জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণায় সরব হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ উঠেছে, বৈষম্যবিরোধী কৃষক-শ্রমিক-জনতা মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে, যেখানে অনেক ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা আহত হয়েছেন। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ অনুমোদন: যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৪ দিন
ঘোষণা ও কর্মসূচির আহ্বান
হাসনাত আবদুল্লাহ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে একটি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ভাইদের আঘাত করেছে। এখন সময় এসেছে এই বেইমানদের উৎখাতের।” তার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকে এবং কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হলপাড়া ও টিএসসি মেট্রোরেল স্টেশন হয়ে বিজয় নগরে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের মুখে “একটা একটা জাপা ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর”, “জাপা-লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে” ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায়।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিয়ের গেটে টাকা নিয়ে সংঘর্ষ: বরসহ আহত ২৫
মিছিলের পথ ও পরিকল্পনা
বৃহস্পতিবার রাতেই হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষণা দেন যে, শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল করে বিজয় নগরে পৌঁছাবে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এদের স্লোগান এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি জাতীয় পার্টিকে উৎখাতের প্রতিশ্রুতি হিসেবে সামনে আনা হয়। শিক্ষার্থীদের এই মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে হলপাড়া ও টিএসসি মেট্রোরেল স্টেশন দিয়ে বিজয় নগরের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের মিছিলের মূল দাবি ছিল জাতীয় পার্টিকে সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিহ্ন করা এবং জনসাধারণের উপর আক্রমণকারীদের আইনের আওতায় আনা।
আরও পড়ুন
জাতীয় পার্টি নিয়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
হাসনাত আবদুল্লাহ এই ঘটনার পর সরাসরি জাতীয় পার্টিকে দেশের অন্যতম প্রতারক শক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি এই দেশে বারবার জনসাধারণের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। এখন সময় এসেছে এদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।” শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণার প্রতি সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে আসে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সারসংক্ষেপ
জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রীত্বে হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে যে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তা আজকের যুবসমাজের অপ্রতিরোধ্য শক্তির প্রতীক। জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করার এই আন্দোলন সারাদেশের তরুণদের মাঝে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
2 thoughts on “জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর”