৪টি অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য খুবই খারাপ
মস্তিষ্ক হলো আমাদের প্রাণবিশেষের চূড়ান্ত অঙ্গ। এটি যেমন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মনের জন্যও প্রয়োজনীয়। মস্তিষ্ক একটি সংস্কৃতিতে সংগঠিত একটি কেন্দ্রীয় অঙ্গ। সেটি আমাদের চিন্তা, শিক্ষা, ব্যবহার ও সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে। কিন্তু ক্যাপাসিটি সীমাবদ্ধ ও পরিসীমিত হলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য কমে যেতে পারে। এই লেখাটি আপনার মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যকর আবদ্ধতা রক্ষা করবে এবং যে ৪টি অভ্যাস নিয়ে কখনও জীবনে অনুমোদিত না করবেন সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবে।
১. নিদ্রার অভাব
নিদ্রা হলো মস্তিষ্ককে শান্তি ও পুনর্জাগরীত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী নিদ্রা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আধুনিক জীবনে সময়ের অভাব, মানসিক চিন্তা এবং ব্যস্ততার কারণে নিদ্রার ঘনিষ্ঠতা কমে যেতে পারে। অন্যান্য ভূমিকায় জীবন গঠন করানোর জন্য আপনার শিরোনামের সঠিক খ্যাতিটি দেখতে আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে নিদ্রার প্রয়োজন তৈরি করতে।
২. মনোবিজ্ঞানের ব্যবহার
প্রযুক্তিতে অগ্রসর হওয়া নিশ্চিত করার জন্য মনোবিজ্ঞানের লেখাপড়া অনেক মূল্যবান। মনোবিজ্ঞান মানসিক প্রক্রিয়াগুলির সম্পর্কে জ্ঞান দিয়ে আমাদের মনোক্ষমতা ও মনস্তন্ত্র পরিচালিত করে। একটি খুবই কঠিন সাইকোলজিকাল প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যালগরিদম তৈরি করতে পারে যা সাধারণত কোনো মানুষ করতে পারে না।
৩. প্রোটিনের অভাব
মস্তিষ্কের শিক্ষা ও গঠনের জন্য প্রোটিন একটি চরম প্রাযকমত্ত। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মস্তিষ্ক কম পরিমাণে প্রোটিন থাকলে মানসিক চিন্তা ও গঠনে সমস্যা হতে পারে। প্রোটিন যথাযথ পরিমানে খাওয়া মানসিক শক্তি, ওজন কমানো, মনোবিজ্ঞান শিক্ষা এবং সাম্প্রতিক জ্ঞানের জন্য কিংবা রোগের জন্য জরুরী।
৪. চাপা দেয়া মনের কাজ
জীবন ব্যস্ততা, চাপ, ক্ষমতার অভাব ও মানসিক চাপের ফলে মস্তিষ্কের কাজ সবথেকে বৃত্তিময় হয়ে থাকে। মানসিক চাপ যা সবাই অনুভব করেন, তা বোঝার জন্য তারমধ্যে ছোট্ট করে ব্যায়াম, যোগাসন ও মেডিটেশনের মাধ্যমে আপনার মেশিন প্রদর্শিত করতে পারেন। মনের সামরিক ও মানসিক চাপ কমানো হলে মানসিক চাপ ও মনের জ্ঞানয়ন্ত্রক দুটোই ভাল করতে পারে।
তাই আজ থেকে সব অভ্যাস বদলাতে হবে——
খুব বেশি বসা – বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্করা দিনে সাড়ে ছয় ঘন্টা বসে থাকেন। মস্তিষ্কও তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অনেকেই আছেন যারা সারাদিন বসে বসে কাজ করেন এবং তাদের জন্য মস্তিষ্কের কার্যকারিতা দ্রুত বিঘ্নিত হয়। তাই কাজের মধ্যে ১৫-৩০ মিনিট হাঁটুন। যদি পারেন, পুশ-আপ এবং সিট-আপ করুন। এটি শরীরকে সুস্থ রাখে। অথবা দ্রুত হাঁটতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষ প্রতি রাতে 8 ঘন্টার কম ঘুম পায়। ঘুম কমে গেলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। তাই অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ফোন ব্যবহার করবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বই পড়ুন কিন্তু টিভি দেখবেন না দীর্ঘায়িত স্থবিরতা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে খুব দুর্বল করে তোলে। তাই চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। আপনি যত বেশি চাপ অনুভব করবেন, তত বেশি বিরক্তি তৈরি হবে। আপনার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে শিখুন এবং আপনি আরও ভাল হয়ে উঠবেন।সমাপ্তি
মনোবিজ্ঞান এর ব্যবহার, নিদ্রার অভাব, প্রোটিনের অভাব এবং চাপা দেয়া মনের কাজ – এগুলি ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ সঙ্গাতি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। আপনার মস্তিষ্ক এবং মন সুস্থ রাখতে এই অভ্যাসগুলি থেকে দূরে থাকবেন এবং প্রতিদিনের জীবনে এগুলি প্রয়োগ করা উচিত। আপনার শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সুস্ট ও স্থিতিশীল অভ্যাসগুলি নিশ্চিত করবে যেন আপনি সন্তুষ্ট ও সমৃদ্ধ জীবিত করতে পারেন।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফলো করুন
1 thought on “এই ৪টি অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য খুবই খারাপ”