গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বালুচরে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান

খনিজ সম্পদ

সম্প্রতি গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরে ছয়টি মূল্যবান খনিজ পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। খনিজ সম্পদ এর এই আবিষ্কার উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রংপুর শহর শব্দ ও বায়ু দূষণের হুমকির মুখে

কী কী খনিজ সম্পদ পাওয়া গেছে?

গবেষণায় বালুচরে পাওয়া গেছে ইলমিনাইট, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, গারনেট ও কোয়ার্টজ নামক ছয়টি মূল্যবান খনিজ পদার্থ। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়:

– রুটাইল: রঙ, প্লাস্টিক, ওয়েলডিং রড, কালি, খাদ্য ও ওষুধ শিল্পে
– জিরকন: সিরামিক, টাইলস, রিফ্র্যাক্টরিজ ও ছাঁচ তৈরিতে
– ম্যাগনেটাইট: চুম্বক, ইস্পাত, কয়লা পরিশোধন ও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে
– গারনেট: সিরিশ কাগজ, লোহার পাইপ পরিষ্কার ও বিস্ফোরক হিসেবে

কতটা অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে?

প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, ১০ মিটার গভীরে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে উত্তোলিত বালুর বাজারমূল্য ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। আর একই পরিমাণ এলাকা থেকে প্রাপ্ত খনিজের মূল্য প্রায় তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।[1]

এই খনিজ সম্পদ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।[1]

পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

বর্তমানে আরও গবেষণা চলছে এসব বালুচরে অন্য কোনো মূল্যবান খনিজ পদার্থ আছে কিনা তা নির্ণয় করার জন্য। পাশাপাশি কোন প্রক্রিয়ায় কোন প্রতিষ্ঠান এই খনিজ আহরণ করবে, তা ঠিক করবে সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।[1]

এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে উত্তরবঙ্গের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর সুষ্ঠু ব্যবহার ও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব।

Juger Alo Google News   যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন