্তম, দ্বীনি, সুদর্শন লোকের সহিত বিবাহ করিয়ে দাও।” তিনি আরও লিখেছেন, “হে রব, তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না, আমি যেন আবার সেই সৌভাগ্য নিয়ে তোমার পবিত্র মাটিতে মৃত্যুবরণ করতে পারি।”

এছাড়া, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবারের শান্তি এবং হালাল রুজি রোজগারের জন্যও দোয়া করেছেন। চিঠিটি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এবং বিশ্বাসের সাথে লেখা, যেখানে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। চিঠিটির শেষ অংশে আবেদনকারীর “পাপী বান্দা” হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দেশের ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভিসেবা

এবারের চিঠি যদিও নতুন নয়, এর আগে ১৭ আগস্টও পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এমন এক চিরকুট পাওয়া গিয়েছিল যেখানে এক মুসলিম প্রেমিকা খ্রিস্টান ছেলেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। এছাড়া, ২০ এপ্রিল সাইফুল ইসলাম নামে একজন প্রেমিকও পাগলা মসজিদে চিঠি রেখে যান, যাতে তার ভালোবাসার সম্পর্কের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছিল।

পাগলা মসজিদে এরকম চিরকুটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিটি চিঠি একজন মানুষের অন্তরের গভীর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, যা মসজিদের দানবাক্সে জমা হয় এবং সাধারণ মানুষকে এক ধরনের মানবিক সংযোগের অনুভূতি দেয়। এমন চিরকুটের মধ্য দিয়ে ভক্তরা তাদের জীবনের নানা সমস্যার সমাধান, ভালবাসার প্রার্থনা এবং ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি লাভের আশায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেন।

এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে, পাগলা মসজিদ শুধু ধর্মীয় স্থান নয়, এটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রার্থনার কেন্দ্রস্থলও হয়ে উঠেছে।

5 thoughts on “সৌদি নাগরিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদ দানবাক্সে চিঠি”

Leave a Comment