রংপুরের প্রতিটি ঘরে ঘরে একটিই স্বপ্ন—একদিন রান্না হবে গ্যাসের চুলায়, ছোট ব্যবসা গড়বে বড় কিছুর দিকে, আর উত্তরাঞ্চলও দাঁড়াবে দেশের শিল্প-অর্থনীতির সমান্তরালে।
এই স্বপ্নের পিছনে কেটেছে অনেক বছর, অনেক প্রতীক্ষা। বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন প্রকল্প সেই প্রতীক্ষারই প্রতীক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বারবার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও বাস্তবায়নের গতি থেকে গেছে ধীর।
একসময় যা ছিল কল্পনা, তা আজও পুরোপুরি বাস্তবে রূপ নেয়নি। তবুও স্বপ্ন মরেনি—কারণ আশার আলো এখনও টিম টিম করে জ্বলছে। ধীরে হলেও প্রকল্পের চাকা ঘুরছে, আর রংপুরবাসী বুকভরে আবারও বলছে—“এইবার হয়তো, হয়তো আমাদেরও দিন আসছে…”
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
বছর ঘুরে যায়, গ্যাস আসে না
২০২১ সাল—রংপুরবাসীর ক্যালেন্ডারে একটি আশার বছর। তখন ভাবা হয়েছিল, গ্যাস আসবে, রান্নাঘরে চুলা জ্বলবে, শিল্পে গতি আসবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলেছে।
প্রকল্পের সময়সীমা প্রথমে ২০২১ সালের জুন, পরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর এল করোনা মহামারি। সব কিছু থমকে গেল—সরঞ্জাম আমদানি থেকে শুরু করে কাজের গতি, সব কিছু যেন হিমশিম খেতে লাগল।
২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষের নতুন আশা জাগানো হয়েছিল, কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও মাঠে প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে পড়ে না অনেকের।
আসলে শুধু পাইপ বসালেই তো হয় না—এই প্রকল্পে জড়িয়ে আছে নানা জটিলতা।
ভূমি অধিগ্রহণ, নদী পারাপার, আমদানিকৃত মালামালের লজিস্টিকস সমস্যা, বন বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষা—সব মিলিয়ে এটি শুধু একটি নির্মাণ কাজ নয়, যেন প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত ধৈর্যের পরীক্ষা।
রংপুরের বাসিন্দারা প্রশ্ন করছেন—“কীভাবে অন্য শহরে এত দ্রুত গ্যাস পৌঁছে গেল, আর আমাদের জন্য এত বছর কেন অপেক্ষা?”
আরও পড়ুন
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম এবার হবেই: রইলো ১০ উপায়, লাগবেনা অভিজ্ঞতা


প্রকল্পের চিত্র: পরিকল্পনা অনেক, বাস্তবায়ন যেন কচ্ছপ গতি
দুর্দান্ত এক পরিকল্পনা ছিল—বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন বসবে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে উত্তরের প্রাণে প্রবাহিত হবে স্বপ্নের জ্বালানি।
পরিকল্পনায় আরও ছিল রংপুরে ৫০ এবং পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টাউন বর্ডার স্টেশন (টিবিএস) বসানোর কথা, যা গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করবে।
কিন্তু বাস্তবায়নের গতি যেন ঠিক ততটা মসৃণ নয়। কাজ চলছে ঠিকই, তবে ধীরে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান জানান,
“করোনার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে ভালো খবর হলো, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। এমনকি নদী পারাপারের (রিভারক্রসিং) টেন্ডারও সম্পন্ন হয়েছে।”
তবে স্থানীয়রা বলছেন, “আমরা মাঠে কাজ দেখতে চাই। বছর পার হয়ে যাচ্ছে, অথচ মাটি খোঁড়ার চিহ্নও কোথাও নেই।”
সত্যিই, একটি প্রকল্প কেবল কাগজে থাকলে নয়, মানুষ তখনই স্বস্তি পায় যখন তার প্রভাব চোখে পড়ে। আর সেটিই এখনো অধরা রংপুরবাসীর কাছে।
আরও পড়ুন : ২৪০ টাকা ফ্রী বিকাশ পেমেন্ট – সত্যিটা কী? অফার নেই, কিন্তু ইনকামের সুযোগ আছে!
বিতরণ লাইনের নতুন আশার আলো
শুধু পাইপলাইন থাকলেই তো হবে না—স্বপ্ন পূর্ণ হবে তখনই, যখন সেই গ্যাস পৌঁছাবে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি চুলায়। আর এই গুরুদায়িত্ব নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
এই প্রতিষ্ঠানটি হাত লাগিয়েছে আরও একটি আলাদা প্রকল্পে—ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতরণ লাইন বসানো হবে। এর মধ্যে রংপুর শহরেই ৪৪ কিমি, পীরগঞ্জে ১০ কিমি এবং বাকি ৪৬ কিমি যাবে নীলফামারী ও উত্তরা ইডিজেড এলাকায়।
প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কর্মকর্তারা আশাবাদী—২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই কাজটি শেষ করা সম্ভব হবে। যদিও মাঠ পর্যায়ে এখনো তেমন গতি দেখা যাচ্ছে না, তবুও বহু বছর অবহেলিত থাকা রংপুরবাসীর কাছে এটিই যেন নতুন এক আশার আলো।
রংপুরের এক ব্যবসায়ী বলেন,
“আমার দোকানে রন্ধন গ্যাসের খরচ আকাশছোঁয়া। যদি বাসায় গ্যাস আসে, ব্যবসাও বাঁচবে, জীবনও বদলাবে।”
এই বিতরণ লাইন বাস্তবায়িত হলে শুধু গ্যাস নয়, রংপুরবাসী পাবে দীর্ঘদিনের অবহেলার অবসান।
আরও পড়ুন: ফেসবুক স্টোরি থেকে আয়ের সুযোগ: কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সুখবর, পারবনে আপনিও
শিল্পহীন রংপুর: গ্যাস না থাকলে উন্নয়নও থেমে থাকে
প্রকৃতি যেমন শিল্পের বন্ধু, তেমনি জ্বালানি হলো সেই বন্ধুর প্রাণ। কিন্তু রংপুরে এই প্রাণটাই যেন অনুপস্থিত।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা চট্টগ্রামে যখন গ্যাস সংযোগের উপর ভর করে গড়ে উঠছে শত শত শিল্প-কারখানা, তখন রংপুরের মানুষ শুধু তাকিয়ে থাকে টেলিভিশনের পর্দায়। তারা ভাবেন, “আমরাও তো পারতাম—যদি গ্যাসটা পেতাম…”
রংপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন,
“বিকল্প জ্বালানি যেমন ডিজেল বা বিদ্যুৎ দিয়ে উৎপাদন খরচ এত বেড়ে যায় যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে।”
রংপুর চেম্বার অব কমার্সের এক সদস্য আক্ষেপ করে বলেন,
“ছোট পরিসরে শিল্প স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। মেশিন, জায়গা, শ্রমিক সব ছিল—শুধু ছিল না গ্যাস। বিদ্যুতে উৎপাদন খরচ দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায়। ফলে আমরা ঢাকাকে তো দূরের কথা, রাজশাহীর সাথেও প্রতিযোগিতা করতে পারি না।”
গ্যাস সরবরাহ না থাকায় রংপুরে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি বললেই চলে। এর ফলে শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্যই নয়, কর্মসংস্থানের সংকট, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং রাজধানীর উপর চাপ—সবকিছুই একসাথে বেড়েছে।
একজন তরুণ উদ্যোক্তা বলেন,
“গ্যাস থাকলে একটা ফুড প্রসেসিং ইউনিট করতে পারতাম। এখন শুধু পরিকল্পনাই থেকে গেছে কাগজে।”
এই বাস্তবতা বদলাতে হলে গ্যাস পৌঁছাতে হবে রংপুরের প্রতিটি কোণে—শুধু রান্নাঘরে নয়, শিল্পের ভেতরেও।
আরও পড়ুন: মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
নতুন আরেক প্রকল্প: চাপ কমাতে ধুনুয়া-এলেঙ্গা গ্যাস লাইন
রংপুরে যদি পাইপ বসানো হয়েও থাকে, প্রশ্ন রয়ে যায়—সেই পাইপে গ্যাসটাই বা আসবে কোথা থেকে?
বাস্তবতা হলো, বর্তমানে সিরাজগঞ্জ ও বগুড়াতেও গ্যাসের চাপ বেশ দুর্বল। সেখানে গ্যাস সরবরাহ এতটাই অনিয়মিত যে চাপ বাড়ানো না গেলে নতুন লাইনে গ্যাস পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে।
এই সমস্যা সমাধানে সরকারের নতুন উদ্যোগ—৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুনুয়া-এলেঙ্গা গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প। এই লাইনটি মূলত সিরাজগঞ্জ থেকে গ্যাস টেনে আনবে এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জালিকাঠামোতে চাপ সামঞ্জস্য করবে।
আরও পড়ুন : ২০২৫ সালে মাসে ৫ হাজার ডলার প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করার ৭ উপায়
কিন্তু এখানেও আছে জটিলতা। এই রুটের বড় অংশ পড়ে গেছে বন বিভাগের জমির মধ্যে, যেখানে প্রাকৃতিকভাবে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ১৮ হাজার গাছ।
জিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান জানিয়েছেন,
“বনের জমির ছাড়পত্র আমরা পেয়েছি। এখন শুধু গাছ কাটার অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদন পেলে বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে (কেবিনেটে) উঠবে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান হবে।”
এখানে প্রকৃতির সঙ্গে প্রযুক্তির এক চ্যালেঞ্জিং সমঝোতা চলছে। একদিকে উন্নয়নের তাগিদ, অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা—এই দুইয়ের ভারসাম্য রেখেই এগোতে চায় সরকার।
পাঠকের একটাই প্রশ্ন—“এই দড়ি টানাটানির খেলায় যেন উত্তরবঙ্গ আবার পিছিয়ে না পড়ে!”
আরো পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট – কোনো ইনভেস্ট ছাড়াই ঘরে বসে আয় শুরু করুন!
একজন মা, এক বুক আশা– গ্যাসের চুলায় রান্না
রংপুর শহরের তাজহাট এলাকার সুমি বেগমের সকালটা শুরু হয় অন্যরকমভাবে। ভোরের আলো ফোটার আগেই তিনি বেড়িয়ে পড়েন, এক হাতে বস্তা, অন্য হাতে কুড়ানোর ঝুড়ি। উদ্দেশ্য—জ্বালানোর মতো কিছু কাঠ, গাছের শুকনো ডাল, কিংবা পুরনো কার্টন কুড়িয়ে আনা।
গ্যাস সংযোগের অভাবে আজও তাঁদের রান্না হয় উনুনে, ধোঁয়ায় ভরা একটি ছোট রান্নাঘরে।
সুমি বলেন,
“বাড়িতে গ্যাস থাকলে মেয়েটাকে আর কুড়িয়ে কাঠ আনতে হতো না। পড়াশোনার সময় পেত, ঠিকভাবে স্কুলে যেতে পারত।”
তাঁর মেয়েটি ক্লাস সিক্সে পড়ে। সকালে মায়ের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে কাঠ কুড়িয়ে এনে স্কুলে দৌড়ে যায়। আর সুমি বেগম তখন ভাবেন, “এইটুকু বয়সে ওর দায়িত্ব তো হওয়া উচিত ছিল বইয়ের, না-কি কাঠের?”
আরও পড়ুন: ব্লগিং কি? ব্লগিং শুরু করার আগে কি কি জানা উচিত? জেনে নিন সুবিধা অসুবিধা
এই একজন মা, এই একটি পরিবার—তাঁদের কষ্ট আসলে রংপুরের হাজারো পরিবারের প্রতিচ্ছবি। শুধু গ্যাসের অভাবে বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনের গতি, সুযোগ, স্বপ্ন।
যেদিন গ্যাস পৌঁছাবে তাদের ঘরে, সেদিন হয়তো শুধু উনুন জ্বলবে না—জ্বলে উঠবে সুমি বেগমের মেয়ের ভবিষ্যতও।
আরো পড়ুন: সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি ও কোন ব্যাংক দিচ্ছে সবচেয়ে সুবিধাজনক লোন


পাইপলাইন এখনো দৃশ্যমান নয়, তবে প্রক্রিয়া থেমে নেই
রংপুর শহরের অলিতে-গলিতে অনেকে আক্ষেপ করে বলেন,
“এই পাইপলাইন প্রজেক্ট কই? মাঠে তো কিছুই চোখে পড়ে না!”
তাদের হতাশা অমূলক নয়। কারণ, কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি এখনও অনেকের চোখে ধরা পড়ে না। কিন্তু প্রকৌশলীরা বলছেন, এই কাজটা ঠিক রাস্তা বানানোর মতো নয়—এটি অনেক বেশি সময়, সমন্বয় আর প্রযুক্তির কাজ।
পাইপলাইন বসানোর আগে লাগে সরঞ্জাম আমদানি, ভূমি অধিগ্রহণ, প্রকৌশল নকশা, এমনকি নদী-নালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রসিং পরিকল্পনা। এসবের প্রতিটিই সময়সাপেক্ষ এবং চরম জটিল।
এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বাজেট ১,৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অধিগ্রহণ করতে হয়েছে ৪৩৬ একর ৮৭ শতক জমি, যার অনেকটাই আবার বসতবাড়ি বা চাষের জমি ছিল।
এর ওপর যোগ হয়েছে প্রকল্পের প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা—৬টি নদী এবং ২টি ক্যানেল রয়েছে যেগুলো অতিক্রম করতে আলাদা প্রযুক্তি ও অনুমোদনের দরকার হয়।
এক প্রকৌশলী বলেন,
“পাইপ কেনা, গুদামে পৌঁছানো, রিভারক্রসিং টেন্ডার করা—এসব একেকটা ধাপ, যা চোখে না পড়লেও কাজ থেমে নেই।”
সত্যিই, মাঠে গর্ত না দেখলে কাজ থেমে আছে ধরে নেওয়া যায় না। এই প্রকল্প চোখে দেখা কাজের চেয়েও অনেক বেশি পেছনের ঘামে ভেজা প্রস্তুতির গল্প।
আরো পড়ুন: কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $500 আয় করা যায় – বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সহজ কৌশল
শেষ কথা: এবার কী বলবে সময়?
রংপুরবাসী আজ শুধু গ্যাস নয়, স্বপ্নের প্রতীক্ষায় আছে। প্রতীক্ষায় আছে উন্নয়নের, শিল্পের, সমান সুযোগের।
প্রতিটি পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের গল্প একটাই—সুবিধা আসে দেরিতে, সম্ভাবনা আসে অনেক পরে। রংপুর তার বাস্তবতায় তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। কিন্তু এবার সেই পেছনে থাকা গল্পটিকে সামনে আনার সময় এসেছে।
হ্যাঁ, পথে আছে অনেক বাঁধা। কাজ এগোচ্ছে ধীরে। কিন্তু প্রতিটি পাইপ, প্রতিটি অনুমোদন, প্রতিটি টেন্ডার একদিন হয়তো বদলে দেবে পুরো অঞ্চলটাকে।
কারণ গ্যাস এলে শুধু চুলা নয়, জ্বলে উঠবে রংপুরবাসীর আত্মবিশ্বাস, গড়ে উঠবে নতুন উদ্যোক্তা, বাড়বে চাকরি, কমবে রাজধানীর চাপ।
এই পাইপলাইন শুধু লোহার নল নয়, এটি হচ্ছে উত্তরের অর্থনীতিকে প্রাণ ফেরানোর নীলনকশা। একদিন হয়তো রংপুরও দাঁড়িয়ে বলবে—“আমরাও পারি!”
কিন্তু প্রশ্নটা আজও একই থেকে যায়—
এই স্বপ্নের গ্যাস লাইন আসলেই কতদূর? আর কতকাল অপেক্ষা?
➡️ আপনার ভাবনা কী?
রংপুরে গ্যাস এলেই আপনি কী করবেন? ছোট ব্যবসা? কারখানা? বাড়ির জন্য স্বস্তির রান্না?
নিচে কমেন্ট করে জানান, আপনার স্বপ্নটাও হোক আলোয় ভরা!
2 thoughts on “গ্যাসের চুলায় রান্না যেন স্বপ্নের মতো—রংপুরবাসীর সেই অপেক্ষা কি এবার শেষ হচ্ছে?”