লাউডগা সাপ: হঠাৎ দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত এই সাপটির

যুগের ডেস্ক: লাউডগা সাপ কথাটা শুনেই কেমন যানি গাটা ছমছম করছে। হ্যাঁ আপনি সত্যি শুনেছেন। সম্প্রতি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেখা মিলেছে বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত লাউডগা সাপের, যা স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ৩০ মার্চ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের হাড়িপাড়া চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন সড়কের ওপর কিছুটা আহত অবস্থায় এই সাপটি দেখতে পান স্থানীয়রা। সাপটি প্রায় ৫ ফুট দীর্ঘ ছিল এবং সড়ক পার হওয়ার সময় একটি যানবাহনের চাকায় চাপা পড়ে আহত হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা সাপটিকে উদ্ধার করে বালিয়াতলী বনে অবমুক্ত করেন।

Juger Alo Google Newsযুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

লাউডগা এই সাপ টি আহেতুলা ও নাসুটা প্রজাতির, যার মাথা চ্যাপ্টা এবং লম্বা আকৃতির। এর রঙ গাঢ় সবুজ এবং এটি সাধারণত খুব কম দেখা যায়। স্থানীয়দের মতে, ২০ বছর আগে তারা এই প্রজাতির সাপ দেখেছিলেন, তবে দীর্ঘ সময় পর আবার এর দেখা মিলেছে। সাপটি প্রায় ১,০০০ ফুট উড়ে যেতে পারে, কিন্তু এর বিষধরতা সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না, জানিয়েছেন স্থানীয় পথচারী বুলেট আকন।

এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার টিম লিডার রাকায়েত আহসান জানান, এই প্রজাতির সাপ এখন বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়েছে। তাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা সাপটি বনে মুক্ত করে দেয়। তবে এটি একটি মূল্যবান প্রাণী, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লাউডগা সাপ

বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিস ইকোফিস-২ প্রকল্পের সহকারী জীব বৈচিত্র্য গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, আহেতুলা ও নাসুটা প্রজাতির সাপের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়। এই সাপটি লাউগাছসহ বিভিন্ন সবুজ গাছের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের উপকারে আসে। তবে, সাপের অভাব এবং এর বিলুপ্তি প্রক্রিয়া পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই এই ধরনের প্রজাতির সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা জরুরি।

আরও পড়ুন: সৌদি নাগরিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদ দানবাক্সে চিঠি

এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রকৃতির এই রত্নগুলোর সুরক্ষা প্রয়োজন। যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে এই প্রজাতি আরও বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে, যার কারণে পরিবেশের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হবে।

2 thoughts on “লাউডগা সাপ: হঠাৎ দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় উড়ন্ত এই সাপটির”

Leave a Comment