নারী-পুরুষের হালালভাবে ঈদ উদযাপনের ৭ টিপস : সচেতন মুসলিমদের জন্য গাইড

ঈদ উল-ফিতর বা ঈদ উল-আযহা, মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে আনন্দঘন উৎসব। এই দিনগুলো পরিবার ও প্রিয়জনের সাথে উদযাপন করা হয়। কিন্তু অপসংস্কৃতি ও ফিতনার অনুপ্রবেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পবিত্র এই দিনটিতেও অনেকে হারামে ডুবে যান। সচেতন মুসলিম হতে হলে আমাদের জানতে হবে ঈদের আনন্দের নামে কোন কাজটা করা যাবে কোনটা করা যাবে না। তাই চলুন জেনে নিই কীভাবে হালালভাবে ঈদের দিন আনন্দ উদযাপন করা যায়:

আরও পড়ুন : সৌদিতে বৃষ্টি, সবুজ হচ্ছে মরুভূমি, মিলে যাচ্ছে মহানবী (স) কথা!

হালালভাবে ঈদ উযাপনের উপায়গুলো:

১. দিনের শুরুটা হোক সালাতের মাধ্যমে: ভোরে ফজরের নামাজ আর তার কিছুক্ষণ পর ঈদের নামাজের মাধ্যমে আপনার দিন শুরু করুন। ঈদের নামাজ হলো একটি বিশেষ নামাজ, যা সাধারণত ঈদগাহে খোলামেলা পরিবেশে আদায় করা হয়।

২. আপনার সেরা পোশাক পরুন: ঈদ হলো উদযাপনের দিন, আর ইসলাম এদিন সবাইকে তাদের সেরা পোশাক পড়তে উৎসাহিত করে। পোশাকটি নতুনই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই, পুরনো হলেও আপনার কাছে থাকা সবচেয়ে ভালো পোশাকটি ঈদের দিন পড়ুন।

৩. দান করুন: ঈদের দিন হলো দানের সময়। ঈদের সালাতের আগেই সাদাকাতুল ফিতর প্রদান করিন, যেন দরিদ্ররাও এই খুশির দিনে ভালো খাবার খেতে পারে, ভালো পোশাক পড়তে পারে, তাদের ঘরেও যেন খুশি থাকে।

আরও পড়ুন : ২০২৪ সালে যে ৭টি বিষয় মেনে চললে পাবেন সফলতা

৪. পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করুন: ঈদের আনন্দকে উপভোগ করতে হয় প্রিয়জনদের সাথে। তবে এই কাজটি করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই ইসলামের সীমারেখা ভুলে যাই। পুরুষরা যে আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন সেখানকার মেয়েরা যেন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে না পড়ে তা খেয়াল রাখবেন। আর নারীরা অবশ্যই পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে যাবেন।

৫. স্পেশাল খাবার তৈরি করুন: আপনার প্রিয়জনদের জন্য নিজ হাতে স্পেশাল কোনো রেসিপি ট্রাই করুন। তবে মা-চাচীদের উপর একটু এহসান করবেন। তাদের কাজে টুকটাক সাহায্য করুন। তাদের সাধ্যাতিরিক্ত খাবারের আবদার করবেন না।

৬. আল্লাহকে স্মরণ করুন: আপনার জীবনের সমস্ত নিয়ামতের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন। আপনাকে আল্লাহ আরেকটি ঈদের আনন্দ দান করেছেন।

আরও পড়ুন : ইতিকাফ : রমজানের এক বিশেষ আমলের ফজিলত ও করণীয়

৭. ফিতনা থেকে দূরে থাকুন: ঈদের আনন্দ উদযাপনের নামে সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে গান বাজানো, পটকা ফোটানো, ফ্রিমিক্সিংসহ নানা ধরণের পাপে ডুবে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে রমাদানের সারামাস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত তাকওয়া বিসর্জন দেওয়া যাবে না।

ঈদ হলো আনন্দের দিন। কিন্তু এই আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে ইসলামের সীমারেখা অতিক্রম করা যাবে না। উপরের ৭টি টিপস অনুসরণ করে হালালভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন, আমীন।

Juger Alo Google News   যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

Leave a Comment