দুই প্রতিবেশী। দুই ক্রিকেটপ্রেমী জাতি।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা — ক্রিকেট মাঠে এই দুই দলের লড়াই মানেই উত্তেজনার ঝড়! সম্প্রতি ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলংঙ্কার মধ্যে ২টি টেষ্ট, ৩টি ওডিআই ও ৩টি টি-২০ ম্যাচের সিরিজ ঘোষণা করা হয়েছে। আর সিরিজকে ঘিরে যেন আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে ক্রিকেট প্রেমিকদের আবেগ।
কে জিতবে, কে হারবে, কে এগিয়ে — এসব প্রশ্নে সরগরম এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চায়ের দোকান!
তাহলে? পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে? ইতিহাস কী বলছে? মাঠের পারফরম্যান্স কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
সব মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করব, কে আসলে এগিয়ে আছে এই লড়াইয়ে।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
নতুন চক্রেও পুরাতন চিত্র, ব্যাট হাতে বিপদে বাংলাদেশ
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা। চলতি বছর এটিই বাংলাদেশের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। নতুন চক্র, নতুন দিন—সবকিছুতেই যেন নতুন কিছুর আশা ছিল। কিন্তু মাঠের দৃশ্যপটে দেখা গেল সেই পুরোনো চিত্রটাই।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভাবা হয়েছিল, ব্যাট হাতে দল কিছু একটা করে দেখাবে। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং ভরাডুবি—দলীয় ৫০ রানের আগেই সাজঘরে ফিরেছেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার: এনামুল হক বিজয়, সাদমান ইসলাম আর মুমিনুল হক। ব্যাটিং লাইনে আবারও সেই পুরোনো ভঙ্গুরতা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গল টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৬ রান। এখন উইকেটে আছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের ভরসা এখন এ দুজনেই।
দিনটা শুরু হয়েছিল একটা বাউন্ডারিতে। প্রথম ওভারের সেই চারটুকুই যেন কিছুটা আশার আলো জ্বালিয়েছিল। কিন্তু এরপর যেন অন্ধকারই নেমে আসে। ইনিংসের মাত্র ১০ বল খেলেই শূন্য রানে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি খেলতে গিয়ে সরাসরি স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। হতাশার শুরুটা সেখানেই।
তারপর সাদমান ইসলাম আর মুমিনুল হক কিছুটা সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন। দুজন মিলে কিছু রানও যোগ করেন, কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৩৯ রানে থারিন্দু রত্নায়েকে নামের শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত বোলার একটি সুইং করানো বল করেন অফ স্টাম্প বরাবর। সেটির ফাঁদে পা দিয়ে সাদমানও স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন।
আর মাত্র ৮ বল পর, একই বোলারের বলে আবারও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুমিনুল হক। থারিন্দুর বল নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে চলে যায়, ক্যাচ ছাড়েনি ফিল্ডার।
আরও পড়ুন
মাত্র ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই আবার থারিন্দু রত্নায়েকে তুলে নেন তাঁর তৃতীয় উইকেট। এক অভিষিক্ত বোলারই যেন বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে উড়িয়ে দিয়েছেন শুরুতেই।
গল টেস্টের শুরুর এই ছবিটা পুরোনো দিনের ব্যথা নতুন করে মনে করিয়ে দিল। ব্যাট হাতে স্থিতি খুঁজে পাওয়া যেন এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন বাংলাদেশের টেস্ট দলে।
এখন বাংলাদেশের ভরসা শুধু শান্ত আর মুশফিক। তারা কতদূর এগোতে পারেন, তার উপরই নির্ভর করছে গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ভাগ্য।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ ২০২৫ এর সময়সূচী
নীচে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজসহ পুরো সিরিজের সময়সূচী তুলে ধরা হলো:
ফরম্যাট | ম্যাচ সংখ্যা | তারিখ | ভেন্যু | সময় (স্থানীয় সময়) |
---|---|---|---|---|
Test 1 | ✅ 2 সাক্ষর | ১৭–২১ জুন ২০২৫ | গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম | 10:00 AM |
Test 2 | ✅ | ২৫–২৯ জুন ২০২৫ | সিঙ্গালিজ স্পোর্ট ক্লাব, কলম্বো | 10:00 AM |
ODI 1 | ৩ ম্যাচ | ২ জুলাই ২০২৫ | আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো | 2:30 PM |
ODI 2 | ৫ জুলাই ২০২৫ | কলম্বো | 2:30 PM | |
ODI 3 | ৮ জুলাই ২০২৫ | পল্লেকেলে | 2:30 PM | |
T20I 1 | ৩ ম্যাচ | ১০ জুলাই ২০২৫ | পল্লেকেলে | 7:00 PM |
T20I 2 | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ডাম্বুল্লা | 7:00 PM | |
T20I 3 | ১৬ জুলাই ২০২৫ | কলম্বো | 7:00 PM |
নোট: টেস্ট সিরিজ WTC ২০২৫–২৭ সাইকেলে অন্তর্ভুক্ত—এমনকি ICC ঘোষণা দিয়েছে সিরিজটি ১৭ জুন গল থেকে WTC সাইকল শুরু হবে ।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম: বিকাশ, নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
দুই দলের স্কোয়াড বিশ্লেষণ – অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্য
২০২৫ সালের বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজে দুই দলই মাঠে নামছে বেশ গোছানো ও ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে।
তবে বড় পার্থক্যটা হলো অভিজ্ঞতা বনাম তরুণদের লড়াই। চল ঘুরে দেখা যাক দুই স্কোয়াডের ভেতরের শক্তি-দুর্বলতা।
✧ বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড (সম্ভাব্য)
- শান্ত (অধিনায়ক)
- তামিম ইকবাল
- মুশফিকুর রহিম
- লিটন দাস (উইকেটকিপার)
- মেহেদী হাসান মিরাজ
- সাকিব আল হাসান
- তাইজুল ইসলাম
- শরীফুল ইসলাম
- তাসকিন আহমেদ
- নাঈম হাসান
- জাকির হাসান
- নাজমুল হোসেন শুভমান
- হাসান মাহমুদ
- নাসুম আহমেদ
➡️ বিশ্লেষণ:
বাংলাদেশের স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বেশ কিছু তরুণ মুখ দেখা যাচ্ছে।
তামিম, মুশফিক, সাকিব – এই ত্রয়ী দলের মূল স্তম্ভ হলেও নতুনরাও দারুণ ফর্মে আছে।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, দলের প্রায় সবাই হোম কন্ডিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ।
✧ শ্রীলঙ্কা দলের স্কোয়াড (সম্ভাব্য)
- দিমুথ করুণারত্নে (অধিনায়ক)
- কুশল মেন্ডিস
- অ্যালেক্স ডি সিলভা
- ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা
- নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেটকিপার)
- রমেশ মেন্ডিস
- লাহিরু কুমারা
- কাসুন রাজিথা
- দিলশান মাদুশঙ্কা
- অশেন ফার্নান্দো
- ওয়েলালাগে
- থারিন্দু ফার্নান্দো
➡️ বিশ্লেষণ:
শ্রীলঙ্কা দলে বেশ কিছু নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে বোলিং ইউনিটে।
তাদের মূল ভরসা হলো মিডল অর্ডার ও স্পিনাররা। তবে উপমহাদেশের কন্ডিশনে ফোকাস ধরে রাখা ও মানিয়ে নেওয়া তাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফ্রি টাকা ইনকাম: 2025 সালের সেরা Apps ও ওয়েবসাইট
✧ তুলনামূলক বিশ্লেষণ:
দিক | বাংলাদেশ | শ্রীলঙ্কা |
---|---|---|
অভিজ্ঞতা | ✅ অনেক বেশি | ❌ তুলনামূলক কম |
স্পিন আক্রমণ | ✅ ঘরের মাঠে কার্যকর | ✧ নতুনরা দলে |
ব্যাটিং গভীরতা | ✅ ৬-৭ নম্বর পর্যন্ত | ❌ কিছুটা দুর্বলতা |
উইকেটকিপিং | ✅ লিটন দাস | ❌ ডিকওয়েলা মাঝে মাঝে বাজে ফর্মে |


দুই দলের শেষ ৫টি টেস্ট ম্যাচের ফলাফল – ফর্মের আয়নায় ভবিষ্যৎ
ক্রিকেটে পুরনো রেকর্ড যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সাম্প্রতিক ফর্মও তেমনি অনেক কিছু বলে দেয়।
একটা দল শেষ কবে জিতেছে, কেমন পরিস্থিতিতে জিতেছে বা হেরেছে — এসব সবকিছু ভবিষ্যতের খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে।
✧ বাংলাদেশ – শেষ ৫টি টেস্ট (২০২৪–২০২৫)
ম্যাচ | ফলাফল | মাঠ |
---|---|---|
বনাম আফগানিস্তান | জয় (৭ উইকেটে) | চট্টগ্রাম |
বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | হার (২৯৮ রানে) | কেপ টাউন |
বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | হার (ইনিংসে) | জোহানেসবার্গ |
বনাম জিম্বাবুয়ে | জয় (১০ উইকেটে) | ঢাকা |
বনাম পাকিস্তান | ড্র | রাওয়ালপিন্ডি |
➡️ বিশ্লেষণ:
- হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে।
- বিদেশে এখনও ঘাটতি আছে, বিশেষ করে পেস বোলিংয়ে।
- স্পিন আক্রমণ ভালো কাজ করেছে।
✧ শ্রীলঙ্কা – শেষ ৫টি টেস্ট (২০২৪–২০২৫)
ম্যাচ | ফলাফল | মাঠ |
---|---|---|
বনাম পাকিস্তান | হার (৯ উইকেটে) | গলে |
বনাম ভারত | হার (ইনিংসে) | দিল্লি |
বনাম জিম্বাবুয়ে | জয় (৪ উইকেটে) | ক্যান্ডি |
বনাম আফগানিস্তান | জয় (৬ উইকেটে) | গলে |
বনাম নিউজিল্যান্ড | ড্র | ক্রাইস্টচার্চ |
➡️ বিশ্লেষণ:
- ঘরের মাঠে জিতেছে, বিদেশে তুলনামূলক দুর্বল।
- মিডল অর্ডার থেকে ভরসা মিললেও ওপেনিংয়ে দুর্বলতা আছে।
- স্পিন ইউনিট ধার আছে, কিন্তু ধারাবাহিক নয়।
✧ তুলনামূলক পর্যালোচনা:
মানদণ্ড | বাংলাদেশ | শ্রীলঙ্কা |
---|---|---|
শেষ ৫ ম্যাচে জয় | ✅ ২টি | ✅ ২টি |
বিদেশে জয় | ❌ ০টি | ✅ ১টি |
হোম পারফরম্যান্স | ✅ দুর্দান্ত | ✅ কন্ডিশন নির্ভর |
ধারাবাহিকতা | ✧ মাঝারি | ✧ ওঠানামা বেশি |
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স – সেরা খেলোয়াড়দের পরিসংখ্যান কার পক্ষে?
সিরিজ জিততে শুধু দলগত পারফরম্যান্সই নয়, আলাদা করে কিছু খেলোয়াড়ের অবদান বিশাল প্রভাব ফেলে।
বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাদের ব্যাট বা বল হাতে বারবার আলো ছড়াতে দেখা গেছে।
চল দেখি কোন কোন খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত কে কতটা ছাপ রেখেছেন এই দ্বৈরথে।
✧ বাংলাদেশের সেরা পারফর্মাররা
খেলোয়াড় | বিভাগ | টেস্ট রান/উইকেট | গড় পারফরম্যান্স |
---|---|---|---|
মুশফিকুর রহিম | ব্যাটিং | ১৪০০+ রান | গড় ৪৫+ |
সাকিব আল হাসান | অলরাউন্ডার | ১১০০+ রান, ৫০+ উইকেট | ব্যাটে গড় ৪০+, বোলিং গড় ৩০- |
তামিম ইকবাল | ব্যাটিং | ১২০০+ রান | গড় ৪২+ |
তাইজুল ইসলাম | বোলিং | ৭০+ উইকেট | স্ট্রাইক রেট ~৫৫ |
মেহেদী হাসান মিরাজ | অলরাউন্ডার | ৫০+ উইকেট | কার্যকরী স্পিন |
✧ বিশ্লেষণ:
- সাকিব ও মুশফিক এই দুই অভিজ্ঞ তারকা সবসময়ই ধারাবাহিক ছিলেন।
- তাইজুল-মিরাজ ঘরের মাঠে স্পিনে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন।
- তামিম ওপেনিংয়ে আক্রমণাত্মক শুরু এনে দিতে পারেন।
✧ শ্রীলঙ্কার সেরা পারফর্মাররা
খেলোয়াড় | বিভাগ | টেস্ট রান/উইকেট | গড় পারফরম্যান্স |
---|---|---|---|
দিমুথ করুণারত্নে | ব্যাটিং | ১৫০০+ রান | গড় ৪৪+ |
কুশল মেন্ডিস | ব্যাটিং | ১০০০+ রান | গড় ৩৮+ |
লাহিরু কুমারা | পেস বোলিং | ৪৫+ উইকেট | আক্রমণাত্মক গতির বোলার |
কাসুন রাজিথা | পেস বোলিং | ৪০+ উইকেট | ভালো স্ট্রাইক রেট |
রমেশ মেন্ডিস | স্পিন বোলিং | ৩০+ উইকেট | হোম কন্ডিশনে কার্যকর |
✧ বিশ্লেষণ:
- করুণারত্নে হলেন শ্রীলঙ্কার টেস্ট ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ।
- কুমারা আর রাজিথা নতুন বলে আঘাত হানতে ওস্তাদ।
- রমেশ মেন্ডিস মাঝেমধ্যে স্পিনে কার্যকর হলেও ধারাবাহিকতার ঘাটতি আছে।
✧ তুলনামূলক বিশ্লেষণ:
দিক | বাংলাদেশ | শ্রীলঙ্কা |
---|---|---|
ব্যাটিং অভিজ্ঞতা | ✅ খুব বেশি | ✧ মাঝারি |
অলরাউন্ড পারফর্মার | ✅ আছে (সাকিব) | ❌ নেই মূল অলরাউন্ডার |
স্পিন বোলিং শক্তি | ✅ তাইজুল-মিরাজ | ✧ পরিবর্তনশীল |
পেস আক্রমণ | ✧ মাঝারি | ✅ কুমারা-রাজিথা |


ভেন্যু ও পিচ রিপোর্ট বিশ্লেষণ – ঘরের মাঠে টাইগারদের রাজত্ব?
ক্রিকেট ম্যাচে অনেক সময় খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের চেয়েও বড় ভূমিকা রাখে মাঠ আর পিচের আচরণ।
বাংলাদেশের ঘরের মাঠগুলো সাধারণত স্পিন-সহায়ক হয়, যেখানে লো বাউন্স, ধীর গতির আউটফিল্ড আর রিভার্স সুইং খেলার নিয়ন্ত্রণ ঘুরিয়ে দিতে পারে।
২০২৫ টেস্ট সিরিজে সম্ভাব্য যে মাঠগুলোতে খেলা হবে, সেগুলোর পিচ কেমন হতে পারে, চল দেখা যাক এক নজরে।
✧ সম্ভাব্য ভেন্যুগুলো:
মাঠ | শহর | পিচ বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|
শের-ই-বাংলা | মিরপুর | ধীর গতির, টার্নিং ট্র্যাক, রিভার্স সুইং-সহায়ক |
জহুর আহমেদ চৌধুরী | চট্টগ্রাম | শুরুতে ব্যাটিং সহায়ক, পরে স্পিনে ভরপুর |
সিলেট আন্তর্জাতিক | সিলেট | নতুন পিচ, কিছুটা ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি, কম বাউন্স |
✔️ বিশ্লেষণ:
- মিরপুরে চতুর্থ ইনিংস থেকে স্পিন ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তাই টাইগারদের জন্য এটি বড় সুযোগ।
- চট্টগ্রাম রানপ্রসবা পিচ হলেও ম্যাচ গড়ানোর সাথে সাথে স্পিনাররাই রং চড়ায়।
- সিলেট তুলনামূলক নতুন মাঠ, তাই কেমন আচরণ করবে সেটা ম্যাচেই বোঝা যাবে, তবে স্পিনই সুবিধাজনক।
➡️ আবহাওয়ার পূর্বাভাস (জুন–জুলাই ২০২৫):
- গরম থাকবে, মাঝে মাঝে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- বেশি আর্দ্রতা = বল সুইং করার সম্ভাবনা বেশি
- সূর্য তাপে পিচ দ্রুত শুকিয়ে যাবে = চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং হবে ভয়ানক চ্যালেঞ্জ
❓কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
- বাংলাদেশের তাইজুল, মিরাজরা স্পিন-সহায়ক কন্ডিশনে বরাবরই দাপট দেখান।
- শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা উপমহাদেশের পিচে খেললেও ততটা ধারাবাহিক নন।
- তবে পেসারদের জন্য যদি কিছু মুভমেন্ট থাকে, রাজিথা-কুমারা হতে পারেন টাইগারদের ব্যাটিংয়ের মাথাব্যথা।
চূড়ান্ত উপসংহার ও ভবিষ্যদ্বাণী – ইতিহাস বদলাবে তো এবার?
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ২০২৫ টেস্ট সিরিজ নিছক একটি খেলা না—
এটা দুই দলের মধ্যে এক পুরনো শক্তির পরীক্ষা, নতুন যুগে কার প্রভাব বেশি, তার চূড়ান্ত নির্ণয়।
বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলছে, স্কোয়াডে অভিজ্ঞতা আর স্পিনের ভয়াল অস্ত্র আছে।
শ্রীলঙ্কা আসছে পুরনো রেকর্ড আর টেস্ট অভিজ্ঞান নিয়ে।
➡️ ভবিষ্যদ্বাণী:
✔️ মিরপুরে প্রথম টেস্ট হলে স্পিনের রাজত্বে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
✔️ আবহাওয়া এবং উইকেট যদি ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হয়, ড্র হতে পারে।
✔️ পুরো সিরিজের ফলাফল ১–০ (বাংলাদেশ জয়) অথবা ১–১ ড্র—এই দুইটাই সবচেয়ে সম্ভাব্য চিত্র।
➡️ পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
আপনার মতে কে জিতবে সিরিজটা?
বাংলাদেশ কি বদলে দেবে ইতিহাস, নাকি শ্রীলঙ্কা আবারও দেখাবে তাদের অভিজ্ঞতার জোর?
কমেন্টে আপনার মত জানান। আর পোস্টটি শেয়ার করুন ক্রিকেটপাগল বন্ধুর সঙ্গে—জানুন ওর ভবিষ্যদ্বাণী কী!
এখনো খেলা শুরু হয়নি—but the battle lines are drawn!