পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: বলতে পারেন ৬৬ বছর বয়সের এক জুটি! সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টে এই দুই ‘বুড়োর’ কাঁধে (পড়ুন বল ও ব্যাটে) ভর করেই পাকিস্তানকে দুই দিনের মধ্যেই অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে দুই অভিজ্ঞ বোলার ডেন প্যাটারসন এবং করবিন বশের অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং শক্তি
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২১১ রানে অলআউট করতে সক্ষম হয়। এই জয়ের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন ৩৫ বছর বয়সী ডেন প্যাটারসন, যিনি ৫ উইকেট নিয়েছেন ৬১ রানে, এবং অভিষেক ম্যাচে করবিন বশ, যিনি ৪ উইকেট নিয়েছেন ৬৩ রানে। তাদের এই জুটি মিলিয়ে গড় বয়স প্রায় ৬৬ বছর, যা ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
প্যাটারসনের বোলিং ছিল অসাধারণ। তিনি পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের দ্রুত আউট করে দলের ভিতরে এক বিশাল চাপ সৃষ্টি করেন। বিশেষ করে, তিনি শান মাসুদ, বাবর আজম এবং কামরান গুলামকে দ্রুত আউট করে পাকিস্তানের ইনিংসকে ভেঙে দেন।
পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। শান মাসুদ ও সাইম আয়ুবের মতো ওপেনাররা শুরুতে কিছু রান তুলতে পারলেও তাদের পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা খুব দ্রুত আউট হয়ে যান। প্যাটারসন ও বশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারও কার্যত ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করে যে বিশ্বরেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
তবে, কামরান গুলাম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের মধ্যে একটি ৮১ রানের জুটি পাকিস্তানের ইনিংসকে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেয়। কিন্তু তারা যখন আউট হন, তখন পাকিস্তান দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ২১১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং
দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ব্যাটিং করতে নামে, তখন তারা শুরুতেই কিছু উইকেট হারায়। তবে, এডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা তাদের ইনিংসকে স্থিতিশীল করতে সক্ষম হন। মার্করাম তার অসাধারণ ফর্ম ধরে রেখে অপরাজিত ৮১ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে মার্করামের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দলের বিপদের মুহূর্তে সঙ্গী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান এবং দলের স্কোরকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন।
ম্যাচের গুরুত্ব
এই টেস্ট ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি তাদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি এই সিরিজে জয়লাভ করে, তবে তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- পাকিস্তান: ২১১
- দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০১ (মার্করাম ৮৯, বশ ৮১*)
- পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে: ৮৮/৩
দক্ষিণ আফ্রিকার এই জয়ের ফলে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিশালী অবস্থান আরও সুসংহত করেছে। বিশেষ করে প্যাটারসন ও বশের পারফরম্যান্স ক্রিকেট প্রেমীদের মনে দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আগামী দিনগুলোতে এই সিরিজটি কিভাবে এগোবে তা দেখার জন্য ক্রিকেট প্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
টেস্টে -এ খেলা শেষ না হতেই ধবল ধোলাই। এসব ছাগল মার্কা নিউজ করেন কেন?
ভালোই তো
পুরান চাল ভাতে বাড়ে