১৮০ বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকা গ্রিসের মুসলমানরা অবশেষে পেলেন সুখবর। দেশের রাজধানী এথেন্সে তৈরি হয়েছে প্রথম সরকারি মসজিদ, যেখানে এবার থেকে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারবেন।
অনেক দিন ধরেই মুসলিমরা এথেন্সে মসজিদ চেয়ে আসছিলেন। কিন্তু নানা বাধা–আইন-কানুন, টাকা-পয়সা, মানুষের আপত্তি—সব মিলিয়ে মসজিদ বানানো হয়নি। কেউ বাড়িতে, কেউ গ্যারেজে বা ছোট ছোট ঘরে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। অনেক সময় ভয়ও কাজ করত।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
১৮০ বছর পর নামাজ পড়ার অনুমতি পেলেন গ্রিসের মুসলমানরা
অবশেষে সরকার ২০১৬ সালে মসজিদের কাজ শুরু করে। অনেক দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত সেই কাজ এখন প্রায় শেষ। ধর্মমন্ত্রী জানালেন, “আগামী সেপ্টেম্বরেই এই মসজিদে প্রথমবারের মতো সরকারি ভাবে নামাজ পড়া যাবে।”
নতুন মসজিদটি তৈরি হয়েছে গ্যাজোরমানি এলাকায়। এতে একসাথে ৩৫০ জন মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। মসজিদে কোনো মিনার নেই, কিন্তু ভেতরটা বেশ সুন্দর আর শান্তিপূর্ণ। বাজেট ছিল এক কোটি ইউরো।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম: বিকাশ, নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
স্থানীয় মুসলমানরা বলছেন, এটা শুধু একটা মসজিদ না—এটা যেন তাঁদের জন্য একখানা আশা।
“অনেক দিন ধরে আমরা মসজিদের স্বপ্ন দেখে এসেছি। এখন সেটা সত্যি হতে যাচ্ছে। এটা ভাবতেই মন ভরে উঠছে,”—বললেন মুসলিম কমিউনিটির নেতা হারুন আমির।
সরকার বলছে, মসজিদ চালু হলে সবাই যেন নিরাপদ থাকে, সেটা তারা নিশ্চিত করবে।
এথেন্সে প্রায় তিন লাখ মুসলিম থাকেন। এত বছরেও সেখানে কোনো সরকারি মসজিদ ছিল না—এটাই হবে প্রথম। তাই এই দিনটা গ্রিসের মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, অনেক আবেগের।
