Bangladesh Number: কেন ফোন নম্বরের শুরুতে +৮৮০ ব্যবহৃত হয়

Bangladesh Number: বাংলাদেশের সব ফোন নম্বর শুরু হয় +৮৮০ দিয়ে। এটা ভারতের জন্য +৯১, পাকিস্তানের জন্য +৯২ আবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জন্য +১।

এই কোডগুলো কীভাবে এল? আপনি কী ভাবছেন, যে দেশের যেটা পছন্দ সেটা বেছে নিয়েছে? বিষয়টি আসলে তেমন নয়।

বর্তমান যুগে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর একটি অপরিহার্য উপাদান। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বরের গঠন এবং ব্যবহারের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, বাংলাদেশের ফোন নম্বরের শুরুতে +৮৮০ ব্যবহার করা হয়, যা দেশের আন্তর্জাতিক ফোন কোড। Bangladesh number বলতে যখন আমরা বুঝি, তখন এটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি দেশের পরিচিতি এবং যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সঠিক এবং কার্যকর যোগাযোগের জন্য আন্তর্জাতিক কোডের সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা জানবো কেন বাংলাদেশে ফোন নম্বরের শুরুতে +৮৮০ ব্যবহৃত হয় এবং এর পিছনে যে ইতিহাস ও প্রযুক্তিগত দিক রয়েছে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আরও পড়ুন: এক্স মানে কি গুগল? না জানলে জেনে নিন এর বিভিন্ন অর্থ ও ব্যবহার

ফোন নম্বরের আন্তর্জাতিক কোডের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশের ফোন নম্বরের গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে জানার মাধ্যমে পাঠকরা এই বিষয়ের প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করবেন।

Table of Contents

আন্তর্জাতিক ফোন কোডের পরিচিতি

International অথবা আন্তর্জাতিক ফোন কোড কি?

আন্তর্জাতিক ফোন কোড হল একটি সংখ্যা যা একটি নির্দিষ্ট দেশের ফোন নম্বরকে চিহ্নিত করে। ফোন কল করার সময়, আন্তর্জাতিক ফোন কোড ব্যবহার করতে হয় যাতে করে কলটি সঠিকভাবে সেই দেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে প্রবাহিত হতে পারে। সাধারণত, যখন আপনি বিশ্বের অন্য কোনো দেশে কল করেন, তখন আপনাকে প্রথমে “+” চিহ্ন বা “00” দিয়ে আন্তর্জাতিক কলের কোড ডায়াল করতে হয়, তারপরে সেই দেশের আন্তর্জাতিক ফোন কোড এবং তারপর স্থানীয় ফোন নম্বর ডায়াল করতে হয়। 

Bangladesh Number +৮৮০ এর অর্থ এবং এর সংজ্ঞা

+৮৮০ হলো বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড বা কান্ট্রি কোড। +৮৮ একটি আঞ্চলিক কোড, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত। এরপর ০ দিয়ে বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট করা হয়। এ জন্যই বিদেশ থেকে বাংলাদেশের কোনো ফোন নম্বরে কল করতে হলে +৮৮০ কোড ব্যবহার করতে হয়।

বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট কোডের প্রয়োজন হয়, যাকে ‘আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড’ বা ‘কান্ট্রি কোড’ বলে। এই কোডগুলোর মাধ্যমে এক দেশের ফোন নম্বর অন্য দেশ থেকে নির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়।

কান্ট্রি কোডগুলো মূলত ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন’ বা আইটিইউ নির্ধারণ করে দেয়। আইটিইউ একটি বিশেষ সংস্থা, যা জাতিসংঘের অধীনে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের নিয়ম ও মান নির্ধারণ করে।

আরও পড়ুন: 143 মানে কি? না জানলে জেনে নিন

Bangladesh Number +৮৮০ কোডের ইতিহাস

Bangladesh Number +৮৮০ কোডের প্রবর্তন

বাংলাদেশে +৮৮০ আন্তর্জাতিক ফোন কোডটি ১৯৯০ সালে প্রবর্তিত হয়। স্বাধীনতার পর, যখন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন পরিচিতি খুঁজছিল, তখন এই কোডটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। পূর্বে, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল এবং তখনকার ফোন কোড ছিল +৯২। স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশকে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য +৮৮০ কোডটি গ্রহণ করা হয়।

Bangladesh Number অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য আলাদা আলাদা আন্তর্জাতিক ফোন কোড রয়েছে, যা তাদের নিজস্ব পরিচিতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ:

  • ভারত: ভারতের আন্তর্জাতিক ফোন কোড হল +৯১। এটি বাংলাদেশের কোডের তুলনায় এক ধাপ বেশি, যা ভারতের বৃহত্তর জনসংখ্যা এবং যোগাযোগের পরিধি নির্দেশ করে।
  • পাকিস্তান: পাকিস্তানের কোড হল +৯২, যা বাংলাদেশের পূর্বের কোড ছিল।
  • শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কার জন্য কোড হল +৯৪, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের সাথে তুলনার ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন পরিচিতি দেয়।
  • নেপাল: নেপালের আন্তর্জাতিক ফোন কোড হল +৯৭৭।

প্রতিটি দেশের কোড তাদের স্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কিত।

আরও পড়ুন: Cheque সম্পর্কে ৯৯% মানুষই জানে না, যে নিয়ম না জানলে হতে পারে বিপদ

Bangladesh Number

+৮৮০ এর ব্যবহার

আন্তর্জাতিক কল করার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে ফোন নম্বরের শুরুতে +৮৮০ ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিক কল করার জন্য। যখন কেউ বাংলাদেশে কল করতে চায়, তখন তাকে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়:

  1. আন্তর্জাতিক কলিং প্রিফিক্স: প্রথমে আপনাকে আপনার দেশের আন্তর্জাতিক কলিং প্রিফিক্স ডায়াল করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি “011” এবং যুক্তরাজ্যের জন্য “00”।
  2. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফোন কোড: এরপর আপনাকে বাংলাদেশকে চিহ্নিত করার জন্য +৮৮০ কোডটি ডায়াল করতে হবে।
  3. স্থানীয় ফোন নম্বর: এর পরে, আপনাকে বাংলাদেশের স্থানীয় ফোন নম্বরটি ডায়াল করতে হবে। স্থানীয় ফোন নম্বরটি সাধারণত ১০ ডিজিটের হয়ে থাকে, যেখানে প্রথম দুই ডিজিট প্রিফিক্স নির্দেশ করে।

+৮৮০ ব্যবহার করে ফোন নম্বর ডায়াল করার উদাহরণ

ধরা যাক, আপনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে একটি ফোন কল করতে চান এবং ফোন নম্বরটি হলো 0123456789। কল করার প্রক্রিয়া হবে নিম্নরূপ:

  1. আন্তর্জাতিক কলিং প্রিফিক্স: প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক কলিং প্রিফিক্স ডায়াল করুন: 011
  2. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফোন কোড: এরপর ডায়াল করুন বাংলাদেশ কোড: 880
  3. স্থানীয় ফোন নম্বর: অবশেষে, স্থানীয় ফোন নম্বরটি ডায়াল করুন: 123456789

সুতরাং, পুরো নম্বরটি হবে:

1011 880 123456789

এভাবে, আপনি সফলভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে কল করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করে যে, আপনার কলটি সঠিকভাবে বাংলাদেশে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এটি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার আন্তর্জাতিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

আরও পড়ুন: কত বছর একই বাড়িতে থাকলে ভাড়াটিয়া মালিক হতে পারে? অনেকেই জানে না

বাংলাদেশে ফোন নম্বরের গঠন

বাংলাদেশে ফোন নম্বরের গঠন সাধারণত ১১ ডিজিটের হয়ে থাকে, যেখানে প্রথম ২-৩ ডিজিট নম্বরের প্রিফিক্স হিসেবে পরিচিত। এই প্রিফিক্সটি নির্দিষ্ট করে দেয় যে নম্বরটি মোবাইল নাকি ল্যান্ডলাইন।

নম্বরের প্রথম অংশ (প্রিফিক্স) এবং তার অর্থ

বাংলাদেশের ফোন নম্বরে প্রথম অংশ বা প্রিফিক্সটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সঠিকভাবে নম্বরের ধরন চিহ্নিত করে। প্রিফিক্সগুলি বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। নিচে কিছু পরিচিত প্রিফিক্স এবং তাদের অর্থ উল্লেখ করা হলো:

  • মোবাইল প্রিফিক্স:
    • ০১৭: গ্রামীণফোন
    • ০১৮: বাংলালিংক
    • ০১৯: টেলিটক
    • ০১৩: রবি
    • ০১৫: এজেন্ট সিমস (বিশেষ ক্ষেত্রে)
  • ল্যান্ডলাইন প্রিফিক্স:
    • ০২: ঢাকা শহরের ল্যান্ডলাইন নম্বর।
    • ০৩: চট্টগ্রাম শহরের ল্যান্ডলাইন নম্বর।
    • ০৪: নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং অন্যান্য শহরের ল্যান্ডলাইন নম্বর।
    • ০৫: কুমিল্লা, রাজশাহী এবং অন্যান্য শহরের ল্যান্ডলাইন নম্বর।

মোবাইল এবং ল্যান্ডলাইনের মধ্যে পার্থক্য

বাংলাদেশে মোবাইল এবং ল্যান্ডলাইন ফোন নম্বরের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

  1. সংযোগের ধরন:
    • মোবাইল ফোন: মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলে এবং এটি সেলুলার প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। এর ফলে, মোবাইল নম্বরগুলি দেশে এবং বিদেশে যেকোনো অবস্থান থেকে ব্যবহার করা যায়।
    • ল্যান্ডলাইন ফোন: এটি একটি স্থির সংযোগ, যা সাধারণত টেলিফোন লাইন দ্বারা সেবা প্রদান করে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ব্যবহৃত হয়।
  2. পোর্টেবিলিটি:
    • মোবাইল ফোন: মোবাইল নম্বরগুলি ব্যবহারকারীকে স্থান পরিবর্তন করার সময় নম্বরটি রেখে যেতে দেয়। ব্যবহারকারী স্থানান্তরিত হলেও নম্বর অপরিবর্তিত থাকে।
    • ল্যান্ডলাইন ফোন: ল্যান্ডলাইন নম্বর সাধারণত স্থায়ী অবস্থানের সাথে যুক্ত থাকে। স্থান পরিবর্তন করা হলে নম্বর পরিবর্তন করতে হয়।
  3. সুবিধা:
    • মোবাইল ফোন: মোবাইল ফোনগুলি সাধারণত বহনযোগ্য এবং কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এবং অন্যান্য ডিজিটাল সেবার সুবিধা প্রদান করে।
    • ল্যান্ডলাইন ফোন: ল্যান্ডলাইন ফোনগুলি সাধারণত সাদামাটা কলিং সুবিধা প্রদান করে এবং কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এটি সীমিত।

আরও পড়ুন: যে ৫ অভ্যাস বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের অভ্যাস, আপনার মধ্যে কতগুলো আছে?

প্রযুক্তিগত দিক

ফোন নম্বরের আন্তর্জাতিকীকরণ এবং এর সুবিধা

ফোন নম্বরের আন্তর্জাতিকীকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা বিশ্বজুড়ে যোগাযোগকে সহজতর করে। আন্তর্জাতিক ফোন কোডের মাধ্যমে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। এর সুবিধাগুলি হলো:

  1. সহজ যোগাযোগ: আন্তর্জাতিক ফোন কোড ব্যবহারের মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা দ্রুত এবং সহজে অন্যান্য দেশের ফোন নম্বরে কল করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে +৮৮০ ব্যবহার করে বিদেশ থেকে কল করা যায়।
  2. বাণিজ্যিক সুবিধা: আন্তর্জাতিক ফোন নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সহজে বিদেশি ক্লায়েন্ট এবং সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যা আন্তর্জাতিক ব্যবসার সম্প্রসারণে সহায়ক।
  3. সাংস্কৃতিক বিনিময়: আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং সহযোগিতা বাড়ায়।
  4. নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণ: আন্তর্জাতিক ফোন কোড ব্যবহার করে, বিভিন্ন দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কার্যকর হয়, যা অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।

প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ফোন নম্বর ব্যবস্থাপনা

ফোন নম্বর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফোন নম্বর ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত হয়েছে, যেমন:

  1. ডিজিটাল নম্বরিং: বর্তমানে, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ফোন নম্বরগুলি আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি নম্বরের পুনঃবন্টন, ব্যবহার এবং পর্যবেক্ষণকে সহজ করে তোলে।
  2. পোর্টেবিলিটি: মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (MNP) প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারেন। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও স্বাধীনতা এবং সুবিধা প্রদান করে।
  3. অটোমেটেড সিস্টেম: অটোমেটেড টেলিফোন সিস্টেম এবং ক্লাউড ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ফোন নম্বর ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ এবং কার্যকর করে তুলেছে। এতে ব্যাবহারকারীরা দ্রুত সেবা পেতে সক্ষম হন।

ফোন নম্বরের নিরাপত্তা

ফোন নম্বরের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে যেখানে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ফোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোন নম্বরের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরাধমূলক কার্যকলাপ, স্ক্যাম এবং ফ্রডের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।

+৮৮০ ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

বাংলাদেশে +৮৮০ ব্যবহার করে ফোন নম্বরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে:

  1. ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া: ফোন নম্বরের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাধারণত +৮৮০ কোড ব্যবহার করে। এটি নিশ্চিত করে যে, কল বা এসএমএসটি বাংলাদেশ থেকে আসছে এবং ব্যবহারকারীর পরিচয় সঠিক।
  2. ফোন নম্বর রেজিস্ট্রেশন: মোবাইল অপারেটরগুলো সাধারণত ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করে। এই প্রক্রিয়ায়, ব্যবহারকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
  3. অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা: ব্যাংকিং বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে, +৮৮০ ব্যবহার করে OTP (One Time Password) পাঠানো হয়। এটি ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করে।

Bangladesh Number: স্ক্যাম এবং ফ্রডের বিরুদ্ধে সচেতনতা

ফোন নম্বরের নিরাপত্তার জন্য স্ক্যাম এবং ফ্রডের বিরুদ্ধে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী। কিছু সাধারণ সতর্কতা হলো:

  1. অজানা নম্বর থেকে কল এবং এসএমএস: অজানা বা সন্দেহজনক নম্বর থেকে আসা কল বা এসএমএস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এসব ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা থেকে সাবধান থাকুন।
  2. ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা: কখনোই ফোনে বা এসএমএসে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য শেয়ার করবেন না।
  3. ফিশিং স্ক্যাম: কিছু স্ক্যামাররা পরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ফোনে কল করতে পারে বা এসএমএস পাঠাতে পারে। এর মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করতে পারে। এ ধরনের স্ক্যাম থেকে সচেতন থাকুন এবং সন্দেহ হলে তথ্য যাচাই করুন।
  4. নিয়মিত অ্যাকাউন্ট মনিটরিং: আপনার ব্যাংক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের ট্রানজেকশন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। যদি অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

শেষ কথা

Bangladesh Number: যখন কেউ একটি দেশ থেকে অন্য দেশে কল করতে চায়, তখন সেই দেশের নির্দিষ্ট কান্ট্রি কোড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট নম্বরে কল পৌঁছানো সম্ভব হয়। যেমন: বাংলাদেশে কোনো নম্বরে বিদেশ থেকে কল করতে হলে +৮৮০ ব্যবহার করে তার নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিতে হয়।

আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড ছাড়া এক দেশের ফোন নম্বরে অন্য দেশ থেকে কল করা সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে কল করতে চাইলে বাংলাদেশের নম্বরটির আগে কান্ট্রি কোডটি যোগ করতে হবে। 
তবে, দেশের ভেতর থেকে দেশের কোনো নম্বরে কল করতে কোডের প্রয়োজন নেই। সরাসরি নম্বর ডায়াল করলেই যথেষ্ট।

বহুল জিজ্ঞাসাতি সাধারণ কিছু FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর)

১. বাংলাদেশের নাম্বার কোড কি?

উত্তর: বাংলাদেশের ফোন নম্বরের আন্তর্জাতিক নাম্বার কোড হল +৮৮০। এটি ব্যবহার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে যোগাযোগ করা হয়।

২. বাংলাদেশের country code কত?

উত্তর: বাংলাদেশের country code হল +৮৮০। এটি আন্তর্জাতিক ফোন কল করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৩. 0088 কোন দেশের কোড?

উত্তর: 0088 একটি ভুল লিখন। সঠিক কোড হল +৮৮০, যা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফোন কোড।

৪. বাংলাদেশের টেলিফোন কোড নাম্বার কত?

উত্তর: বাংলাদেশের টেলিফোন কোড হল +৮৮০। এই কোডটি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশে কল করা হয়।

৫. মোবাইল নাম্বার কিভাবে চেক করব?

উত্তর: মোবাইল নাম্বার চেক করার জন্য আপনার ফোনের সেটিংসে যান এবং “About Phone” বা “My Number” অপশনে ক্লিক করুন। এছাড়া, কিছু অপারেটর 121 বা 222 ডায়াল করে মোবাইল নাম্বার জানার সেবা দেয়।

৬. দেশের কোড মানে কি?

উত্তর: দেশের কোড হল একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা যা একটি দেশের ফোন নম্বরকে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত করে। এটি বিদেশ থেকে কল করার সময় ব্যবহৃত হয়।

৭. বাংলাদেশের মোবাইল কোড কি?


উত্তর: বাংলাদেশের মোবাইল কোডের মধ্যে বিভিন্ন প্রিফিক্স রয়েছে, যেমন:
০১৭: গ্রামীণফোন
০১৮: বাংলালিংক
০১৯: টেলিটক
০১৩: রবি
মোবাইল নাম্বার সাধারণত ১১ ডিজিটের হয়ে থাকে।

Juger Alo Google Newsযুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

Leave a Comment